শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্লাস্টিক মুক্ত সবুজ সুন্দরবন গড়ার উদ্যোগ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা 

News Sundarban.com :
জুন ৫, ২০২১
news-image

ভাষ্কর দাশ ক্যানিং – আন্তর্জাতিক ম্যানগ্রোভ অরণ্য সুন্দরবন। রয়েছে ৩৫০০ কিলোমিটার নদীবাঁধ,রয়েছে অসংখ্য নদী,৪০০ প্রজাতির গাছগাছালি,বিভিন্ন ধরনের বন্য জন্তু জানোয়ার,সরিসৃপ। রয়েছে আন্তর্জাতিক রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার।১৯ টি ব্লক নিয়ে ভারতীয় ভূখন্ডের সুন্দরবন।ছোটবড় মিলিয়ে ১০২ টি দ্বী।

বর্তমানে ৪৮ টি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে প্রাকৃতি দুর্যোগে। রয়েছে মাত্র ৫২ টি। এই ৫২ টি দ্বীপে প্রায় পঞ্চা লক্ষ মানুষ বসবাস করেন।আন্তর্জাতিক খ্যাত ম্যানগ্রোভ অরণ্য সুন্দরবন কে প্লাস্টিক মুক্ত করার জন্য সরকারি তরফে একাধিক নির্দেশিকা ঘোষণা করা হয়েছিল। বাস্তবে রূপান্তরিত করা যায়নি। এখনও সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রান্তে যতত্তত্র পড়ে রয়েছে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ,জলের বোতল।এছাড়াও নদীতে প্লাস্টিক ভাসছে চোখে পড়ে।

সাম্প্রতিককালে ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সমগ্র সুন্দরবনের উপকুলবর্তী এলাকা। প্রতিদিন প্রতিনিয়ত ত্রাণ সামগ্রী যাচ্ছে সেইসমস্ত দুর্গতদের জন্য। ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে অন্যতম প্রধান পানীয় জল রয়েছে। সেগুলো আবার প্লাস্টিকের বোতল বন্দি।৫০০ গ্রাম থেকে ৫ লিটার অবধি।এই সমস্ত প্লাসটিক থেকে সুন্দরবনের বিভিন্ন দ্বীপে প্রভাব পড়বে পরিবেশের উপর।যার ফলে মারাত্মক ক্ষতি হবে, এমনটাই আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ থেকে পরিবেশবিদ ও বিজ্ঞানীরা! প্রশাসনের তরফ থেকেও এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে সেরকম ব্যবস্থা চোখে পড়েনি। ৫ জুন আন্তর্জাতিক পরিবেশ দিবস।

পরিবেশ দিবস কে সামনে রেখে সবুজ সুন্দরবন গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে এল বারুইপুরের চম্পাহাটি স্বাস্থ্যমেলা ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নামে এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সংগঠনের সদস্যরা সুন্দরবনের বিভিন্ন দ্বীপ ঘুরে ঘুরে পড়ে থাকা প্লাস্টিকের বোতল সংগ্রহ করছেন পাশাপাশি সেই সমস্ত দ্বীপের বাড়িতে ঘুরে ঘুরে প্লাস্টিকের বোতল সংগ্রহ করছেন এবং বিনিময় নতুন একটি স্থায়ী পানীয় জলের বোতল প্রদান করছেন তাঁরা। সংস্থার কর্ণধার প্রসেনজিৎ মিস্ত্রি বলেন কলকাতা থেকে একাধিক সংগঠন কয়েকদিনের মধ্যে লক্ষ লক্ষ পানীয় জলের বোতল সুন্দরবনের মধ্যে এনেছেন। সেই সমস্ত লক্ষ লক্ষ প্লাস্টিকের বোতল গোটা সুন্দরবনের বিভিন্ন দ্বীপে ছড়িয়ে পড়েছে। আগামী দিনে এর ফলে সুন্দরবনের মতো দ্বীপের পরিবেশে কতটা যে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে তা আশাঙ্কা করা যায়। সুন্দরবনে এই মুহূর্তে আর পানীয় জলের অভাব নেই সুতরাং প্রশাসনের উচিত এই মুহূর্তে ১ লিটার ২ লিটার ছোট পানীয় জলের বোতল সুন্দরবনের প্রবেশের ক্ষেত্রে কঠোর ভাবে নিষেধাজ্ঞা করা হোক। নাহলে আগামী দিনে আমরা সুন্দরবনকে বাঁচাতে পারবো না। তিনি আরো বলেন আমাদের সংগঠনের সদস্যরা শনিবার সুন্দরবন কে প্লাস্টিক মুক্ত করার যে কর্মসূচি গ্রহণ করেছি, আগামী দিনেও চলবে এমন কর্মসূচি।”

আন্তর্জাতিক পরিবেশ দিবসের দিন বারুইপুরের এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অভিনব প্রয়াস কে কুর্নিশ জানিয়েছে ইয়াস বিধ্বস্ত সুন্দরবন বাসী সহ অন্যান্য সাধারণ মানুষজন এবং পরিবেশবিদরা।