শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বাম-কংগ্রেস জোটের ডাকা বনধ,ট্রেন অবরোধ,রাস্তায় যানবাহন রয়েছে সচল

News Sundarban.com :
নভেম্বর ২৬, ২০২০
news-image

নিউজ সুন্দরবন ডেক্স:  করোনা তান্ডবে জর্জরিত দেশ তথা সমগ্র বিশ্ব। সেই কঠিন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ জর্জরিত।বাম-কংগ্রেস জোট বিভিন্ন দাবীতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বৃহষ্পতিবার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল। বৃহষ্পতিবার সকালে সেই ধর্মঘট সফল করতে মাঠে নেমে পড়েছিলেন বাম-কংগ্রেস-এসইউসিআই জোটের কর্মী সমর্থকরা। বৃহষ্পতিবার সকালে বনধ কে উপেক্ষা করে সাধারণ মানুষ অন্যান্য দিনের মতো পথে নেমেছিলেন। সচল ছিল যানবাহন চলাচলও।

যদিও ক্যানিং মহকুমা এলাকায় সমস্ত কিছু ছিল সচল তবে সাময়িক ভাবে কয়েক ঘন্টার জন্য বনধ এর আংশিক প্রভাব পড়েছিল।এদিন সকাল থেকে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ক্যানিং লাইনের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল।সকাল ৬ টার পর বনধ সমর্থকরা শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ক্যানিং লাইনের বেতবেড়িয়া(ঘোলা) ও ঘুটিয়ারী ষ্টেশনে রেল লাইনের উপর বসে পড়ে অবরোধ করেন।এর ফলে সকাল ১০ টা পর্যন্ত এই লাইনে সম্পূর্ণ ভাবে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। যদিও রেল পুলিশের হস্তক্ষেপে পুণরায় সকাল ১০ টা বেজে ৩ মিনিটে আবারও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার সোনারপুর জিআরপি পুলিশ রেল অবরোধের জন্য দুজন বনধ সমর্থক কে আটক করে।

অন্যদিকে এদিন সকালে ক্যানিং মহকুমার বাসন্তী,গোসাবা এবং জীবনতলা এলাকা ছিল সম্পূর্ণ ভাবে সচল।খেয়া পারাপার থেকে শুরু করে রাস্তাঘাটে যানবাহন ছিল অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক। তবে এদিন সকালে ক্যানিংয়ের হাসপাতাল মোড়ে বেশকিছু বনধ সমর্থকেরা বনধ এর সমর্থনে ক্যানিং বারুইপুর রোড অবরোধ করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ক্যানিং থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।হটিয়ে দেয় বনধ সমর্থকদের।
এদিন বন্ধ পুরোপুরি সফল হয়েছে বলে দাবী করেছেন ক্যানিং ১ ব্লক জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কংগ্রেসে কমিটি-২ সোসাল মিডিয়ার কোঅর্ডিনেটর হারান চন্দ্র মিস্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন “বনধ পুরোপুরি সফল হয়েছে। সাধারণ মানুষ বনধ কে সমর্থন করে বাজারহাট, দোকানপাট এবং যানবাহন বন্ধ রেখেছিলেন।আগামী বিধানসভা নির্বাচনেও সাধারণ মানুষ এই জোটকেই সমর্থন করে বিজেপি এবং রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কে ছুড়ে ফেলে দেবে”।

অন্যদিকে বিজেপির দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব জেলার সম্পাদক সঞ্জয় নায়েক বনধের বিরোধিতা করে জানিয়েছেন “এই বনধ পুরোপুরি নাটক। রাজ্যের শাসক দলের ইন্ধনে বাম-কংগ্রেস-এসইউসিআই জোট বনধ ডেকেছিল। সাধারণ মানুষ এই বনধ কে পুরোপুরি প্রত্যখ্যান করে। অন্যান্য দিনের মতো জনজীবন স্বাভাবিক রেখেছিলেন। ফলে বিজেপি কে বনধ এর বিরোধিতা করতে হয়নি । এই বনধ সাধারণ মানুষ প্রত্যাখ্যান করায় আগামী বিধানসভা নির্বাচনে শাসকদল ও এই জোট কে সমুদ্রে নিক্ষেপ করে বাংলায় উন্নয়ণের জন্য বিজেপি কেই সমর্থন করবে বাংলার মানুষ। যার ফলে ধর্মঘট ডেকে সাধারণ মানুষের সমর্থন না পেয়ে ভয় পেয়ে গিয়েছে শাসকদল ও বাম-কংগ্রেস-এসইউসিআই জোট।”

ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভার বিজেপি পর্যবেক্ষক ডাঃ দিলীপ বৈদ্য ও ক্যানিং ১ মন্ডল বিজেপির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক রমেন মন্ডল বামেদের ডাকা সারা ভারত ধর্মঘট সম্পর্কে জানিয়েছেন “বাম কংগ্রেস প্রায় লুপ্ত প্রায়।কয়েকটি রাজ্যে পরজীবির মতো সামান্য অস্তিত্ব রয়েছে। তবে জনসমর্থন নেই। তারপর ও তারা ভারত বনধ ডেকে রাজনৈতিক আঙিনায় আধিপত্য বিস্তার করার জন্য মাঠে নেমেছিলেন। সাধারণ মানুষ সমর্থন করেনি। ফলে আগামী দিনে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলের কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না।কলকাতার যাদুঘরে স্থান পাবে।”
অন্যদিকে সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সদস্য তাপস আধিকরী বলেন “তৃণমূল ও বিজেপি টাকার এপিঠ আর ওপিঠ। দুটি দল দেশ কে সর্বনাশের পথে ঠেলে ফেলে দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে ব্যস্ত।

সাধারণ মানুর এই সাম্প্রদায়িক বিজেপি ও শাসক দল তৃণমূল কে প্রত্যাখ্যান করে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে উৎখাত করবে।সেই কারণে সাধারণ মানুষ আজ বনধের সমর্থনে পথে নেমে বনধ কে পুরোপুরি সফল করেছে।”