জমছে দেহ, করোনা রোগীদের দাহ করতে ধাপায় নতুন চুল্লি তৈরির তৎপরতা
নিউজ সুন্দরবন ডেক্স: ক্রমশই কলকাতা-সহ সারা রাজ্যে জুড়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা বাড়ছে হু-হু করে। প্রতিদিনই রাজ্যে গড়ে ২৫-২৭ জনের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে মারণ ভাইরাস। তবে করোনায মৃতদের দেহ সৎকার নিযমিত করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। বিভিন্ন হাসপাতালের মর্গে দিনের পর দিন পরে থাকছে করোনা রোগীর দেহ। এতে যেমন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আতান্তরে পড়ছেন তেমনই প্রবল মানসিক যন্ত্রণা পেতে হচ্ছে মৃত রোগীর পরিজনদের।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন, করোনায় মৃতদের সৎকারের কাজ দ্রুত করা হবে। এর পরেই ধাপাতে নতুন চুল্লি তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুর নিগম। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ধাপাতে আরও দুটি নতুন চুল্লি তৈরির কাজ শুরু হবে বলেই পুর নিগম সূত্রের খবর।
বর্তমানে ধাপাতে দুটি চুল্লিতে মৃতদেহের সৎকার করা হয়। যদিও সেগুলি বহুদিনের পুরনো। মূলত বেওয়ারিশ লাশ এখানে দাহ করা হত। কিন্তু করোনার জেরে এই চুল্লিতেই সেই সংক্রান্ত মৃতদেহগুলি দাহ করা হত। ফলে স্বাভাবিকভাবেই চাপ বেড়েছে ধাপার চুল্লির উপর। তার উপর ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে একটি চুল্লি খারাপ হয়ে যাওয়ায় তার সংস্কারের কাজ চলছে। ফলে সবেধন নীলমণি একটা চুল্লির উপর চাপ বাড়ছে ক্রমাগত।
ধাপাতে মূলত কলকাতা, সল্টলেক, দুই ২৪ পরগনার করোনায় মৃতদেহের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া করা হয়। একটি চুল্লি বন্ধ থাকায় সমস্যা হচ্ছে বলে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফের পুর নিগমকে নতুন চুল্লি বানানোর জন্য এক প্রস্তাব দেওয়া হয় চলতি সপ্তাহে। তারপরেই পুর নিগমর বিদ্যুৎ বিভাগের আধিকারিকেরা সরেজমিনে এলাকা দেখে এসে চুল্লি বানাবার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন। পুর নিগম তরফে জানা গিয়েছে, আগামী অক্টোবর-নভেম্বরের মধ্যেই এই চুল্লি তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে।একইসঙ্গে, বাইপাস থেকে ধাপাগামী রাস্তার একটা অংশ যথেষ্ট জরাজীর্ণ। সেই অংশে গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে নানাবিধ সমস্যা রয়েছে। সেই সমস্যা মেটাতে এবার রাস্তা সংস্কারের কাজ হাত দিতে চলেছে কলকাতা পুর নিগম। নতুন করে সেই রাস্তা আরও চওড়া করা হবে। তার জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হবে। সেই কারণে স্থানীয় চাষীদের কিছু ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুর নিগম। চলতি সপ্তাহে পুরভবনে এই সংক্রান্ত একটি বৈঠকও হয়। শীঘ্রই জমি জরিপের কাজ শুরু করা হবে। তারপরেই চাষিদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে কাজ শুরু করা হবে।