গণনা কেন্দ্রের সামনে উদ্ধার আধপোড়া ব্যালট

মেদিনীপুর: গণনা কেন্দ্রের সামনে থেকে উদ্ধার হলো আধপোড়া ব্যালট। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। নারায়ণগড়ের নেকুড়সেনি বিবেকানন্দ বিদ্যাভবনে ডিসিআরসি এবং স্ট্রং রুম, গণনা কেন্দ্র করা হয়েছিল। তবে গণনা মিটে যাওয়ার পর মিলল আধপোড়া, ছেঁড়া ব্যালট। ব্যালট পুড়িয়ে তথ্য লোপাটের চেষ্টা হয়েছে, অভিযোগ তুলেছে বিজেপি-সিপিএম-সহ বিরোধী দলগুলি। শুক্রবার নজরে আসে বেশ কয়েকজনের। গণনা কেন্দ্রের সামনে রেখে আধপোড়া ব্যালট পাওয়ার একটা ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়। অভিযোগ উঠেছে ভোট লুঠের। প্রসঙ্গত, রাজ্যে ভোট লুঠের অভিযোগ বারংবার তুলেছে বিজেপি থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দল গুলি।
গণনার দিনও অনিয়মের অভিযোগ উঠে। শনিবার ভিডিও প্রকাশ্যে আসতে সত্যি বলে মনে করছে বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ, প্রশাসনকে নিয়ে ভোটে জিতেছে তৃণমূল। যদিও আধপোড়া ব্যালটে সব দলেরই চিহ্ন আছে। নারায়ণগড় ব্লকের কাশীপুর, কুনারপুর, নারায়ণগড়, তুতরাঙ্গা-সহ একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির আসনের বেশ কয়েকটি আধপোড়া, ছেঁড়া ব্যালট পাওয়া গিয়েছে। কেন ব্যালট প্রকাশ্যে এল? পোড়ানোই বা হল কেন? বিজেপির অভিযোগ, ভোটের নামে লুঠ চলেছে। এসব তারই প্রমাণ। বিজেপির দাবি, বিষয়টি নিয়ে তারা আদালতে যাবেন।
বিজেপির মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি অরূপ দাস বলেন, ‘গণনার দিনেই ব্লক প্রশাসন ও পুলিশের নেতৃত্বে গণনার টেবিলেই কারচুপি হয়েছে। গণনা কেন্দ্রের ক্যাম্পাসের মধ্যে পোড়া ব্যালট পেপার উদ্ধার সেই অভিযোগকে সত্যি প্রমাণ করল। তথ্য-সহ আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে দল।’ শুধু বিজেপি নয়, বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে সিপিএমও। সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য তাপস সিনহা বলেন, ‘ভোট লুঠের যা যা পরিকল্পনা। সবটাই করা হয়েছে। তৃণমূল প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে একাজ করেছে। পোড়া ব্যালট সামনে আসা ভোট লুটের প্রমাণ। এটা মানুষের রায় না। রায় বদলে দেওয়া হয়েছে। আমাদের কাছে তথ্য প্রমাণ আছে। বিডিও আদালতে তার জবাব দেবেন।’