গরমে পানীয় জলের তেষ্টা মেটাতে হকারদের উদ্যোগ ক্যানিংয়ে
চৈত্রের শুরুতেই প্রচন্ড গরমে মাঠ-ঘাট ফুটিফাটা। দাবদাহে পুকুর নালা শুকিয়ে যাওয়ার উপক্রম। একফোঁটা বৃষ্টির দেখা নেই। ক্যানিং সহ দক্ষিন ২৪ পরগণা জেলার বিভিন্ন স্থানে পানীয় জলের আকাল চলছে। তারপর গ্রাম্য এলাকার নলকূপ গুলিতে জলের স্তর কমে যাওয়ায় পানীয় জলের জন্য ত্রাহি ত্রাহি রব।বুধবার দুপুর প্রায় ১টা। কলকাতায় যাওয়ার জন্য ক্যানিং ষ্টেশনে ট্রেন ধরার জন্য হন্তদন্ত হয়ে হাঁপাতে হাঁপাতে ছুট ছিলেন গোসাবার ছোট মোল্ল্যাখালির বনমালী মন্ডল। প্রখর রৌদ্রের তাপে গলা শুকিয়ে উদভ্রান্তের মতো ক্যানিং ষ্টেশনের পানীয় জলের ট্যাপ কলের কাছে উপস্থিত হয়ে দেখেন ওনার মতো আরো বিশ জন পিপাসা মেটানোর জন্য অপেক্ষা করছেন। এমন করুণ দৃশ্য দেখে ক্যানিং ষ্টেশনের দুই হকার সিকেন্দার সাহানী ওরফে শিবা ও জাহাঙ্গীর গায়েন সাধারণ যাত্রীদের জন্য একটি জলছত্র খুলেছেন।মাটির কলসীর ঠান্ডা পানীয় জলে পিপাসা মিটিয়ে রেলযাত্রী অলোক রায়, বাপী পাত্র রা জানান “প্রচন্ড গরমে হকারীর পাশাপাশি ঐ দুই হকার জলছত্র খুলে যে মানবিক কাজ করছেন তার কোন তুলনাই হয় না।”
বিশিষ্ট শিক্ষক মোহিতোষ দাস বলেন “নিজেদের জীবিকার পাশাপাশি এমন সমাজসেবা মূলক কাজ যে হকার রা করতে পারেন তার উজ্জল দৃষ্টান্ত ক্যানিংয়ের দুই হকার বন্ধুর”।
কেন এমন উদ্যোগ জানতে চাওয়া হলে দুই হকারের জবাব “প্রচন্ড গরমে সাধারণ মানুষ কে পানীয় জলের তেষ্টা মেটানোর জন্যই অামাদের এই সামান্য উদ্যোগ”।