শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সেপ্টেম্বরে বসতে পারে রাজ্য বিধানসভার নিয়ম রক্ষার অধিবেশন

News Sundarban.com :
আগস্ট ১৯, ২০২০
news-image

নিউজ সুন্দরবন ডেস্ক: করোনা আবহেও নিয়ম রক্ষার জন্য বসানো হতে পারে বিধানসভার অধিবেশন। আগামী মাসেই অতি সংক্ষিপ্ত এই অধিবেশন বসানোর ব্যপারে আলোচনা শুরু হয়েছে বিধানসভা ও পরিষদ বিষয়ক দপ্তরের অন্দরে। চলতি বছরের মার্চ মাসে বসেছিল রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন বসেছিল।করোনার প্রাদুর্ভাব ঘটায় নির্দিষ্ট সময়ের আগেই আগে ভাগেই অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়।

সংসদীয় বিধি মোতাবেক নিয়মানুযায়ী পরবর্তী অধিবেশন ১৮০ দিনের মধ্যেই বসাতে হবে। সেই হিসাবে সেপ্টেম্বর মাসেই এবার রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন বসানোর ব্যপারে তৎপরতা শুরু হয়েছে। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই বিধানসভার আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে দিয়েছেন। যে সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে রাজ্য বিধানসভায় তাদের মতামতও নিতে পারেন অধ্যক্ষ। তবে দিনক্ষন এখনও ঘোষিত হয়নি।জানা গিয়েছে, বিধানসভার অধ্যক্ষ এখন সবথেকে বেশি চিন্তিত বিধায়কের বসানোর ব্যবস্থাপনা নিয়ে। চেষ্টা করা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিধায়কদের বসার ব্যবস্থা করতে। যাতে দুইজনের বসার মাঝে অন্তত যাতে দুটি আসনের ব্যবধান থাকে সেই ব্যবস্থা চালু করা হতে পারে। এর জন্য গ্যালারিতেও যাতে বিধায়কেরা বসতে পারেন সেই দিকটিও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। মাথায় এটাও রাখা হচ্ছে যাতে অধিবেশনের দিনগুলিতে প্রতিটি দলের বিধায়কেরা আনুপাতিক হারে উপস্থিত থাকতে পারেন। অর্থাৎ সব দলের সব বিধায়কেরা একদিনেই বিধানসভায় আসবেন না। তাঁরা ‘অলটারনেট ডে’ মেনে চলবেন। অর্থাৎ যে বিধায়ক সোম, বুধ ও শুক্রবার অধিবেশনে উপস্থিত থাকবেন তিনি মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শুক্রবার উপস্থিত থাকবেন না। তাঁর পরিবর্তে তাঁদের দলেরই অন্য কোনও বিধায়ক অধিবেশনে উপস্থিত থাকবেন। তবে এবারে অধিবেশন কক্ষ থাকবে একদমই দর্শকশূণ্য। সাংবাদিকদের গতিবিধিও নিয়ন্ত্রীত হতে পারে। এমনকি বিধানসভা ভবনের প্রবেশ পথে স্যানিটাইজার চ্যানেল বসানোর ভাবনাও রয়েছে বলে বিধানসভা সূত্রে জানা গিয়েছে।

প্রাথমিক ভাবে সেপ্টেম্বরে অধিবেশন বসানো নিয়ে স্পিকার ও রাজ্য সরকার ঐক্যমত্যে এলেও ঠিক কবে থেকে অধিবেশন বসবে আর তা কতদিন চলবে তা এখনও ঠিক হয়নি। তবে জানা গিয়েছে এবারে অধিবেশন সংক্ষিপ্ত হবে। যে যে বিল বা প্রস্তাব আনতেই হবে সেগুলিকেই গুরুত্ব দেওয়া হবে এই অধিবেশনে। অধিবেশন দৈনিক ভিত্তিতে বসলেও তা ৫-৬ ঘন্টার বেশি হবে না। সেপ্টেম্বরের অধিবেশন যদি ঠিক ভাবে করা যায় তাহলে শীতকালীন অধিবেশন ২ মাসের হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। তবে চিন্তা থাকছে রাজ্যের বেশ কিছু বিধায়কের মারণ ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার নজির। যারা ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন তাঁরা অধিবেশনে যোগ দেওয়ার ছাড়পত্র পাবেন কিনা সেটিও দেখার বিষয়।