প্রথম শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তক পুড়িয়ে চলছে মিড ডে মিলের রান্না
নিম্নমানের মিড ডে মিল,প্রথম শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তক পুড়িয়ে মিড ডে মিল রান্না, স্কুলের পুকুরে মাছ চুরি সহ একাধিক অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভের পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের স্কুলের মধ্যে তালা দিয়ে আটকে রাখে দীর্ঘক্ষণ।ঘটনার খবর পেয়ে ক্যানিং থানার পুলিশ গ্রামবাসীদের আশ্বস্থ করে বিক্ষোভ তুলে শিক্ষক শিক্ষাদের উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়।শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিং থানার নিকারীঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঙ্গাশখালি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে,ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম থেকেরচতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত ২৫৩ জন ছাত্র ছাত্রী পড়াশোনা করে।প্রধান শিক্ষিকা রীতাপাল সরকার,মদন সরদার,দেবাশীষ দেবনাথ সহ মোট পাঁচজন শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন।
অভিভাবকদের অভিযোগ,প্রতিদিনই নিন্মমানের মিডডে মিল রান্না হয়। যা কুকুরে খাওয়ার অযোগ্য।আরো অভিযোগ,স্কুলের পুকুর থেকে মাছ ধরা হয় ছাত্র ছাত্রীদের খায়ানোর জন্য। সেই মাছ শিক্ষক শিক্ষিকারা চুরি করে বাড়িতে নিয়ে যায়। পাশাপাশি প্রথম শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তক জ্বালানী হিসাবে মিডডে মিল রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়।
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে পাঙ্গাশখালি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রীতা পাল সরকার জানিয়েছেন, গ্রামবাসীরা যে সমস্ত অভিযোগ তুলছেন তা পুরোপুরি মিথ্যা।এগুলো গ্রামবাসীদের সাজানো ঘটনা।
ঘটনা প্রসঙ্গে নিকারীঘাটা অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি বিশ্বনাথ নস্কর জানিয়েছে,গ্রামবাসীরা পাঙ্গাশখালি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসী তা পুরোপুরি সত্য।তারপর শিক্ষক শিক্ষিকারা মিডডে মিল রান্নার জন্য পাঠ্যপুস্ত ব্যবহার করেছেন তা কলঙ্কজনক ঘটনা।বিদ্যালয়ের পঠন পাঠনও নিন্মমানের।ঘটনা সম্পর্কে আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ কে জানিয়ে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
অন্যাদিকে ক্যানিং চক্রের অবর শিক্ষা পরিদর্শক(এসআই)সতীপ্রসাদ ঘোড়ুই জানিয়েছেন, পাঙ্গাশখালি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কি ঘটনা ঘটেছে সে সম্পর্কে জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে যদি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।