শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অবশেষে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিলেন ট্রাম্প

News Sundarban.com :
ডিসেম্বর ৭, ২০১৭
news-image

মুসলিম বিশ্বসহ আন্তর্জাতিক মতামত উপেক্ষা করেই অবশেষে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বুধবার ওয়াশিংটন সময় দুপুরে এ ঘোষণা দেন তিনি। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তেল আবিব থেকে সরিয়ে জেরুজালেমে নিতেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন। তবে স্থানান্তরের দিনক্ষণ বলেননি তিনি।

ট্রাম্পের এ পদক্ষেপকে ইসরায়েল স্বাগত জানালেও ফুঁসে উঠেছে ফিলিস্তিন, জর্ডান, তুরস্ক, ইরান, পাকিস্তানসহ মুসলিম বিশ্ব। হুঁশিয়ারি দিয়েছে ওআইসি, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি। এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস।

ফিলিস্তিনের হামাস বলেছে, ট্রাম্পের এ স্বীকৃতি মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য ‘মৃত্যুর চুম্বন’ ছাড়া কিছুই নয়। সব মিলিয়ে ট্রাম্প মধ্যপ্রাচের পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করে তুললেন বলেই অভিমত বিশ্নেষকদের। খবর বিবিসি, সিএনএন ও এএফপির।

জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণার আগে ওয়াশিংটনে কেবিনেট বৈঠকে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, এই প্রক্রিয়া অনেক আগেই সম্পন্ন করা উচিত ছিল।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অনেক প্রেসিডেন্ট প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন; কিন্তু তারা ঘোষণা দেননি। তারা হয়তো সাহস না পেয়েই মত বদলেছেন। নিজেকে ‘প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন ঘটানোর ক্ষেত্রে সাহসী’ দাবি করে ট্রাম্প বলেন, পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্টরা যা করতে পারেননি, তাই তিনি করবেন।

যুক্তরাষ্ট্র তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে দূতাবাস সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে ১৯৯৫ সালে একটি আইন পাস করে।

‘জেরুজালেম অ্যাম্বাসি অ্যাক্ট’ অনুযায়ী, তেল আবিব শহর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস স্থানান্তর করা হবে কি-না, সে সিদ্ধান্ত জানাতে প্রত্যেক মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ছয় মাস অন্তর একটি সিদ্ধান্তে স্বাক্ষর করতে হয়। আইন অনুযায়ী জেরুজালেমে স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার বিষয়টি প্রেসিডেন্টের এখতিয়ার। এতদিন প্রেসিডেন্টরা ছয় মাস পর পর স্বাক্ষর করে দূতাবাস স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছেন। এবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তা আর স্থগিত রাখলেন না।