সোমবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আমি ১০০ শতাংশ সুনিশ্চিত আমি জেলা পরিষদে জয় লাভ করব : অখিলেশ বারুই

News Sundarban.com :
জুলাই ৭, ২০২৩
news-image

দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা ব্লকের জেলা পরিষদ থেকে তৃনমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন অখিলেশ বারুই । পার্থীর মুখোমুখি হয়ে সাক্ষাৎকার নিলেন newssundarban.com এর রিপোর্টার ঝোটন রয়। 

প্রশ্ন:  আপনার দল আপনাকে কেমন রেখেছে।

উত্তর:  মন প্রাণ দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস করি। দলটা যে জায়গায় রয়েছে দলটাকে নিয়ে আমি ভাবি। আমি একজন কর্মী হিসেবে গর্ববোধ করি।

প্রশ্ন: এবারে লড়াইটাকে আপনি কেমন ভাবে দেখছেন।

উত্তর:  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে আগ্রাসী উন্নয়ন এবং যে প্রকল্প গুলো রয়েছে। এই প্রকল্প গুলো বাস্তবায়িত করতে গিয়ে হয়তো কিছু মানুষের অভাব অনটন থেকে গেছে। অথবা কোথাও ভুল হয়েছে,কোথাও তেমন করে উন্নয়ন হয়নি। এই লড়াইটা দেখছি যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সাথী হওয়া মানুষ কিন্তু রয়েছে। তারা কিন্তু আগামী দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জোড়া ফুল চিহ্নকে স্বাগত জানাবে।

প্রশ্ন: গত পাঁচ বছরে আপনারা মানুষকে কি দিয়েছেন।

উত্তর:  বিগত বছরের যখন আমি জেলা পরিষদের মেম্বার ছিলাম, পরবর্তী পর্যায়ে পঞ্চায়েত মেম্বার। সার্বিকভাবে যে সমস্ত কাজগুলো হয়েছে সেগুলো হলো রাস্তাঘাট, পানীয় জল, স্বাস্থ্য পরিষেবা, বিদ্যুৎ,  আইসিডিএস সেন্টার, এমনকি মানুষকে বুঝিয়ে যারা আজ আই সি ডি এস সেন্টার বা স্বাস্থ্য কেন্দ্র করার জন্য ভূমি দিয়েছেন, কিছু জায়গায় হয়তো এখনো পর্যন্ত বিল্ডিং গড়ে ওঠেনি কিন্তু তাদের আগ্রহ সরকারকে জমি দিয়ে সাহায্য করা। আমাদের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা তিনি পরিকল্পনাগুলোকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে। অধরা একটা বড় রাস্তা গাইনের বাজার থেকে সাত মাইল পর্যন্ত রাস্তার হাল দেখে তিনি কিন্তু দাপটের সঙ্গে তা বাস্তবে রূপায়িত করেছে।

প্রশ্ন: ভোটে জেতার ব্যাপারে আপনি কতটা আশাবাদী।

উত্তর:  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জোড়া ফুলে আমি ১০০ শতাংশ সুনিশ্চিত আমি জেলা পরিষদে জয় লাভ করব।

প্রশ্ন: মানুষের জন্যই  আপনার পরবর্তী প্ল্যান কি?  কিভাবে এলাকার উন্নয়ন করতে চান।

উত্তর:  মানুষের অনেক অভাব অনটন দেখেছি। যে সমস্ত পরিকল্পনা গুলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন তারা সেগুলো নিতে পারেননি। তাদের সাথে কোন যোগাযোগ নেই কিংবা ওই জায়গাতে কোন খামতি রয়েছে। সরকারের অনেক প্রকল্প দেখলাম যে অনেক জায়গাতে অজানা রয়েছে। আশীর্বাদ নিয়ে যখন আমি আসবো আমি তাদেরকে তিনটি অঞ্চলের উপর দাঁড়িয়ে দায়িত্ব নিয়ে সময় মতো করে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সপ্তাহে তিন দিন করে আমি ওদেরকে সময় দেব এবং পরিষেবা দেব। এটাই আমার মানসিকতা।

প্রশ্ন:  সাধারণত যে সময় ভোট পর্ব হয় তার থেকে অনেকটা পিছিয়ে গেছে। গ্রামগঞ্জের মানুষদের ক্ষেত্রে একটা চাষের মোরসুম। অধিকাংশ সময় চাষের কাজের জন্য ব্যস্ত। এরকম অবস্থাতে আপনার মনে হচ্ছে না যে ভোটে কোনো এফেক্ট পড়তে পারে।

উত্তর:  এই বৃষ্টি বাদল দিনে চাষীদের জমি জায়গা চাষ করতে হবে। কিন্তু মানুষের যা চিন্তাভাবনা রাস্তায় যত বাঁধা থাকুক না কেন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে একটা দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জোড়া ফুলের সাথী হবে।

প্রশ্ন:  দলীয় কমান্ডো অর্থাৎ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জনজোয়ার কর্মসূচি কোচবিহার থেকে শুরু করে কাকদ্বীপে শেষ করেছে। এই জনজোয়ারে বড় বড় হেভিওয়েট নেতাদের উপস্থিতি আপনাদের কেমন অক্সিজেন যোগিয়েছে।

উত্তর:  এই জনজোয়ার কর্মসূচিতে শেষের দিন অর্থাৎ ইন্দিরা ময়দানের মাঠ পুরোটাই ভরে গিয়েছিল। মানুষ এবং মায়েরা দেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে। কি নিষ্ঠা কি কষ্ট কি যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে মধ্য দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৬০ দিনের কর্মসূচি এখানে নিয়ে এসে শেষ করেছে। এর মধ্যে আরো একটা জিনিস উপলব্ধি করেছি মহিলারা হাত তুলে তারা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিনব প্রকল্প এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কষ্টের মধ্যে এই জনসংযোগ যাত্রা কোন এক রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেস করলো। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে এটি একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

প্রশ্ন:  সভা সমিতির মাধ্যমে প্রচার, অথবা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার কোনটার উপর বেশি জোর দিচ্ছেন।

উত্তর:  বাড়ি বাড়ি গিয়ে পচারের উপর বেশি জোর দিয়েছি। আমি বাড়ির মানুষের কাছে গিয়ে দেখেছি অনেকে রান্না করছে এই অবস্থাতে রান্নার জায়গা থেকে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসতে দেখেছি।

প্রশ্ন:   নির্বাচন একেবারে দরগোড়ায়, এইরকম অবস্থাতে আপনি জনগণের উদ্দেশ্যে কিসের বার্তা দিতে চান।

উত্তর: আমি জনগণকে বলবো এই প্রথম একটা পঞ্চায়েত নির্বাচন। এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়নের ডালি সাজিয়েছে। স্বাভাবিক কারণে এই উন্নয়নের সমস্ত প্রকল্পগুলো সুন্দরভাবে রাখতে যাতে কোনভাবে কোন বাধা সৃষ্টি না হয়। স্বতঃস্ফূর্তভাবে আপনারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জোড়া ফুলে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন।