মঙ্গলবার, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অ্যাপ ক্যাবের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের

News Sundarban.com :
জুন ১৮, ২০১৮
news-image

ভাড়া বাড়লেও হলুদ ট্যাক্সির জুলুমবাজি অব্যাহত। কখনও যাত্রী প্রত্যাখান তো কখনও মিটার বহির্ভূত অতিরিক্ত ভাড়া দাবি। শহরের ট্যাক্সি পরিষেবার এই চেনা অপ্রিয় ছবি পাল্টাতে সচেষ্ট পরিবহণ দফতর। অভিযোগ জানাতে নয়া দুই হেল্পলাইন চালু করা হল দফতরের তরফে। যাত্রী প্রত্যাখান থেকে চালকের জুলুমবাজি, সব সমস্যাতেই অভিযোগ জানাতে পারবে শহরবাসী। শনিবার থেকে অভিযোগ জানানোর জন্য যে দুটি নম্বর পরিবহণ দফতর দাবি করেছে তা হল, ৮৯০২০১৭১৯১ এবং ১৮০০৩৪৫৫৯২। এর মধ্যে একটি হোয়াটস অ্যাপ ও অপরটি ট্রোল ফ্রি নম্বর। এবার যাত্রী প্রত্যাখান সহ চালকদের দুর্ব্যবহারের অভিযোগ পেলেই তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ নেবে পরিবহণ দফতর।
আবার অন্যদিকে, অ্যাপ ক্যাবের বিরুদ্ধে যাত্রীদের এই অভিযোগ নিত্যদিনের। অবশেষে এবার ওলা-উবরের ভাড়া নিয়ন্ত্রণের পথে হাঁটছে রাজ্য সরকার। সার্জ চার্জের ব্যাখ্যা চেয়ে দুই সংস্থাকেই চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাদের জবাব খতিয়ে দেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ করবে পরিবহন দফতর। দূরত্ব একই। কিন্তু দিনের এক এক সময়ে এক এক রকম ভাড়া। অ্যাপ খোলার আগেই যেন আতঙ্ক। আতঙ্কের নাম সার্জ চার্জ। যে দুই শব্দের আড়ালে স্মার্ট ক্যাব সংস্থাগুলি যাত্রীদের পকেট খালি করার বন্দোবস্ত সেরে রেখেছে। অফিসটাইমে বা ঝড়বৃষ্টির সময়ই ভাড়া তিনগুন-চারগুণ বাড়িয়ে রেখে দেয় স্মার্ট ক্যাবগুলি। ঝোপ বুঝে কোপ মারে তারা। বিপাকে পড়তে হয় নিত্যযাত্রীদের। দিনের পর দিন অভিযোগ পেয়ে এবার নড়েচড়ে বসল পরিবহন দফতর। কেন, কীভাবে সার্জ চার্জ নেওয়া হয়? কারা সার্জ চার্জের পরিমাণ ঠিক করেন? সংস্থায় কি কোনও পরিবহন বিশেষজ্ঞ রয়েছেন যিনি সার্জ চার্জের বিষয়টি দেখেন? ওলা-উবরের কাছে এরকম ৩০টি প্রশ্নের জবাব চেয়েছে পরিবহন দফতর। প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য দেওয়া হয়েছে ১৫ দিন সময়। দুই সংস্থার জবাব আসার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ করবে পরিবহণ দফতর।
ওলা-উবরের দাবি চাহিদা বাড়লে তারা ভাড়া বাড়ায়। যা দিনেদুপুরে ডাকাতি! অবশেষে সরকার পদক্ষেপের চেষ্টা করায় আশার আলো দেখছেন আম-জনতা। অ্যাপ ক্যাবের পাশাপাশি ন্তুন ভাড়া বৃদ্ধির পরও সেই মুখের উপর ‘ ট্যাক্সিচালকদের ‘না’… ! যারা যেতে রাজি, তারা আবার মিটারে যেতে রাজি নন। তাঁদের আবদার, দিতে হবে থোক টাকা। ভুক্তভোগীদের প্রশ্ন, ভাড়া বাড়ার পরেও কেন হলুদট‍্যাক্সির জন‍্য এ ভাবে ভোগান্তিতে পড়তে হবে? এই চিত্র বদলাতেই কড়া হচ্ছে পরিবহণ দফতর। তাতে বদল আসবে কতটা তা সময়ই বলবে।