সুন্দরবনে স্বজন হারাদের পাশে এগিয়ে এলেন ঝড়খালী কোস্টাল থানার পুলিশ

বিশ্লেষণ মজুমদার, ঝড়খালি:

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার প্রত্যন্ত বাসন্তী ব্লকের ঝড়খালি গ্রাম পঞ্চায়েতে এলাকার ব্যাঘ্র বিধবা পরিবারের মহিলাদের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলেন বারুইপুর পুলিশ জেলার ঝড়খালি কোস্টাল থানা পুলিশ।

সুন্দরবনের মানুষের দুঃখ দুর্দশার শেষ নেই। একের পর এক দুর্যোগ লেগেই রয়েছে। জীবন জীবিকার সংগ্রামের লড়াইয়ে অভাব-অনটন প্রতিমুহূর্ত সুন্দরবনের মানুষের পিছু নিয়ে ধাওয়া করে চলেছে। সুন্দরবনের বেশিরভাগ মানুষের আয় উপার্জন করতে হয় নদী,খাড়িতে মাছ কাঁকড়া ধরে। একদিকে করোনা ভাইরাস অন্যদিকে বাঘ-কুমিরের সাথে লড়াই করা। জীবন বাঁচানো বড়ই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে সুন্দরবনের মানুষের। বর্তমান সময়ে করোনা ভাইরাসের কারণে একদিকে মানুষ যেমন গৃহবন্দি হয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। অন্যদিকে বন্ধ হয়ে গেছে সুন্দরবনের নদীতে মাছ-কাঁকড়া ধরা। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সুন্দরবনের মানুষ। সুন্দরবনের জঙ্গলে মাছ কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছে এমন পরিবারের সংখ্যা নেহাতই কম নয়।প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে সংখ্যাটা। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী কে বাঘের আক্রমণে মৃত্যুতে অসহায় হয়ে পড়েছেন বউ ছেলেমেয়ে মা-বাবা-ভাই-বোন সকলেই।প্রিয়জনকে হারিয়ে আজ তারা খুব অসহায়।বুকের মাঝে জমে আছে স্বজন হারানোর দুঃখ,বেদনা,যন্ত্রণা। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারণে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে সুন্দরবনের ব্যাঘ্র বিধবা পরিবারের সদস্যরা খুব অসহায় হয়ে পড়েছেন।
বৃহষ্পতিবার এই সমস্ত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ালেন বারুইপুর পুলিশ জেলার অধিনস্ত ঝড়খালি কোস্টাল থানার পুলিশ।পুলিশের পাশাপাশি এগিয়ে এসেছেন দিল্লির এক সেচ্ছাসেবী সংগঠন গুঞ্জ ও ঝড়খালী সবুজ বাহিনী। এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার ঝড়খালি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩৫ জন ব্যাঘ্র বিধবা দুঃস্থ অসহায় পরিবারের মহিলাদের হাতে এক মাসের খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন তাঁরা। ঝড়খালী কোস্টাল থানার ওসি প্রশান্ত দাস নিজের হাতে করে স্বজন হারা পরিবারের হাতে চাল, ডাল, তেল, সাবান, সবজি, মাস্ক তুলে দেন।দীর্ঘ এক মাসের খাদ্য সামগ্রী পেয়ে খুশি হয়েছেন অসহায় ব্যাঘ্র বিধবা পরিবারের মানুষগুলো।