শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নামখানার সাতমাইল দুর্গাপুজোয় এবার গ্রামীণ সংস্কৃতির নিদর্শন

News Sundarban.com :
অক্টোবর ১, ২০১৯
news-image

সামিম হোসেন

মহালয়া, দেবীপক্ষের সূচনা। এই পূণ্য দিন থেকে সূচনা দূর্গোৎসবের। বাঙালির সেরা উৎসব হল এই দুর্গাপুজো। এই দুর্গাপূজাকে ঘিরে আগমনের বার্তা আকাশে-বাতাসে। সেই সঙ্গে মনের তৈরি হয় উৎসবের আবেগ। প্রতিটি বাঙালির দীর্ঘ এক বছরের প্রতীক্ষা করে এই উৎসবের। হাতেগোনা আর মাত্র কয়েকদিন। তাই প্রতিটি মন্ডপে প্রতিমা তৈরির সঙ্গে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চরমে। এবার প্রতিটি পুজো প্যান্ডেলে থাকছে নানারকম জাকজমক  ও জৌলুস। সাবেকি ঠাকুর হলেও প্রতি বছরের মত এবছরও মণ্ডপের আদল একটু ভিন্ন প্রকৃতির। নামখানা ব্লকের শিবরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতমাইল বাজার দুর্গোৎসব কমিটির উদ্যোক্তা সুবল সাউ জানিয়েছেন, প্রতি বছর আমরা নিজেরা চাঁদা দিয়ে পুজো করি। এবার আমাদের পুজো ৪৪ তম বছরে পা দিল।  আগেরবার দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরের আদলে তৈরি হচ্ছে পূজামণ্ডপ। গ্রামীণ পরিবেশের বিভিন্ন বৈচিত্রের রূপ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে আমাদের মণ্ডপের দুপাশ। বাঁশ, কাঠ, মাটি, জরি সামগ্রী দিয়ে তৈরি করা হয়েছে প্রতিমা। ঠাকুর গড়ছেন রাধাগোবিন্দ জানা । আলোকসজ্জায় থাকছেন সুস্মিতা সাউন্ড সার্ভিস। থিমের চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন কলকাতার একটি সংস্থা। হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ সংস্কৃতির বিভিন্ন নিদর্শন তুলে ধরা হয়েছে। সেই সঙ্গে থাকছে প্লাস্টিক বর্জন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের পোস্টার, প্লাকার্ড, ব্যানার। এছাড়া পূজোর দিন গুলোতে থাকছে মায়ের মাঙ্গলিক গান, বস্ত্র বিতরণ, গ্লুকোন ডি বিতরণ। থাকছে আর্থ মানুষের জন্য প্রসাদ খিচুড়ি বিতরণ। দশমী একাদশী দিন আগত দর্শনার্থীদের জন্য পুজো প্রাঙ্গণে থাকবে নাচ, গান, আবৃত্তি সহ বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শেষ দিনে থাকছে আনন্দলোক অপেরার সাড়া জাগানো যাত্রা পালা “বৌমা জিতেছে ভোটে, শ্বশুর যাচ্ছে কোর্টে”। উদ্যোক্তারা জানান, এবারের মন্ডপ তৈরিতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে আমাদের বাজেট ৩ লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।