মাদক খাইয়ে যুবতীকে গণধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৪

অশোকনগর: পানশালার নর্তকীকে মাদক খাইয়ে ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল চার যুবকের বিরুদ্ধে। অচৈতন্য অবস্থায় যুবতীকে গভীর রাতে যশোর রোডের পাশে একটি অশোকনগরের একটি কলেজের সামনে ফেলে চম্পট দেয় অভিযুক্ত যুবকরা, পুলিশ খবর পেয়েই মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতেলে নিয়ে যায়, গণধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার অভিযুক্ত চার যুবক। মাদক খাইয়ে যুবতীকে অচৈতন্য করে গণধর্ষণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছাড়ালো অশোকনগরে।
গ্রেপ্তার চার অভিযুক্ত যুবক। অভিযুক্তদের নাম তন্ময় পাল, আকাশ চক্রবর্তী, টুকাই সিকদার, গোপাল পাল এদের প্রত্যেকের বাড়ি অশোকনগর ৫ নম্বর সুভাষপল্লি এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, যুবতীর পূর্ব পরিচিত আকাশ পালের কাছে টাকা ধার চায় এই যুবতী আর এই টাকা ধার দেবে বলেই রবিবার সন্ধ্যার পরে আকাশ ওই যুবতীকে অশোকনগরে ডাকে।
অভিযোগ এর পরে আকাশ ওই যুবতীকে আরেক অভিযুক্ত টুকাই সিকদারের ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে যায় সেখানে ওই যুবতীকে মাদক খাইয়ে অচৈতন্য করে চার বন্ধু মিলে গণধর্ষণ করে, এরপরে গভীর রাতে হাবড়া শ্রীচৈতন্য কমার্স কলেজের সামনে যুবতীকে ফেলে চম্পট দেয় ওই চার যুবক। এরপরে পুলিশ প্রশাসন খবর পেয়ে নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে অশোকনগর হাসপাতালে। সেখানে বসেই ওই যুবতী পুলিশের কাছে ওই চার যুবকের নামে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার সকালে অশোকনগর সুভাষপল্লি এলাকা থেকে ওই চার যুবককে গ্রেপ্তার করে সাতদিনের পুলিশ হেপাজত চেয়ে সোমবার বারাসাত আদালতে পাঠানো হয় অশোকনগর থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। যদিও এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত যুবক আকাশের পরিবারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে যে এই চার যুবক নির্দোষ, মেয়েটি এদের ফাঁসিয়েছে। নির্যাতিতার মা জানিয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে মেয়ে পানশালায় নাচের কাজ করে, এদিনও বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিল এরপরেই এই ঘটনা। নির্যাতিতাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য বারাসাত হাসপাতালে অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। তিনি বলেন, এই ঘটনা অত্যন্ত পৈশাচিক। দোষীদের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আমি ওই পরিবারের পাশে থাকব।