মঙ্গলবার, ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নিম্নচাপের জেরে বিশ্বকর্মা ঠাকুর গড়তে বেগ পেতে হচ্ছে মৃৎশিল্পীদের 

News Sundarban.com :
সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২
news-image

ঝোটন রয়, নামখানা:

রাত পোহালেই বিশ্বকর্মা পূজো। করোনার প্রকোপ কাটিয়ে আস্তে আস্তে করে দেব-দেবীর পূজো পার্বণে ব্রতি হচ্ছেন প্রত্যন্ত সুন্দরবনের নামখানা ব্লকের বাসিন্দারা।

গত বছরের তুলনায় এবছর পুজো প্যান্ডেলের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েছে। নিম্নচাপের জেরে অবিরাম বর্ষাতে ভাসছিল সমগ্র রাজ্য । শুক্রবার সকালে রোদ্দুর দেখা গেলেও বিকেল থেকে আকাশের মুখ ছিল ভার। ফলে এই মোরসুমে মৃৎশিল্পীদের ঠাকুর গড়তেও অনেক বেগ পেতে হয়েছে।

সবে সবে মারন ভাইরাস করোনার প্রকোপ কাটিয়ে উঠেছে তার ওপর বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপের জেরে পাঁচ দিন ধরে তুমুল বৃষ্টি। এরই মধ্যে মৃৎশিল্পীরা রাত-দিন এক করে তুলির টানে বিশ্বকর্মা কে রূপ দিয়ে চলেছে। পেট্রোল, ডিজেলের দাম যেমনই হারে বাড়ছে ঠাকুর দেবতার দামও তেমনই কোনো অংশে কম নেই।

এই প্রসঙ্গে নামখানা ব্লকের সাতমাইল বাজারের মৃৎশিল্পী রবীন্দ্রনাথ গিরি বলেন, আমাদের পরিবার ৪০ বছর ধরে ঠাকুর গড়ে চলেছে। এই করোনা ভাইরাসের ফলে রুজি রোজকারে ক্রমশ টানও পড়েছে। পরিবারের পাঁচ জনের বাস। ছেলের পড়াশোনা থেকে শুরু করে পরিবারের অসুখ-বেসুখ সবই এই রুজির উপর নির্ভর করছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর ঠাকুর তৈরীর সামগ্রিকের দাম আকাশ ছোঁয়া। সেই স্বরূপ এই বছর পুজোর দিকে তাকিয়ে ঠাকুরের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। PWD (Public Works Department) জায়গার ওপরে দোকান বেঁধে চলছে ঠাকুর তৈরির কাজ। আমরা সারা বছরই ঠাকুর তৈরী করা আমাদের রুজি রোজগারের পথ। রাস্তা বাড়ছে তাই যে কোনো মুহূর্তে দোকানপাট ভাঙ্গা হতে পারে। আমাদের ঠাকুরগড়ার আস্তানা বলতে আর কোনো জায়গায়ই নেই। তাই সরকারি ভাবে কোনো সাহায্য পেলে খুব ভালো হয়। এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে এ বছর ঠাকুরের দাম রয়েছে ১৫০০ থেকে ৪৫০০ পর্যন্ত। এমনকি বাজারে পুজোর অন্যান্য সামগ্রীর দাম ও রয়েছে চড়া।