শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আমফানের পর মৌসুনি দ্বীপে জ্বলেনি বিদ্যুতের আলো

News Sundarban.com :
জুন ২৮, ২০২০
news-image

ঝোটন রয়, নামখানা:

ঘুম ভেঙে ঘর থেকে বাহির হলেই চোখের সামনে পড়ে থাকে বিদ্যুতের খুঁটি। বাড়ির উঠানে রাস্তার দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে খুঁটি গুলো। যেমনি ভাবে আমফান ভেঙ্গে দুমড়ে হেলিয়ে দিয়েছে সেই একইভাবে। কেউ জানে না সবার বাড়িতে আবার কবে আলো জ্বলবে। ২০ মে আমফান ঝড় ক্ষত বিক্ষত করে দিয়েছিল সুন্দরবনকে। বলতে বলতে এক মাসের ওপর হয়ে গেল, কিন্তু বিদ্যুতের আলো আজও জ্বলেনি।

কিসি সমৃদ্ধ এলাকা হিসেবে পরিচিত এই মৌসুনি দ্বীপ। মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি আমাদের এলাকাতে জ্বলুক বিজলির বাতি। বেশ কয়েক বছর হল বর্তমান সরকার মৌসুমির প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুতের আলো জ্বালিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগে যে ভয়ানক দৃশ্য সুন্দরবনের মানুষের মুখোমুখি হয়েছিল সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
এই প্রসঙ্গে মৌসুমী দ্বীপের পঞ্চায়েত প্রধান হাসনা বানু বিবি বলেন, আমাদের বিদ্যুতের কাজ খুব দ্রুততার সহিত হচ্ছে। আগামী বুধবারের মধ্যেই আশা করি প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দিতে পারব।

অন্যদিকে মৌসুমীর বাসিন্দা লালমোহন মন্ডল বলেন, আমফান ঝড়ের পর থেকে আমাদের আর কারেন্ট নাই। বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে আবার সেই পুরনো যুগের হ্যারিকেন, ল্যাম্প, মোমবাতি জ্বালিয়ে রাতের অন্ধকার পার করতে হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ইমারজেন্সি হিসেবে আমাদের যে ফোন ব্যবহার করি তা আমরা ১০ টাকা দিয়ে চার্জ করে নিয়ে আসতে হয় পাশের বাড়িতে জেনারেটর মেশিনে। ওখানে মানুষের যাতায়াত করার জন্য টোটো চার্জ করতে লাগে ৫০ টাকা। টর্চলাইট ৫ টাকা। দেখা যাক কবে কারেন্ট আসে।

উল্লেখ্য প্রায় কুড়ি বছর আগে থেকে মৌসুমী তে সোলার প্রজেক্ট ছিল। যার মাধ্যমে মৌসুমীর বেশ কিছু বাড়িতে আলো জ্বলত। কিন্তু রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে আজ তা অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে।