All posts by tapas

কিছু শর্তও দিয়ে ২২শে সম্প্রীতি মিছিলে অনুমতি হাইকোর্টের

রামমন্দির উদ্বোধনের দিনই তৃণমূলের ‘সংহতি মিছিল’ হবে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর করা মামলায় জানিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। তবে কিছু শর্তও বেঁধে দিল উচ্চ আদালত। কারও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করবে, মিছিল থেকে এমন কোনও মন্তব্য করা যাবে না বলে বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধনের দিন অর্থাৎ, আগামী সোমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ‘সংহতি মিছিল’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন, তা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি, আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে ওই দিন রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার আর্জিও জানান বিরোধী দলনেতা।

আদালতে শুভেন্দুবাবুর যুক্তি ছিল, এর আগেও বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত হয়েছে। তাই রামমন্দিরের উদ্বোধনের দিন অর্থাৎ, ২২ জানুয়ারি কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, তাই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার প্রয়োজন রয়েছে। ওই একই কারণে মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচিও পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে হাই কোর্ট রাজ্যে পুলিশের ডিজি, আইজি এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকে ওই দিন রাজ্যে শান্তিশৃঙ্খলা সুনিশ্চিত রাখার নির্দেশ দেন। ব্লক স্তরেও সংহতি মিছিলের ডাক দিয়েছে তৃণমূল। এই মিছিলগুলির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি না, তা জেলাশাসক এবং পুলিশকে দেখার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

গেম খেলায় মগ্ন, অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু বধূর

গেম খেলায় মগ্ন বধূর অগ্নিদগ্ধ হওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে এল। জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের খাগড়া বাড়ি এক নং গ্রাম পঞ্চায়েতের হঠাৎ কলোনির ঘটনা।

কয়েকদিন ধরেই রাজ্যুজডে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা পড়েছে। দক্ষিণের তুলনায় উত্তরের ঠান্ডা আরও বেশি। স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবার সন্ধেয় রান্নার ফাঁকেই আগুন পোহাতে পোহাতে গেম খেলছিলেন শিখা রায় বর্মন নামে এক বধূ। গেম খেলায় তিনি এতটাই মগ্ন হয়ে যান যে তাঁর শাড়ির আঁচলে আগুন ধরে গেলেও প্রথমে তিনি তা টেরই পাননি।আঁচল থেকে সারা কাপড়ে যখন আগুন দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে তখন হুঁশ ফেরে বধূর। তাঁর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসেন। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

পরিবার সূত্রে খবর, গৃহবধূর হাত এবং কোমর থেকে নীচের অংশ সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কটজনক। ঘটনার জেরে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পরিস্থিতির জন্য সকলেই বধূর মোবাইলের গেম খেলার নেশাকে দুষছেন।

বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে চলেছে ৪৭তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা

বুধবার আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় ছিল শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে চলেছে ৪৭তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। তার আগে এদিন চূড়ান্ত প্রস্তুতি ধরা পড়ল বইমেলা প্রাঙ্গণে।

সব স্টলের কাজ প্রায় শেষের পথে। কোথাও কোথাও চলে এসেছে বইও। তবে অনেক স্টলই সেজে ওঠার সুযোগ পায়নি। ইন্টারনেট এবং বাকি টেকনিক্যাল কাজ শেষ করতে দেখা গিয়েছে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের।

বৃহস্পতিবার বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। গত বছর গিল্ডের সদস্যদের নিয়ে স্পেন সফরে গিয়েছিলেন মমতা। প্রকাশনাকে শিল্পের স্বীকৃতি দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন গিল্ডের সদস্যরা। তারই ফলশ্রুতি হিসেবে এবার ছোট বড় প্রকাশনা সংস্থা, লিটল ম্যাগাজিন মিলিয়ে বইমেলায় স্টলের সংখ্যা ১০০০ ছুঁয়েছে।

এবার বইমেলায় নয়টি গেট থাকছে। তার মধ্যে থাকছে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১২৫তম জন্ম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গেট, বেথুন স্কুলের ১৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে গেট, লন্ডনের টাওয়ার ব্রিজের আদলে গেট। উদ্বোধনে সৃষ্টি সম্মান দেওয়া হবে সাহিত্যিক বাণী বসুকে।

ভারতের সবকটি রাজ্যে এবং পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত জেলার স্টল থাকছে। প্রথমবারের মত মেলায় চালু করা হচ্ছে ডিজিটাল ম্যাপ। প্রত্যেকটি গেটে লাগানো থাকবে কিউআর কোড। স্মার্টফোনে সেই কোড স্ক্যান করলেই চলে আসবে ম্যাপ।

ভিক্টোরিয়ার সামনে শ্যুটিং সারলেন রাখি গুলজার

বুধবার সকাল থেকে ভিক্টোরিয়ার সামনে শ্যুটিং সারলেন রাখি গুলজার। ক’দিন ধরে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে শ্যুটিং করে ভীষণ খুশি ৭৬ বছরের অভিনেত্রী। নস্টালজিয়ায় ভরে উঠেছে তাঁর মন।

প্রতিদিন কলকাতার বিভিন্ন লোকেশনে চলছে শ্যুট। লম্বা বিরতির পর বাংলা ছবিতে অভিনয় করছেন রাখি। পছন্দের চিত্রনাট্য না পেলে আজকাল আর তিনি অভিনয় করেন না।

শেষ তাঁকে দেখা গিয়েছিল সদ্যপ্রয়াত পরিচালক গৌতম হালদারের ‘নির্বাণ’ ছবিতে। বাংলায় এতদিন পর অভিনয় করতে পেরে আপ্লুত অভিনেত্রী। কয়েক বছর আগে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘নির্মাণ’-এর স্ক্রিনিংয়ে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।

এরপর অনেক দিন কেটে গিয়েছে, কিন্তু রাখি টলিউডমুখী হননি। তবে শিবপ্রসাদ ও নন্দিতা অনেক কষ্টে তাঁকে রাজি করিয়েছেন এবং চরিত্রটাও তাঁর পছন্দ হয়েছে। তাই ‘আমার বস’-এ অভিনয় করতে শহরে এলেন রাখি।এই ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে রাখি গুলজারকে দেখা যাবে। এছাড়াও এই ছবিতে রয়েছেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, গৌরব চট্টোপাধ্যায়, সৌরসেনী মৈত্রের মতো টলিউডের একাধিক শিল্পী।

নিখোঁজ শাহজাহানের বাড়িতে বসল সিসিটিভি ক্যামেরা

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ শাহজাহান শেখের বাড়িতে বসানো হল সিসিটিভি ক্যামেরা। গতকাল হাইকোর্টের বিচারপতির নির্দেশ ছিল ওই বাড়িতে কাদের আনাগোনা তা গতিবিধি লক্ষ্য করার জন্য বসাতে হবে সিসিটিভি। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার রাতেই সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয় শাহজাহানের বাড়িতে।

উল্লেখ্য, ইডি-র তল্লাশির সময় সন্দেশখালিতে একদল গ্রামবাসী আক্রমণ চালায় আধিকারিক ও উপস্থিত জওয়ানদের ওপর। অভিযোগ, শাহজাহানের নির্দেশেই এই হামলা চালানো হয়। তারপর থেকেই ফেরার ওই তৃণমূল নেতা। মাঝে বাংলাদেশ পালিয়ে যাওয়ার জল্পনাও উঠেছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত শাহজাহান ধরা দেয়নি। যদিও কোর্টে তার উকিল হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু ইডি কর্তাদের মতে ওই তৃণমূল নেতার কাছ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে দুর্নীতি কাণ্ডে। তাই তাঁকে ধরার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে।

গঙ্গাসাগরে পুণ্যার্থীদের থেকে রীতিমতো ‘লুঠ’ হয়েছে, দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী

গঙ্গাসাগরে পুণ্যার্থীদের থেকে রীতিমতো ‘লুঠ’ হয়েছে। ভেসেল, নৌকোয় ভাড়া বৃদ্ধি হয়েছে ৩৪৪ গুণ। বুধবার এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে এই দাবি করলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

তিনি দাবি করেছেন, যে ভাড়া ৯টাকা, তা মেলার সময়ে নেওয়া হয়েছে ৪০ টাকা। এক লাফে ৩১ টাকা বৃদ্ধি। অঙ্ক কষে শুভেন্দুবাবু হিসাব দেখালেন শতাংশের বিচারে তা বেড়েছে ৩৪৪ গুণ। তিনি এটাও দাবি করেছেন, গঙ্গাসাগর মেলায় স্বাভাবিক বা অন্য সময়ের ভাড়ার তুলনায় ভেসেলের ভাড়া ৭৬ টাকা করে বেশি নিয়েছে রাজ্য সরকার। আর ৫০ লক্ষ মানুষের কাছ থেকে সেভাবে নেওয়া হলে ৩৮ কোটি টাকা তুলেছে রাজ্য সরকার।

উদাহরণ হিসাবে তিনি উল্লেখ্য করেছেন, নামখানা থেকে বেনুবনে অন্য সময়ে ভাড়া থাকে ৪০ টাকা। মেলার সময়ে তা নেওয়া হয়েছে ৮৫ টাকা। যা ১১২.৫% বেশি বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর কচুবেড়িয়া থেকে ৮ নম্বর লটে ভাড়া ৯ টাকা। অথচ মেলার সময় ৪০ টাকা নেওয়া হয়েছে। যা এক লাফে ৩১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সেটাই বেড়েছে ৩৪৪% গুণ।

মেলায় এই ভাবে ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে মমতা সরকারকে বিঁধতে গিয়ে রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গও টেনে আনেন তিনি। সঙ্গে লেখেন, টেটের প্রশ্নপত্রের মূল্যবৃদ্ধির প্রসঙ্গও।তাঁর মতে, ঠিক একইভাবে নিয়োগ না হলেও টেট পরীক্ষার জন্য আবেদনপত্রের দাম এক লাফে ১০০ থেকে ৫০০ করা হয়েছে। শতাংশের বিচারে ৪০০% বৃদ্ধি। যার মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ১৫ কোটি ৪৫ লক্ষ ২৭ হাজার টাকা তুলেছে বলেও এক্স মাধ্যমে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা।

হাসপাতালের নিকাশিনালা,পানীয়জল এবং শৌচালয় ব্যবস্থার সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ বিধায়কের 

ক্যানিং – দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন এলাকার বৃহত্তম ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল।প্রতিদিনই জেলার ক্যানিং,বাসন্তী,গোসাবা,জীবনতলা,কুলতলি,বারুইপুর,জয়নগর সহ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সন্দেশখালি,মিনাখাঁ,সরবেড়িয়া,মালঞ্চ সহ বিভিন্ন প্রান্তের হাজার হাজার রোগী আসে চিকিৎসার জন্য। বিগতদিনের তুলনায় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের বহর বেড়েছে। বেড়েছে চিকিৎসক এবং পরিষেবা। পাশাপাশি শিশু ও মায়েদের জন্য আলাদা ভাবে পাঁচতলা বিশিষ্ট ২৫১ টি বেডের তৈরী হয়েছে মাদার এন্ড চাইল্ড হাব ‘মাতৃমা’। যেখানে মা ও শিশুদের চিকিৎসা চলছে।ইদানিং হাসপাতালের আশেপাশে নিকাশী নালা অপরিষ্কার রয়েছে।এছাড়াও হাসপাতালে পানীয় জল এবং শৌচালয়ের সংকট রয়েছে। এতে করে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগী ও তাদের পরিবার পরিজনদের কে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।বিশেষ রাতে সমস্যা হয়।এহেন পরিস্থিতি কথা ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশ রাম দাসের কানে পৌঁছায়।জনসাধারণের দুর্দশার কথা শুনেই রবিবার সকালে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের বিভিন্ন সমস্যা খতিয়ে দেখেন বিধায়ক।পাশাপাশি তিনি রোগীর পরিবার পরিজন এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে সমস্যা নিয়ে আলাপ আলোচনা করেন।এদিন বিধায়ক পরেশ রাম দাসের সাথে উপস্থিত ছিলেন,ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সুপার সুরেশ সরদার,ক্যানিং ১ পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ আদিত্য বৈদ্য,শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ প্রদ্যুৎ রায়,দিঘীরপাড় পঞ্চায়েত উপপ্রধান বিশ্ব দাস,তন্ময় দাস(দীপু) সহ অন্যান্যরা।

ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল পরিদর্শনের পর বিধায়ক পরেশ রাম দাস জানিয়েছেন, ‘ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগী ও তাঁদের পরিবার পরিজনের যাতে করে সমস্যায় না পড়েন সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি নিকাশিনালা,পানীয় জল এবং শৌচালয় নিয়ে যে সমস্যা রয়েছে তা দ্রুততার সাথে সমাধান করা হবে।এছাড়াও খুব শীঘ্রই মাতৃমা হাসপাতাল চত্বরে রোগী ও তাঁদের পরিবার পরিজনদের জন্য পানীয় জল ও শৌচালয়ের ব্যবস্থা করা হবে তারজন্য ১০৭১০০০(দশ লক্ষ একাত্তর হাজার) টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে পাশাপাশি ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে পরিশ্রুত পানীয় জলের ও ব্যবস্থা করা হবে।যার কাজ সোমবার থেকে শুরু হবে।”

বিধায়কের এমন পরিকল্পনার কথা জানতে পেরে খুশি রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা।উত্তর ২৪ পরগনা’র মনিপুর পঞ্চায়েতের জয়গোপালপুর গ্রাম চিকিৎসা করাতে আসা এক রোগী পরিজন সমীর মন্ডল জানিয়েছেন, ‘ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে শৌচালয় এবং পানীয় জলের সমস্যায় জর্জরিত।ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশ রাম দাস ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগী ও তাঁদের পরিবারের কথা মাথায় রেখে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে শৌচালয় এবং পানীয় জলের সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণ করায় খুব ভালো লাগছে।বিধায়ক কে অশেষ ধন্যবাদ।’

অটো উল্টে গুরুতর জখম বৃদ্ধ

নিজস্ব প্রতিনিধি,ক্যানিং – অটো উল্টে গুরুতর জখম হলেন সঞ্জয় দাস নামে এক বৃদ্ধ। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে ক্যানিং-বারুইপুর রোডের কুলারী এলাকায়।স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে এদিন রাতে ক্যানিং থেকে অটোয় চেপে কুলারী গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন বৃদ্ধ সঞ্জয় দাস।

রাতের অন্ধকারে ঘন কুয়াশার জেরে চলন্ত অটো রাস্তার পাশে পড়ে থাকা একটি মাটির ঢিবি’র উপর উঠে পড়ে। উল্টে যায় অটো।গুরুতর জখম হয় অটোযাত্রী ওই বৃদ্ধ।মুহূর্তে অটোচালক ওই বৃদ্ধকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে।চিকিৎসার জন্য তড়িঘড়ি ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়।বর্তমানে ওই বৃদ্ধ ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আদালতের নির্দেশে পুলিশি ঘেরাটোপে ‘ঘরছাড়া’রা নিরাপদে ঘরে পৌঁছে দিলেন পুলিশ

নিজস্ব প্রতিনিধি,ক্যানিং – মহামান্য আদালতের নির্দেশে পুলিশি ঘেরাটোপে ‘ঘরছাড়া’দের নিরাপদে ঘরে পৌঁছে দিলেন পুলিশ।বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে জীবনতলা থানার অন্তর্গত মঠেরদিঘী পঞ্চায়েত এলাকায়।পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সদস্য তথা জয়নগর সাংগঠনিক জেলার মূখপত্র সঞ্জয় কুমার নায়েক,জয়নগর সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী মামনি দাস সহ অন্যান্যরা।উল্লেখ্য গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকে রাজ্যের শাসক দলের অত্যাচারে জর্জরিত হয়ে ঘর ছেড়েছিলেন জীবনতলা থানার অন্তর্গত মঠেরদিঘী পঞ্চায়েতের একাধিক বিজেপি কর্মী সমর্থক,অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের।তৃণমূল কংগ্রেসের সন্ত্রাসে তাঁরা বাড়িতে ফিরতে পারছিলেন না। এমত অবস্থায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন আক্রান্ত পরিবারের সদস্য প্রসেনজিত মন্ডল সহ অন্যান্যরা।অবশেষে মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নির্দেশ দেন ঘরছাড়াদের অবিলম্বে ঘরে ফেরাতে হবে। আদালতের নির্দেশে নড়েচড়ে বসে জীবনতলা থানার পুলিশ। জীবনতলা থানার পুলিশ বুধবার দুপুরে জীবনতলা থানার অন্তর্গত মঠেরদিঘী পঞ্চায়েতের শান্তমারা গ্রাম ও হালদার পাড়ার বাসিন্দা বিজেপি কর্মী সমর্থক ‘ঘরছাড়া’ প্রসেনজিৎ মন্ডল,সুব্রত দাস,জগবন্ধু ভগত ,বিকাশ দাস ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপদে বাড়িতেই পৌঁছে দেয়।

ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সদস্য তথা জয়নগর সাংগঠনিক জেলার মুখপত্র সঞ্জয় কুমার নায়ক জানিয়েছেন, ‘রাজ্যের শাসকদলের গুন্ডা বাহিনী পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকে লাগাতর সন্ত্রাস চালিয়েছে। আমাদের কর্মী সমর্থকদের মারধর করে,বাড়িঘর ভাঙচুর করেছিল তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডাবাহিনী। সেই সময় পুলিশও ছিল নিষ্ক্রীয়। শাসকদলের দলদাসে পরিণত হয়ে কোন কাজ করছিল না পুলিশ। অবশেষে আদালতে আমাদের কে পরাস্ত করতে পারেনি কোন শক্তি। সত্যের জয় হয়েছে।ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীরা বাড়িতে ফিরেছেন।যে পুলিশ সন্ত্রাসের সময় শাসকদলের পক্ষ নিয়ে কোন কাজ করেনি,সেই পুলিশ আদালতের নির্দেশে ঘরছাড়াদের ঘরে ফিরিয়ে দেওয়া আমরা আনন্দিত।যতদিন না রাজ্যের শাসক দল ক্ষমতাচ্যুত হচ্ছে ততদিনই এই রাজ্য ‘নৈরাজ্য’ চলবে। আদালতই আমাদের ও সাধারণ মানুষের একমাত্র ভরসা’।

মনস্কামনা পূরণে গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নানের উদ্দেশ্যে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর সমাগম

মকর সংক্রান্তির পুণ্যলগ্নে পুণ্যলাভের আশায় গঙ্গায় পুণ্যস্নান করলেন অগণিত পুণ্যার্থীরা। মনস্কামনা পূরণে গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নানের উদ্দেশ্যে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর সমাগম হয়েছে এবারও। কনকনে ঠান্ডার মধ্যেই রবিবার মাঝরাত থেকে শুরু হয় পুণ্যস্নান। বহু পুণ্যার্থী সোমবার ভোরেও পুণ্যস্নান করেন। সাগরে স্নানের পাশাপাশি, কপিল মুনির আশ্রমেও পুজো দেন পুণ্যার্থীরা।

নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে মেলা চত্বর ও আশপাশের এলাকা। একাধিক পুলিশ ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। আকাশপথে ও জলপথে চলছে নজরদারি। উপকূলরক্ষী বাহিনী, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, সিভিল ডিফেন্স ছাড়াও প্রস্তুত ভারতীয় নৌ বাহিনীও। এবার রেকর্ড সংখ্যক পুণ্যার্থী এসেছেন গঙ্গাসাগরে, সংখ্যাটি ৪৫ লক্ষের বেশি। এদিকে, ঘন কুয়াশার কারণে সোমবার ভোর থেকেই গঙ্গাসাগরমুখী বাস ও ভেসেল পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ভোগান্তির শিকার হন পুণ্যার্থীরা।