শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পরীক্ষায় শক্ত প্রশ্নপত্র ,ছাত্রদের ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের

News Sundarban.com :
জুলাই ২৭, ২০১৮
news-image

২০১২ সালে প্রাইমারি টেট পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র শক্ত করা হয়। সেই সময় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ১৯ জন চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের অভিযোগ, এনসিটিই-র গাইডলাইন মেনে প্রশ্নপত্র করা হয়নি। মামলা চলাকালীন ১৯ জন মামলাকারীর দাবি সত্য প্রমাণীত হয়। গত ৬ বছর ধরে মামলা চালিয়ে যান তাঁরা। শুক্রবার ছিল সেই মামলা শুনানি। এদিন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। বিচারপতি এনসিটিই-কে প্রশ্ন করেন, ‘‘২০১২ সালের প্রাইমারি টেটে সত্যিই কি গাইডলাইন মেনে প্রশ্ন করা হয়নি?’’ উত্তরে এনসিটিই-র তরফে স্বীকার করে নেওয়া হয়, ‘‘সেবছর টেটের প্রশ্নের মান অত্যন্ত কঠিন হয়েছিল। তা সিলেবার বহির্ভূত ছিল।’’পরীক্ষায় শক্ত প্রশ্নপত্র কেন? ছাত্রদের ক্ষতিপূরণ দিতে প্রাইমারি বোর্ডকে নির্দেশ হাইকোর্টের। শক্ত প্রশ্নপত্রের অভিযোগে ১৯ জন মামলা করেন। সেই মামলায় শুক্রবার প্রাইমারি বোর্ডকে এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিল বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ প্রাইমারি বোর্ডকে এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। নিজের পকেটের টাকা খরচা করে গত ৬বছর ধরে মামলা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার খরচ বাবদ ১৯ জন মামলাকারীর মধ্যে ওই এক লক্ষ টাকা ভাগ করে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের প্রাইমারি টেট নিয়েও একটি মামলার শুনানি ছিল হাইকোর্টে। ২০১৪ সালে প্রাইমারি টেটে প্রশ্নপত্রে ১১টি প্রশ্নকে ঘিরে বিতর্ক ছড়ায়। পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ ছিল, ওই ১১টি প্রশ্নের উত্তর হিসেবে যে ৪টি বিকল্প দেওয়া হয়েছিল। তার সবকটি-ই ছিল ভুল।
মামলাকারী পরীক্ষার্থীদের সেই অভিযোগকেই প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে নিল হাইকোর্ট। ওই ১১টি প্রশ্নের বিকল্প নিয়ে পরীক্ষার্থীরা যে প্রশ্ন তুলেছিল, তাকেই মান্যতা দিল আদালত। এই বিষয়ে অবিলম্বে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য সবুজকলি সেনকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।