সোমবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জেটিঘাটের বেহাল দশা,ঝুঁকির পারাপার, যে কোন মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে বড় দুর্ঘটনা  

News Sundarban.com :
আগস্ট ২২, ২০২৩
news-image

সুভাষ চন্দ্র দাশ, গোসাবা – প্রত্যন্ত সুন্দরবনের দ্বীপ বেষ্টিত গোসাবা ব্লক।এক দ্বীপ থেকে অপর দ্বীপে যাতায়াতের একমাত্র পথ নদীতে খেয়া পারাপার।সেই খেয়ার জেটিঘাটের অবস্থা জরাজীর্ণ।যে কোন মুহূর্তে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে নদীবক্ষে ভেঙে পড়ে বহু মানুষের সলিল সমাধি ঘটে যেতে পারে। জীবন জীবিকার তাগিদে প্রতিনিয়ত খেয়া পারাপার হয়ে ভগ্ন জেটিঘাট দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন হাজার হাজার সাধারণ মানুষ।শুধু তাই হয়, এলাকার ছাত্র ছাত্রীরা ও ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যাতায়াত করে।

এমন ঘটনা নতুন কিছুই নয়। বিগত প্রায় ৬ মাস আগে থেকে জেটিঘাট টি ভগ্নদশা অবস্থায় রয়েছে।সরকারী ভাবে বিভিন্ন জায়গায় এলাকার মানুষজন জেটিঘাট সংস্কারের কথা জানালেও কোন প্রকার সুরাহা হয়নি।এলাকার মানুষের দাবী কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙানো সম্ভব। সে ক্ষেত্রে প্রশাসনের ঘুম ভাঙানো কঠিন।

স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে,প্রত্যন্ত গোসাবা ব্লকের রাঙাবেলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রয়েছে গোমর নদী।নদীর একদিকে রাঙাবেলিয়া পঞ্চায়েতের জটিরামপুর,অপর দিকে সাতজেলিয়ার সুকুমারি।জটিরামপুরের জেটিঘাট টি দীর্ঘদিন যাবৎ ভগ্নদশায় রয়েছে। প্রতিদিনই এই খেয়া পারাপার হয়ে গোসাবা,ক্যানিং,বারুইপুর কলকাতায়য় যাতায়াত করেন লাহিড়িপুর, সাতজেলিয়া, ছোট মোল্লাখালি,কুমিরমারী, আমতলি পঞ্চায়েত এলাকার হাজার হাজার মানুষজন।খেয়া ভাড়া ৩ টাকা হলেও খেয়া থেকে নেমে জেটিঘাট দিয়েই যাতায়াত করতে হয়।বর্তমানে সেই জেটিঘাট সংস্কারের অভাবে ভেঙে পড়েছে।বিশাল ফাটলের মধ্যে কাঠের পাটাতন দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হয়ে থাকেন এলাকার মানুষ।

ঘটনা প্রসঙ্গে গোসাবার তৃণমূল নেতা তথা জেলাপরিষদ সদস্য অনিমেশ মন্ডল জানিয়েছে,‘গোসাবার জটিরামপুর খেয়া ঘাটের জেটিঘাট দীর্ঘ প্রায় ৬ মাস যাবৎ বেহাল অবস্থায় রয়েছে।বিডিও সহ সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদ কে জানিয়েছি।আশা করছি খুব শীঘ্রই জেটিঘাট সংস্কারের কাজ শুরু হবে। গোসাবার বিডিও বিশ্বনাথ চৌধুরী জানিয়েছে,‘জটিরাপুরের জেটিঘাটের বেহাল দশার ঘটনা নজরে এসেছে।জেটিঘাট সংস্কারের জন্য উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

বেহাল জেটিঘাট প্রসঙ্গে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম চন্দ্র হাজরা জানিয়েছেন, জেটিঘাটের বেহাল দশা আমার জানা নেই। ব্যাপারটি সম্পর্কে খোঁজ খবর নেবো। এবং সাধারণ মানুষ যাতে জেটিঘাট দিয়ে নিশ্চিন্তে যাতায়াত করতে পারেন যত দ্রুত সম্ভব উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। ’