বুধবার, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঢাকুরিয়ার একটি সরকারি স্কুলে প্রাথমিকের এক ছাত্রীকে যৌন হেনস্তার শিকার

News Sundarban.com :
অক্টোবর ৯, ২০১৮
news-image

ফের শিক্ষা ক্ষেত্রে যৌন হেনস্তার শিকার স্কুল পড়ুয়া। এবার ঢাকুরিয়ার একটি সরকারি স্কুলে প্রাথমিকের এক ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠল । অভিযোগ, ওই স্কুলের এক শিক্ষক বছর পাঁচেকের এক ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা করে। এর জেরে আজ সকালে স্কুলের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অভিভাবকরা। তাঁরা স্কুলে ভাঙচুর করেন বলেও অভিযোগ। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। লাঠির আঘাতে এক মহিলার মাথা ফেটে যায়। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।
অভিভাবকদের অভিযোগ, ২৬ সেপ্টেম্বর বাংলা বনধের দিন শিশুশ্রেণির ওই ছাত্রীকে স্কুলের একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে যৌন হেনস্থা করেন অভিযুক্ত শিক্ষক। আজ সকালে সেই অভিযোগ নিয়ে স্কুলের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন অভিভাবকরা। নির্যাতিতা ছাত্রীর মা থানায় অভিযোগও দায়ের করেন। অভিভাবকদের বিক্ষোভের জেরে ছুটির পরও স্কুলে আটকে যায় ছাত্রীরা। পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থানে এসে পৌঁছায় পুলিশবাহিনী। পুলিশ আটকে পড়া ছাত্রীদের স্কুল থেকে বের করে দেয়। অভিভাবকদের দাবি, স্কুলের ভিতরে থাকা অভিযুক্ত শিক্ষককে তাদের হাতে তুলে দিতে হবে। এরপরই বিক্ষুব্ধরা ভেঙে ফেলেন স্কুলের গেট। স্কুলে ভাঙচুরও চালান বলে অভিযোগ। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। তখন পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। লাঠির আঘাতে এক মহিলার মাথা ফেটে যায়। আহত হন আরও বেশ কয়েকজন। ঘটনাস্থানে যান কলকাতা পুলিশের DC (ESD) কল্যাণ মুখোপাধ্যায়। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। তাঁদের দাবি, স্কুলে পুরুষ রাখা চলবে না। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে RAF নামানো হয়। বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আনার চেষ্টা করছে পুলিশ।
লাঠির ঘায়ে আক্রান্ত মহিলার অভিযোগ, “পুলিশ বিনা প্ররোচনায় লাঠি চালিয়েছে। অভিভাবকদের বিক্ষোভকে দমানোর চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু, এভাবে প্রতিবাদ থামানো যাবে না। আমাদের শিশুদের নিরাপত্তা কোথায়? আমরা অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তি দাবি করছি।” এক অভিভাবক স্বপ্না হালদার বলেন, “শিশুটির শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা তার বিচার চাই। শিশুটি খুব আতঙ্কিত। শিশুর বাবাকে পুলিশ বেধড়ক মারধর করেছে। মহিলাদের উপর পুলিশ লাঠিচার্জ করছে। পুরুষ পুলিশ মহিলাদের উপর লাঠিচার্জ করে তাদের মাথা ফাটিয়ে দিচ্ছে? এটাই কি দেশের আইন?”
স্কুলের অধ্যক্ষা দীপান্বিতা রায় চৌধুরি বলেন,” ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।” কলকাতা পুলিশের DC (ESD) কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “সকালে আমাদের কাছে শ্লীলতাহানির অভিযোগটি আসে। ওই স্কুলের মর্নিং সেকশনের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগটি উঠেছে। ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিভাবকরা স্কুল ভাঙচুর করার সময় ইটের আঘাতে ১০ পুলিশ কর্মী ও দু’জন OC জখম হন। আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি।” সূত্রের খবর, স্কুল শিক্ষা দপ্তরকে ঘটনার কথা জানায়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। যা নিয়ে শিক্ষা দপ্তর ক্ষুব্ধ। এনিয়ে DI (প্রাইমারি) ও DI (সেকেন্ডারি)-কে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দপ্তর।