শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মুড়িগঙ্গায় ৪-৫ ঘন্টা ভেসেল পরিষেবা বন্ধ, সমস্যায় নিত্য যাত্রীরা

News Sundarban.com :
আগস্ট ২১, ২০২৩
news-image

নিজস্ব প্রতিনিধি, কাকদ্বীপ: মুড়িগঙ্গা নদীতে পলি পড়ে যাওয়ার কারণে প্রতিদিন প্রায় ৪-৫ ঘন্টা ভেসেল পরিষেবা বন্ধ থাকছে। আর এই ভেসেল পরিষেবা বন্ধ থাকার ফলে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হচ্ছে সাগরে নিত্য যাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষদের। প্রায় সময় যাত্রী নিয়ে ভেসেল চড়ায় লেগে গিয়ে চরম বিপত্তি ঘটছে। আর ভেসেল পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেল সাগর যাত্রীদের একটাই ভরসা ছোটো ডিঙি নৌকো বা ভুটভুটি।

কিন্তু সেখানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ জামা কাপড় গুটিয়ে মুড়িগঙ্গা নদীর চড়ায় পড়তে হচ্ছে। তার পরে এক কিলোমিটারের বেশি কাদা মাড়িয়ে একেবারে মুড়িগঙ্গা নদীর মাঝ বরাবর গিয়ে এক কোমর জলে নেবে ভুটভুটি নৌকা ধরতে হচ্ছে সাগরে যাওয়ার জন্যে। শুধু ছেলেদের এই পরিস্থিতিতে সম্মুখীন হচ্ছে না, মেয়েদেরও একইভাবে এই পরিস্থিতি সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই দূর্ভোগ কিন্তু শেষ নয়। যাত্রী নিয়ে ভুটভুটি নৌকা পারাপার করার সময় যখন চড়ায় লেগে যায় তখন ওই অবস্থায় আটকে থাকতে হয় প্রায় তিন ঘন্টার বেশি। নিত্যযাত্রী থেকে সাধারণ মানুষদের একটাই অভিযোগ, প্রতিনিয়ত প্রতিশ্রুতি মেলে কিন্তু ঠিকমতো কাজ হয় না। আর সেই কারণেই চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয় তাঁদেরকে। তারা জানান, সাগর মেলার সময় বছরে একবার ড্রেজিং করা হয়। তখন সব ঠিক থাকে। দুই- তিন মাস যাওয়ার পরে পরিস্থিতিটা আবার একই রয়ে যায়। প্রতিনিয়ত তাদের জীবন হাতে নিয়ে পারাপার করতে হয়। কবে এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে সেই উত্তরের অপেক্ষায় সাগর বাসী।

সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা জানান, জোয়ার-ভাটা একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চলে। তবে পূর্ণিমার পর থেকে ষষ্ঠী পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে ভেসেল পরিষেবা বিঘ্নিত হয়। ফলে হাজার হাজার তীর্থযাত্রীদের অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। এটা বাস্তব ঘটনা। লট নম্বর ৮ থেকে কচুবেড়িয়া পর্যন্ত ব্রিজ করার ১০ থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা খরচ। সেই ক্ষমতা রাজ্য সরকারের নেই। সেজন্য আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করেছে। খুব শীঘ্রই কেন্দ্রীয় সরকার সবুজ সংকেত দিতে চলেছে। তাছাড়া কেন্দ্রকে না দিয়ে এবার রাজ্য সরকার নিজেদের উদ্যোগে ড্রেজিং করেছে। এবার ভালো ড্রেজিংও হয়েছে। কিন্তু জোয়ার ভাটার ফলে সেই জায়গাগুলো আবার পূরণ হয়ে যাচ্ছে। আর জোয়ার ভাটা সম্পূর্ণভাবে প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। এখানে কারোর কিছু করার নেই।