মঙ্গলবার, ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নামখানা ব্লকে চিনাই নদীর ওপর দুর্গাপুর জেটির  শুভ উদ্বোধনে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী 

News Sundarban.com :
অক্টোবর ১৩, ২০২২
news-image

ঝোটন রয়, নামখানা:  নামখানা ব্লকের শিবরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্গাপুর জেটির আজ শুভ উদ্বোধন হলো। মৌসুনি দ্বীপে যেতে হলে খুব অসুবিধার মধ্যে পড়তে হতো স্থানীয় মানুষ থেকে শুরু করে টুরিস্টদের। একমত অবস্থায় মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় এবং সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রীর প্রচেষ্টায় আজ উদ্বোধন হলো চিনাই নদীর উপর এই জেটির। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা, সুন্দরবন বিষয়ক দপ্তরের আধিকারিক অতীন্দ্র ভট্টাচার্য, মহাকুমা শাসক অরণ্য বন্দ্যোপাধ্যায়, ছিলেন নামখানা ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক শান্তনুসিংহ ঠাকুর, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কল্পনা মালী মন্ডল, উপস্থিত ছিলেন গঙ্গাসাগর-বকখালি উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ শ্রীমন্ত কুমার মালি, উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন জেলা পরিষদের সদস্য তথা বিশিষ্ট সমাজসেবী অখিলেশ বারুই। ছিলেন শিবরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গীতা রানি কাঁপ, মৌসুমী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হাসনাবানু বিবি সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

এই প্রসঙ্গে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, যে দীর্ঘদিনের একটা আশা যা আজ পূর্ণ হয়েছে। মৌসুনি দ্বীপের বাসিন্দারা তাঁদের সুবিধা ও অসুবিধাতে খুব দ্রুততার সহিত ব্যবস্থা নিতে পারেন তার জন্য এই জেটি তৈরি করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন যে মৌসুনি বাসি শুধু নয়, নামখানা ব্লকের মানুষদের সুবিধা-অসুবিধার পাশে যেমনই রয়েছি আগামী দিনেও এই ভাবে পাশে থাকব।

এই পরিপ্রেক্ষিতে শিবরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গীতা রানী কাঁপ বলেন, দীর্ঘদিনের একটা মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা আজ পূর্ণ হলো তাই অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই সুন্দরবন উন্নয়ন বিষয় দপ্তরের মন্ত্রীকে। নিজে উদ্যোগ নিয়ে তৎপরতার সহিত অল্প সময়ের মধ্যে সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে টুরিস্টদের সুবিধার্থে এই জেটি তৈরি করেছেন।

এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য অখিলেশ বারুই বলেন, সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরার পরিকল্পনা আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে নদীবেষ্টিত এলাকার মানুষজন নদীর এপার ওপার যেতে পারবে। তখনকার সময়ে বাঁশের ওপর, কোথাও কাদা পেরিয়ে খুব কষ্টের মধ্যে যাতায়াত করতে হতো। মৌসুমী দ্বীপের মানুষদের একটাই আশা ছিল যে এই দুর্গাপুরে এটা কংক্রিটের যদি একটা জেটি হতো তাহলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমরা নদী পেরিয়ে নামখানা থেকে কলকাতা চলে যেতে পারতাম। তাই এই জেটিটা হওয়ার কারণে অল্প সময়ের পেরিয়ে আসা এবং অল্প সময়ের যোগাযোগের একটা ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে।

অন্যদিকে বাগডাঙ্গা ও নামখানা গাড়ি ইউনিয়নের সভাপতি শফিউল্লা খান বলেন, দীর্ঘদিনের এই জেটি আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে এতে আমরা খুব খুশি। কিন্তু বাগডাঙ্গা আসতে গেলে বেশ কিছু জায়গায় রাস্তার কিছু সমস্যা রয়েছে এবং আমাদের গাড়ির ড্রাইভারদের থাকতে হলে গাছের নিচে থাকতে হচ্ছে। তাই মন্ত্রীর কাছে আমাদের অনুরোধ আমাদের একটা ছোট অফিস ঘর করে দেওয়া হোক যাতে আমরা রোদ জল বৃষ্টিতে একটু ঠাঁই পেতে পারি।

আজ জেটি উদ্বোধন হয়ায় খুশির হাওয়া বইছে এলাকাবাসীর মনে।