শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শারদ উৎসবে অশান্তি এড়াতে কড়া প্রশাসন

News Sundarban.com :
অক্টোবর ১২, ২০১৮
news-image

দেবীপক্ষের সূচনা সাথে পুজোর ঢাকে কাঠি পড়েছে।পুজোর দিনগুলোতে ব্যবস্থা করা হচ্ছে আঁটসাট নিরাপত্তার। শারদ উৎসবে অশান্তি এড়াতে কড়া প্রশাসন। চতুর্থীর দুপুর থেকেই নিরাপত্তা বাড়ছে শহর কলকাতায়। তবে ওইদিন আংশিক ফোর্স নামবে। পঞ্চমী থেকে একেবারে ফুল ফোর্স নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ছে কলকাতা পুলিস। পুজোর ৬ দিন প্রায় ৮ হাজার ফোর্স শহরে মোতায়েন থাকবে। মোট তিনটে শিফটে ডিউটি করবেন পুলিসকর্মীরা। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টে। দুপুর সাড়ে ৩টে থেকে রাত ১২টা। আবার রাত ১২টা থেকে পরের দিন সকাল ৮টা। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরে ৪০০ টি জায়গায় পুলিস পিকেট থাকবে। দশমী থেকে দ্বাদশীর মধ্যে যেসব পুজোর ভাসান হবে না, সেইসব প্যান্ডেলেও ৩টি শিফটে পুলিস মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি, পুজোর ৬ দিন শহর কলকাতায় টহল দেবে ২৪ টি এইচআরএফএস গাড়ি। একইসঙ্গে থাকবে ২৫টি ডিভিশনাল মোবাইল ও ৪৬টি ওয়াচ টাওয়ার। শহরের নানা জায়গায় অতিরিক্ত ৭৪টি সিসিটিভি বসানো হবে এই পুজোর দিনগুলিতে। শহরে তৈরি থাকবে ৭টি মোবাইল পুলিশ আসিস্ট্যান্ট বুথ। বহুল লোক সমাগমের কারণে বাড়তি নজর দেওয়া হবে মন্দির ও শপিং মলগুলিতে। আগুন লাগলে দমকলের গাড়িকে এসকর্ট করে নিয়ে যাওয়ার জন্য থাকবে আলাদা গাড়ির ব্যবস্থা। পুজোর দিনগুলোয় খোলা হবে ২৭টি ট্রমা কেয়ার। থাকবে ৯টি মিসিং পারসন্স স্কোয়াড।
পাশাপাশি, ২৩টি মেট্রো স্টেশনের প্রতিটিতেই পুলিস পিকেট থাকবে। প্রতি মুহূর্তে বিভিন্ন জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখবে লালবাজার। দশমীর দিন গঙ্গায় ভাসানের সময় যাতে কোনওভাবে কোনও বিপদ না ঘটে, তার জন্য ২৪টি ঘাটেই প্রস্তুত থাকবে স্পিড বোট, ডুবুরি ও লঞ্চ। প্রসঙ্গত এবছর ডিজে নিয়ে ভাসানে অনুমতি দেয়নি পুলিস। পুজোয় শহরের নিরাপত্তা জোরদার করতে ৫ হাজার সিভিক ভলান্টিয়ারকেও কাজে লাগানো হবে বলে জানা গিয়েছে।