নির্বাচন নিয়ে আইনি জটের কারণে বাংলার উন্নয়ন থমকে গেছেঃমুখ্যমন্ত্রী
আইনি জটে অনিশ্চিত পঞ্চায়েত ভোটের ভবিষ্যত। কমিশনের ঘোষিত নির্ঘণ্ট অনুযায়ী ১মে পঞ্চায়েত ভোট কার্যত অসম্ভব। পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে উদ্ভূত এই জটিল পরিস্থিতির জন্য বিরোধীদেরই কাঠগড়ায় তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, এই আইনি জটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে বাংলার উন্নয়ন।
এদিন পঞ্চায়েত মামলা ফের সিঙ্গল বেঞ্চে ফেরত পাঠিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। মঙ্গলবার দুপুর ২টো থেকে শুরু হবে শুনানি। দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। প্রয়োজনে প্রতিদিন শুনানির কথাও বলেছে। তবে এই আইনি প্রক্রিয়ার কারণে পঞ্চায়েত নির্বাচন বিলম্বিত হবে পারে বলে মত আইনজ্ঞ মহলের।
এই পরিপ্রেক্ষিতে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই জটিলতা তৈরির জন্য দায়ি বিরোধী দলগুলিই। বিরোধী দলগুলি রাজনীতি না করে ভোটকে ভয় পায় বলে তোপ দাগেন তিনি। বিরোধীরা পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বে হিংসা-অশান্তির কথা বলেলও, মুখ্যমন্ত্রী এদিন ফের দাবি করেন, “মনোনয়ন পর্বে মাত্র ৭টি ঘটনা ঘটেছে।” আরও বলেন, “সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি হল জগাই-মাধাই আর নেতাই। এরা দিল্লিতে একরকম, আর এখানে একরকম।” তবে আদালতের রায়ের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি মুখ্যমন্ত্রী।
যদিও পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে আইনি জটের কারণে বাংলার উন্নয়ন থমকে গেছে বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষোভের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আদর্শবিধি নির্বাচন বিধি লাগু হয়ে যাওয়ায় আর কোনও নতুন কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। জেলায় গিয়ে বৈঠক করতে পারছি না। বাংলার উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে।”
তিনি জানান, সরকার ১৫ মে-র মধ্যে ভোটপর্ব সমাপ্ত করতে চেয়েছিল। কারণ, তারপর গরম আরও বাড়ে। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়। অন্যদিকে, বর্ষার সময় ভোট করা অসুবিধাজনক। পাশাপাশি, রমজান হোক বা দুর্গাপুজো, যেকোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সময়ও ভোট করা সম্ভব নয়।