শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সমুদ্রসৈকত বন্ধ করে দেওয়ায় নাখুশ হয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো

News Sundarban.com :
মার্চ ২১, ২০২১
news-image

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে রিও ডি জেনিরোতে স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সমুদ্রসৈকত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানকার মেয়র ইকুয়ার্দো পায়েসের এ সিদ্ধান্তে নাখুশ হয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো। লকডাউনবিরোধী এই প্রেসিডেন্ট বলেছেন, এতে মানুষ সূর্যের আলো থেকে বঞ্চিত হবে। তাদের শরীরে ভিটামিন ডির অভাব দেখা দিতে পারে। খবর এএফপির।

রিও ডি জেনিরোর মেয়র ইকুয়ার্দো পায়েস বলেছেন, সাগরসৈকতে ভিড় থাকায় শহরের পরিস্থিতি সংকটজনক হয়ে পড়েছিল। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে তিনি এলাকাবাসীকে ঘরে থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন।

ব্রাজিলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। দেশটিতে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘পি-ওয়ান’ শনাক্ত হয়েছে। সেখানে ২৭টি রাজ্যের মধ্যে ২৫টিতে হাসপাতালগুলোর নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের ৮০ শতাংশ রোগীতে ভরে গেছে। রিও ডি জেনিরোতে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের ৯৫ শতাংশ রোগীতে ভরে গেছে।

স্থানীয় সময় গত শুক্রবার ২৪ ঘণ্টায় ব্রাজিলে করোনায় ২ হাজার ৮১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৯০ হাজার ৫০০ জন।

তবে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বলসোনারো করোনা ঠেকাতে ঘরে থাকা ও মাস্ক পরার নিয়মের বিরুদ্ধে। সবকিছু উন্মুক্ত রেখে অর্থনীতি সচল রাখার পক্ষে তাঁর অবস্থান। বলসোনারো সমালোচনা করে বলেছেন, রিওর সমুদ্রসৈকত বন্ধ রাখায় এলাকাবাসী সূর্যের আলো থেকে বঞ্চিত হবে। তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে গুরুতর অসুস্থতা প্রতিরোধ করে ভিটামিন ডি। আপনারা কোথায় ভিটামিন ডি পাবেন? সূর্য থেকে।’ সৈকত বন্ধের সিদ্ধান্তকে তিনি ভণ্ডামি বলে চিহ্নিত করেন।

করোনাভাইরাসের প্রথম দফায় সংক্রমণের সময়ও রিও ডি জেনিরোতে সাগরসৈকত বন্ধ করে দেওয়া হয়। কোপাকাবানা ও ইপানেমা সাগরসৈকতে রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে প্রচুর মানুষের ভিড় থাকে। গত বছরের নভেম্বর মাসে সাগরসৈকতগুলো পুরোপুরি খুলে দেওয়া হয়।

করোনা সংক্রমণ আবার বেড়ে যাওয়ায় রিও ডি জেনিরোর মেয়র পায়েস সেখানে এক সপ্তাহের জন্য বাস ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। পর্যটকদের কারণে যাতে করোনার সংক্রমণ না বাড়ে, সে জন্য এমন ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে জানান বলসোনারো।
এক সংবাদ সম্মেলনে পায়েস রিও ডি জেনিরোর বাসিন্দাদের ঘরে থাকতে পরামর্শ দেন। আগামীকাল সোমবার আরও বিধিনিষেধ আরোপ করা হতে পারে বলে ঘোষণা দেন তিনি।

৬৭ লাখ জনগোষ্ঠীর শহর রিও ডি জেনিরোতে ৫ মার্চ থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত ব্যবসাকেন্দ্র বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্রাজিলের বাণিজ্যিক রাজধানী সাও পাওলোতে মানুষকে ঘরে রাখতে পাঁচ দিনের ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।