শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ চূড়ান্ত হবে ১৫ জানুয়ারি

News Sundarban.com :
জানুয়ারি ৭, ২০১৮
news-image
এম এ আহাদ শাহীন:
মিয়ানমার থেকে দলে দলে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ চুক্তি চূড়ান্ত হবে আগামী ১৫ জানুয়ারি। ওইদিন থাকছে এ সংক্রান্ত যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম সভা। এখানে বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক ও মিয়ানমারের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন দেশটির পার্মানেন্ট সেক্রেটারি মিন্ট থো।
বাংলাদেশ সরকারের একজন কর্মকর্তা জানান, গত বছরের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত প্রথম চুক্তি হয়। এর অধীনে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়েছে ১৯ ডিসেম্বর।
‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’কে ধরা হচ্ছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের শেষ দালিলিক চুক্তি। এটি চূড়ান্ত হলে রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়ার প্রক্রিয়ার বাস্তবায়ন শুরু হবে।
মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর হামলার কারণে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে দলে দলে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে থাকে আরাকান রাজ্যের রোহিঙ্গারা। এই সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ছয় লাখ।
বাংলাদেশ সরকারের আরেকজন কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে জানান, “২৩ নভেম্বর স্বাক্ষরিত চুক্তিটি ছিল নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের। সেখানে খুঁটিনাটি বিষয়গুলো ছিল না। ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ চুক্তিতে এই খুঁটিনাটি বিষয়গুলো থাকবে। যেমন: রোহিঙ্গাদের যাচাই-বাছাই কিভাবে হবে, সপ্তাহের কোন কোন দিন ও কখন তারা ফেরত যাবে, তাদের প্রত্যাবাসনের জন্য কী ধরনের বাহন ব্যবহার করা হবে, লজিস্টিক ব্যবস্থা কী হবে, কে তাদের অভ্যর্থনা জানাবে, কোন পদ্ধতিতে ও কিভাবে দুই সরকার এ বিষয়ে নিজেদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে ইত্যাদি উল্লেখ থাকবে।”
চুক্তি অনুযায়ী ২৩ জানুয়ারি থেকে প্রত্যাবাসন শুরু হবে কিনা জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বললেন, ‘আমরা টেকসই প্রত্যাবাসন চাইছি। অর্থাৎ যারা ফিরে যাবে তারা যেন আর ফেরত না আসে। রাখাইনের পরিবেশ যদি সেই পর্যায়ে উন্নীত হয় তাহলে ২৩ জানুয়ারি থেকে প্রত্যাবাসন শুরু করা সম্ভব হবে।’
এদিকে মিয়ানমারের একজন মন্ত্রী বিবৃতি দিয়েছেন, হিন্দুদের প্রথমে প্রত্যবাসন করা হবে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের এক কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন যে, ‘প্রথম দিকে যারা যাবে তাদের মধ্যে হিন্দুরা থাকবে। তবে তাদের দিয়ে প্রত্যাবাসন শুরু হবে বলে মনে হয় না।’