শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কৃষি ঋণ মুকুব হল মাত্র ৫০ পয়সার মতো

News Sundarban.com :
সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৭
news-image

রসিকতা না নির্মম রসিকতা! বিশেষণে যেন এ ঘটনাকে ব্যাখ্যা করা যায় না। ঋণের ভারে জর্জরিত কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছিল উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার। সেই মতো ঋণ মকুবের জন্য আর্থিক বরাদ্দও করা হয়েছিল। অথচ মকুবের পরিমাণ দেখলে চোখ কপালে উঠবে। কারও ঋণ মকুব হয়েছে মোটে ৫০ পয়সা তো কারও ১৯ পয়সা।
ঈশ্বর দয়াল নামে এক কৃষক যখন জেলাশাসকের থেকে সার্টিফিকেট হাতে পান তখন নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারেননি। মোটে ১৯ পয়সা ঋণ মকুব করা হয়েছে তাঁর ক্ষেত্রে। যাঁর কপাল ভালো, তাঁর ক্ষেত্রে মকুব হয়েছে ৫০ পয়সা বা ১ টাকা। কেউ বা ১০ টাকাও ছাড় পেয়েছেন। কিন্তু এই কি পাওয়ার কথা ছিল? সরকার কি তাঁদের সঙ্গে নিষ্ঠুর রসিকতা করছে, প্রশ্ন কৃষকদের। ভরথনার এই কৃষকরা অবশ্য জানেন না কোথায় এর সদুত্তর মিলবে।
উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় আসার আগে বিজেপির অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল এই ঋণ মকুব। স্বয়ং নরেন্দ্র মোদি কনৌজের এক সভায় গত ফেব্রুয়ারি এ ব্যাপারে কৃষকদের আশ্বাস দিয়েছিলেন। রাজ্যে চাষবাসের দুরাবস্থা ঘটাতে ঋণ মকুব জরুরি বলেই জানিয়েছিলেন তিনি। তাঁর প্রতিশ্রুতিতে আশায় বুক বাঁধেন লক্ষাধিক কৃষক। ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতেৃ্ত্ব প্রতিশ্রুতি পূরণের পর্ব শুরু হয়। কিন্তু ঋণ মকুবের চুক্তিপত্র বা সার্টিফিকেট বিলি শুরু হওয়ার পর থেকেই অবাক হওয়ার পালা। কোথাও ঋণ মকুব হয়েছে এক টাকা, দু টাকা তো কোথাও দশ টাকা। বরাত জোরে কেউ কেউ একশো বা দুশো টাকাও ছাড় পেয়েছেন। স্বভাবতই সরকারের এই ব্যবহারে ক্ষুব্ধ কৃষকরা। ঈশ্বর দয়াল জানাচ্ছেন, তাঁর পূর্বপুরুষ স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। তাঁদের মুখেই যেন থাপ্পর কষাল যোগী সরকার।
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সত্যদেব পচৌরি। তাঁর দাবি, কোনও কোনও কৃষকের ক্ষেত্রে আশি, নব্বই হাজার টাকা থেকে এক লক্ষ টাকা পর‌্যন্তও ঋণ মকুব হয়েছে। যদিও কৃষকদের অধিকাংশেরই সার্টিফিকেটে তার ছোঁয়া দেখা যাচ্ছে না।