শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পাড়ার মধ্যে নজরদারীর জন্য সিসিটিভি বসলো গ্রামবাসীদের উদ্যোগে

News Sundarban.com :
ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২০
news-image

ক্যানিং -গ্রামবাসীদের উদ্যোগে নজরদারী এবং সুরক্ষার জন্য বসলো সিসিটিভি।প্রত্যন্ত গ্রাম্য এলাকায় সাধারণ মানুষের এমন সচেতনতা এবং সুরক্ষার উদ্যোগ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় প্রথম।আর এমন উদ্যোগ নিয়ে গ্রামের মধ্যে একের পর এক বিদ্যুৎতের খুঁটিতে নজরদারীর জন্য সিসিটিভি লাগানোর কাজ দ্রুতগতিতে চলছে ক্যানিং থানার মাতলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদ্যাধরী পাড়া,তেলমিল পাড়া ও কার্গিল পাড়া এলাকায়।
উল্লেখ্য বিশ্বের বৃহত্তম ব-দ্বীপ সুন্দরবন। আর এই সুন্দরবনের সিংহদুয়ার কিংবা প্রবেশদ্বার ক্যানিং।এই ক্যানিং দিয়েই প্রতিদিনই হাজার হাজার দেশ বিদেশের পর্যটক সুন্দরবনে বেড়াতে যান। পাশাপাশি প্রতিদিনই কয়েক লক্ষ লোকজন এই ক্যানিং দিয়েই কলকাতা সহ অন্যত্র যাতায়াত করেন। ক্যানিংয়ে মাতলা ১ গ্রামপঞ্চায়েত অধীনস্থ এই বিদ্যাধরী পাড়ার রাস্তা দিয়েই বেশীর ভাগ সময় এই সমস্ত মানুষজন যাতায়াত করে থাকেন।সেই কারণে দিনে ও রাতে অসামাজিক লোকজন এবং দুষ্কৃতিদের আনাগোনা দিন দিন বেড়েই চলেছে।বেড়ে চলেছে তাদের অসামাজিক ক্রীয়াকলাপ ও। আর এমন অসামাজিক কাজকর্ম করে রীতিমতো সহজেই পালিয়েও যেতে সক্ষম সমাজ বিরোধীরা। এর পাশাপাশি সন্ধ্যার পর রাস্তা দিয়ে মহিলাদের যাতায়াত ও নিরাপদ নয়।
এই গ্রামপঞ্চায়েতের বিদ্যাধরী পাড়া,তেলমিল পাড়া এবং কার্গিল পাড়ায় প্রায় দশ হাজারেরও বেশী মানুষজনের বসবাস।এই পাড়াগুলিতে একটি প্রাইমারী স্কুল ও পাঁচটি আইসিডিএস সেন্টার রয়েছে।সমস্ত দিক পর্যলোচনা করে ক্যানিংয়ের মাতলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান শঙ্কর দাস ও বর্তমান উপপ্রধান প্রদীপ দাস সহ গ্রামের অন্যান্য মানুষজন এগিয়ে এলেন গ্রাম এবং মহিলা শিশুদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য।
সেইমতো বৃহষ্পতিবার সকাল থেকেই শুরু হল সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কাজ।
মাতলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান শঙ্কর দাস বলেন “তিনটি পাড়াতেই প্রায় ৬০ টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে।শুরুতেই আজ ৬ টি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তিনটি পাড়ায় নজরদারীর জন্য সমস্ত সিসি ক্যামেরা বসানো কাজ শেষ হয়ে যাবে।সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারী চললে একদিকে মহিলা,শিশুরা যেমন সুরক্ষিত হবে। তেমনই চুরি,ছিনতাই সহ অসামাজিক কাজকর্ম কমবে।পাশাপাশি সমাজ বিরোধীদের আনাগোনা ঠেকানো যাবে এবং সহজেই চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।”
সিসি ক্যামেরা বসিয়ে নজদারী প্রসঙ্গে পাড়ারই বাসিন্দা ষষ্ঠী প্রামাণিক,দীপঙ্কর দাস,রেনু দাস,কেশব দাস,বনশ্রী দাস’রা বলেন “খুব ভালোই উদ্যোগ। রাতের দিকে অনেক সময় বাড়ীতে ফিরতে হয়। দুষ্কৃতিদের আনাগোনা লক্ষ্যকরা যায়। সেই দিক দিয়ে এই ক্যামেরা বসানোয় আমরা কিছুটা হলেও নিরাপদ ভাবে চলাফেরা করতে সক্ষম হবো।”