All posts by tapas

নামখানা ব্লকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কাঁকড়া বুড়ির মেলা

নিজস্ব প্রতিনিধি, নামখানা: প্রত্যন্ত সুন্দরবনের নামখানা ব্লকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঐতিহ্যশালী কাঁকড়া বুড়ির মেলা। একসময় নামখানা এলাকার শিবনগর আবাদে গ্রামের পুজো হিসেবে এই মন্দিরে শীতলা বিশালক্ষী মায়ের পূজা অর্চনা হত। কিন্তু কালের বিবর্তনে আজ শুধু শিবনগর আবাদ নয়, নামখানা থেকে ছাড়িয়ে এই পুজো দেখতে ভক্তরা ছুটে আসেন দূর দূরান্ত থেকে। এই বছর ৬৬ বছরে পদার্পণ করল। সাত দিন ধরে এই মেলা চলে। প্রতিদিন হাজারো হাজারো মানুষের ঢল নামে এই মেলায়। এর এক অলৌকিক এটা ঘটনা রয়েছে, যে সময় মায়ের পূজা অর্চনা শুরু হবে। অর্থাৎ সুন্দরিকা-দোয়ানিয়া নদিতে যখন ঘট তুলতে যাবে তখন আকাশে উড়বে শঙ্খচিল এবং নদী থেকে উঠে আসবে কাঁকড়া । এটাই হচ্ছে এই শীতলা বিশালক্ষী মায়ের প্রধান আকর্ষণ। যা দেখার জন্য নদীর দুই পাড়ে হাজারো হাজারো মানুষের সমাগম ঘটে। এই কাঠফাটা রৌদ্রে আট থেকে আশি দাঁড়িয়ে থাকে কেবলমাত্র এই ঘট তোলা দেখার জন্য।

এই বছর পূজো কমিটির সম্পাদক বিদ্যুৎ কুমার দিন্দা বলেন, এই কাঁকড়া মায়ের পুজো নিয়ম রীতি-নীতি মেনে পূজা অর্চনা হয়। শুধু এই রাজ্যে নয়, অন্য রাজ্যের মানুষও এই মায়ের কাছে আসে পূজো দেওয়ার জন্য। প্রতিদিন হাজারো হাজারো মানুষের ঢল নামে এই মন্দিরে। মাছ ও কাঁকড়া তরকারি থেকে শুরু করে ক্ষীরভোগ থাকে মায়ের প্রসাদ।

 

এই মেলাটি সাত দিনের হলেও দোকানপাট বসে থাকে প্রায় এক মাসের উপর । মেলায় বসে হরেক রকমের দোকানপাট। এই মেলাতে সংস্কৃতিক মঞ্চে যাত্রাপালা থেকে শুরু করে শীতলা গান এবং গাজন গান সহ বিভিন্ন পালাগানের আয়োজন থাকে।

দিবাকর চৌধুরী যিনি কলকাতা থেকে সুদূর এই কাঁকড়া বুড়ি মন্দিরের পূজো দেখার জন্য এসেছেন। তিনি বলেন, আমার দীর্ঘদিনের ইচ্ছা যে এই মায়ের পুজোর সময় একবার সাক্ষাতে মাকে দর্শন করব। সেই সুযোগ এই বছর হয়েছে।

নাতি সায়নের স্মৃতির উদ্দেশ্যে ইসলামিয়া হাসপাতালকে ৭ লাখ টাকা দান দাদু আলাউদ্দিনের

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা : সোমবার দুপুরে কলকাতার চিত্তরঞ্জন এভিনিউতে ইসলামিয়া হাসপাতালের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে একমাত্র নাতি সায়ন আহমেদের স্মৃতিতে ইসলামিয়া হাসপাতালে রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য ৭ লাখ টাকার চেক প্রদান করলেন দাদু আলাউদ্দিন আহমেদ ও বাবা তাহির আহমেদ। ইসলামিয়া হাসপাতালের রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য এই অর্থ তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উপস্থিত ছিলেন ইসলামিয়া হাসপাতালের ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমদ হাসান ইমরান, সাধারণ সম্পাদক আমির উদ্দিন ববি, ইসলামিয়া হাসপাতালের সুপার ডা: আনোয়ার জামাল, ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান পারভেজ রাজা, সাংবাদিক সামিম হোসেন প্রমুখ।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার ইকবালপুর থানার দেবী চৌধুরী রোডের বাসিন্দা কলকাতার প্রতিষ্ঠিত এক ব্যবসায়ী বছর ৮০র আলাউদ্দিন আহমেদ। স্থানীয় লোকেদের কাছে তিনি “আলম সাহেব” নামে পরিচিত। তার একমাত্র ছেলে তাহির আহমেদ ওরফে সোহেল। তাহির আহমেদের ছেলে অর্থাৎ কি না আলাউদ্দিন আহমেদ ওরফে (আলম দার) একমাত্র নাতি বছর সাতেকের সায়ন আহমেদ তার মা সাফরিন আহমেদের সঙ্গে ডিসেম্বর মাসের শেষে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জয়নগর থানার জয়নগর গঞ্জের বাজারে নানা হাসেম খাঁর বাড়িতে বেড়াতে আসে। ১০ ই জানুয়ারি বুধবার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে সায়ন। আর তারপর তেমন কোন চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে সন্ধ্যায় মারা যায় সায়ন আহমেদ। একমাত্র ছোট্ট নাতির মৃত্যুর খবরে পুরো আহমেদ পরিবারই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। হঠাৎ তার সুখের সংসারে নেমে আসে শোকের পাহাড়। একমাত্র ছেলে সায়নকে হারিয়ে যেন বোবা হয়ে যায় সায়নের আব্বা তাহির আহমেদ। সায়নের মৃত্যুর খবর পেয়ে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে ইকবালপুর থানার দেবী চৌধুরী রোডে দাদু আলাউদ্দিন আহমেদের বাড়িতে আসেন রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র ফিরহাদ হাকিম। উল্লেখ্য আলাউদ্দিন আহমেদ মন্ত্রী ও মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নিকট আত্মীয়। সেই সময় ফিরহাদ হাকিমের কাছে নাতি সায়ন আহমেদের নামে জমানো টাকা দান করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন দাদু। সেই সময় মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম দাদু আলাউদ্দিনকে ইসলামিয়া হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ মেশিন কেনার জন্য টাকা দান করার পরামর্শ দেন। মন্ত্রীর সেই কথায় রাজি হয়ে যান দাদু আলাউদ্দিন। সেই মতো গতকাল দুপুরে আলাউদ্দিন আহমেদ ও তার শোকার্ত পুত্র তাহির আহমেদ এসেছিলেন চিত্তরঞ্জন এভিনিউতে ইসলামিয়া হাসপাতালে। সেখানে নাতি সায়ন আহমেদের স্মৃতিতে ইসলামিয়া হাসপাতালে রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের হাতে ৭ লাখ টাকার চেক তুলে দেন দাদু আলাউদ্দিন আহমেদ ও আব্বা তাহির আহমেদ।

চেক গ্রহণ করে ইসলামিয়া হাসপাতালের ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ হাসান ইমরান ও সাধারণ সম্পাদক আমির উদ্দিন ববি বলেন, ইসলামিয়া হাসপাতালের প্রেসিডেন্ট তথা রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী এবং কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র ফিরহাদ হাকিমের পরামর্শ মত এই অর্থ দিয়ে হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের জন্য মেশিন কেনা হবে। ইসলামিয়া হাসপাতাল মানুষের দানেই গড়ে উঠেছে। এখন থেকে হিন্দু-মুসলিম সকলেই উন্নতমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করা হচ্ছে। আহমেদ পরিবারের দানের এই নজির অন্যদেরকেও অনুপ্রাণিত করবে।

এক সাথে পাঁচটি ভিন্ন কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুললেন নামখানার কবি 

নিজস্ব প্রতিনিধি,  নামখানা: একদিনে এক সাথে পাঁচটি ভিন্ন ঘরানার কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে জায়গা করে নিলেন প্রত্যন্ত সুন্দরবনের নামখানা ব্লকের দেবনগর গ্রামের তরুণ কবি ধ্রুব বিকাশ মাইতি।ছোটো বেলা থেকেই কবিতা লেখার প্রতি ছিল তাঁর আগ্রহ।আমরা বাঙালি, বাংলা ভাষা মোদের গর্ব। বাংলা ভাষা নিয়ে আমাদের গর্বের শেষ নেই।   মৌশুনী কো-অপারেটিভ হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর শিবানী মন্ডল মহাবিদ্যালয় থেকে স্নাতক শিক্ষা শেষ করে রাষ্ট্র বিজ্ঞান নিয়ে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দূরশিক্ষার মাধ্যমে স্নাতকোত্তর করছেন। বয়স এখনও পঁচিশ না পেরোলেও… সফলতার পেছনে থাকে অনেক বাধা বিপত্তি। সেইসব পার করে তিনি তিল তিল করে গড়ে তুললেন এক নতুন ইতিহাস।

তারপর ২০১৯ সালে নবীন হাতে প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করেন “অনুপমা” তারপর ওই ব্লকে “সমুদ্র জানালা কবিতা পত্র” নামে এক গোষ্ঠিতে মাঝে মধ্যে কবিতা নিয়ে আলোচনায় বসেন। প্রকাশিত “অনুপমা” কাব্যগ্রন্থের পর “গোছানো পাতার জল”, “নদী ভর্তি কবিতার নৌকো (২০২১)” ও “প্রতিটি পায়ের শব্দ” এবং কবিতা লেখনীর ওপর ভিত্তি করে বেশকিছু প্রতিযোগীতায় পেয়েছেন পুরস্কার। এই প্রসঙ্গে বিশিষ্ট লেখক অপূর্ব কুমার দাস বলেন, ‘ধ্রুব বিকাশ মাইতির একসঙ্গে পাঁচটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ এক অনন্য ঘটনা। মাত্র ২৫ বছর বয়সে এই সাফল্য আগামী দিনের বহু যুবক-যুবতী যারা সৃজনশীল কাজকর্মে আগ্রহী তাদের প্রেরণা যোগাবে। ধ্রুব বিকাশ সৃজনশীলতার ক্ষেত্রে যে সহজাত প্রতিভা নিয়ে জন্মেছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ছোটবেলা থেকেই তাঁর কবিতা ও অন্যান্য লেখার প্রতি আকর্ষণ ছিল দুর্নিবার। তারই প্রতিফলন ঘটেছে পাঁচটি কাব্যগ্রন্থ রচনার ক্ষেত্রে। আগামী দিনে তিনি যে দীর্ঘ পথের পথিক হবেন তাতে কোনো সংশয় নেই। ধ্রুবর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।

পাঁচটি কাব্যগ্রন্থের মধ্যে ”অথবা জলচক্র” কাব্যগ্রন্থটি আধুনিক কবিতা । “বোতাম বিশ্বাসের মতো” কাব্যগ্রন্থটি হাইকু জাতীয় কবিতা । “বান্ধবী” মূলত সিরিজ কবিতা । “পাথর চাপা চিৎকার” কাব্যগ্রন্থটি স্বাধীন গদ্য কবিতা । এবং “চাঁদ হাতে কুরুক্ষেত্র” কাব্যগ্রন্থটি অণু-পরমাণু কবিতা । তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয় এপর্যন্ত যা কিছুু লেখা হয়েছে তার সবগুলো নিয়েই কি এই পাঁচটি কাব্যগ্রন্থ? উত্তরে জানান না, কমপক্ষে ৫-৬টি কবিতা থেকে ১-২টি কবিতা বাছাইয়ের মাধ্যমে এক-একটা কাব্যগ্রন্থ নির্মিত । পাঠকমহল থেকে কবিমহলের অনেকে প্রশংসিত করেছেন কবি ধ্রুব বিকাশকে। তার শিক্ষক থেকে পাঠকেরা বলেছেন প্রতিটি বইয়ের প্রায় কবিতাগুলো মন জয় করার মতো। ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের। সমুদ্র জানালার কবিরা বলেন “ওর ভাবনা চিন্তার সাথে লেখনীর হাত অনেক মজবুত। এই বয়সে এমন ভাবনা আমাদের সকলের মনে বিস্ময়ের পদচারণ ঘটিয়েছে। ও অনেকদূর এগিয়ে যাক। ওর অনেক সফলতা কমনা করি ।”

পুনম ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা

ফেব্রুয়ারির শুরু থেকেই পুনম পাণ্ডেকে(Poonam Pandey) নিয়ে উত্তাল বলিউড থেকে শুরু করে গোটা নেটপাড়া। এই সবের সূত্রপাত পুনমের ভুয়ো মৃত্যুর খবর থেকে। এই ভুয়ো খবর ছড়ানোর কারণে বলিউডের তারকা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, সকলের থেকে কটাক্ষ শুনেছেন মডেল।

তবে এবার আইনি বিপাকে পুনম। কানপুরের পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানান ফয়জান আনসারি নামে এক ব্যক্তি। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে দায়ের হয়েছে এফআইআর। পুনম ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করে অভিযোগ জমা পড়েছে কানপুরের পুলিশ কমিশনারের কাছে।

ওই অভিযোগকারী এফআইআর-এ লেখেন, ‘‘পুনম ও তাঁর স্বামী ষড়যন্ত্র করে মৃত্যুর ভুয়ো খবর ছড়ান। শুধু তাই নয়, ক্যানসারের মতো একটা রোগকে নিয়ে মশকরা করেছেন। কোটি কোটি ভারতীয় ও বলিউড ইন্ডাস্ট্রির সংবেদনশীলতার সুযোগ নিয়ে গোটাটাই তিনি নিজের প্রচারের উদ্দেশে করেছেন।’’-zee24

স্পাইসজেটের ১৪০০ কর্মী ছাঁটাই

খরচ কমাতে এবং বিনিয়োগরকারীদের আগ্রহ ধরে রাখতে এই সিদ্ধান্ত। ১৪০০ কর্মী হল এয়ারলাইন স্পাইসজেটের কর্মশক্তির প্রায় ১৫%। বর্তমানে এই এয়ারলাইন ৯ হাজার কর্মীচারি রয়েছ এবং প্রায় ৩০ টি প্লেন পরিচালনা করে। এর মধ্যে আটটি ক্রু এবং পাইলট সহ বিদেশী ক্যারিয়ারের কাছ থেকে ওয়েট-লিজপ্রাপ্ত। স্পাইস জেট বছর শুরুতেই কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে চলেছে বলে জানিয়েছে।

কোম্পানির একজন মুখপাত্র বলেন, ‘কোম্পানি খরচ কমানোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত’। যারা এই ঘটনা সম্পর্কে জানেন, তাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘ক্যারিয়ারের ৬০ কোটি বেতনের বিলের কারণে কর্মী ছাঁটাইয়ের এই সিদ্ধান্ত।’

আরও একজন জানান, মানুষ ইতিমধ্যেই কল পেতে শুরু করেছে। স্পাইসজেট বেশ কয়েক মাস ধরে বেতন পরিশোধে দেরি করেছে। এমনকি অনেকে এখনও তাদের জানুয়ারির বেতন পাননি।’

সরস্বতী পূজোয় নামখানা ব্লকে আসছে শ্রাবন্তী, সোহম, ঋতুপর্ণা 

ঝোটন রয়, নামখানা: নামখানা ব্লকে আবার টলি তারকাদের ভিড়। এই বছর সম্মিলনী ক্লাবের সরস্বতী পূজোকে কেন্দ্র করে এক ঝাঁক টলি তারকা আসছেন প্রত্যন্ত সুন্দরবনের নামখানা ব্লকের জেটিঘাটে। একদিকে বিদ্যার দেবী সরস্বতী পুজো, অন্যদিকে ভ্যালেন্টাইনস ডে এই দিনটিতেই টলিউডের প্রথম শ্রেণীর তারকাদের মেলবন্ধন ঘটাবে এই সম্মিলনী ক্লাব। এই সম্মিলনী ক্লাবের ব্যবস্থাপনায় প্রতি বছর টলিউডের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে বড় বড় তারকারা এই ব্লকে আসেন।

রুপালি পর্দায় যাদের অভিনয়ে আমরা মুগ্ধ হই তাদের একদম চাক্ষুষ দেখার জন্য প্রত্যন্ত গ্রামের জন-মানুষদেরকে আরো একবার সুযোগ ও সৌভাগ্য করে দিচ্ছে সেই সম্মিলনি ক্লাব। এই বছর মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত থেকে শুরু করে সোহম চক্রবর্তী, শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি, তাপস সিনহা, বিট্টু রাজ, উজানী রাহুল, প্রসূন ব্যানার্জী, সমর্পিতা ব্যানার্জী ও আরো একাধিক টলিউড তারকা।

এই সম্মিলনী ক্লাব দীর্ঘ ৫৪ বছর সমাজকল্যাণ মূলক কাজ করে যাচ্ছে। সুপার সাইক্লোন আয়লা, আমপান, বুলবুল থেকে শুরু করে ফোনি যেভাবে সুন্দরবনের উপরে আঘাত হেনে ছিল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এমত অবস্থায় এলাকার সাধারণ মানুষদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল এই সম্মিলনী ক্লাব। সারা বিশ্ব যখন মহামারী করোনাতে ভুগছে, তখন এই ব্লকে দিনের পর দিন চলছে লক-ডাউন । তখন মানুষের আয় ইনকাম তো দূরের কথা, কি খেয়ে বাঁচবে, কিভাবে চলবে তাছিল দুরস্ত। এমত অবস্থাতে মানুষের মুখে খাবার তুলে দিয়েছিল এই সম্মিলনী ক্লাব। তাদের সেই রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে আজ নামখানা বাসি ভালো আছেন। এই প্রসঙ্গে সম্মিলনী ক্লাবের সম্পাদক শিশির দাস বলেন, ‘সারা বছর মানুষ কর্মব্যস্ততার মধ্যে জীবন কাটায় তাই মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে এবং মানুষকে একটু মনোরঞ্জন দিতে প্রতিবছর এই সম্মিলনী ক্লাব বড় বড় তারকাদের নিয়ে আসেন। গত বছর নায়খানা ব্লকে প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী এসেছিলেন।’

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের জেরার সম্মুখীন হয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন

রাঁচিতে বুধবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের জেরার সম্মুখীন হয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। জমি সংক্রান্ত অর্থ তছরূপের মামলার তদন্তের স্বার্থে সোরেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ইডির আধিকারিকেরা সোরেনের রাঁচির বাসভবনে উপস্থিত হয়েছেন।

এই জেরার কারণে রাঁচিতে সোরেনের বাড়ির সামনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের চারটি কোম্পানি–সহ দুহাজারের বেশি নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে। এই জেরার কারণে রাঁচির বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

২০ জানুয়ারি অষ্টম তলবের পরে, মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজি হন। তবে মুখ্যমন্ত্রী সোরেন নিজে ইডি অফিসে না গিয়ে আধিকারিকদের মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ডেকেছেন। এর আগে সাত ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ চলে। মুখ্যমন্ত্রীর জবাবে সন্তুষ্ট হয়নি ইডির দল। এরপর নবম ও তারপর দশম সমন পাঠানো হয়।

মালদায় ঢোকার মুখে রাহুল গান্ধীর গাড়িতে হামলা

মালদায় ঢোকার মুখে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় হামলার অভিযোগ উঠল। বুধবার বিহার থেকে মালদা আসছিলেন রাহুল। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মহড়াপাড়ার কাছে জনতার চাপের মধ্যে পড়েন তিনি। অভিযোগ, রাহুলের গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়। হামলার পর গাড়ি থেকে নেমে আসেন রাহুল গান্ধী।

ওই গাড়িতে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমি গাড়ির ভিতরে ছিলাম। পিছন থেকে কারা ঢেলা ছুড়েছে, দেখতে পাইনি। তবে এখানে প্রতি পদে পদে রাহুলকে বাধা দেওয়া হয়েছে।’ এরপর তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, ‘বুঝে নিন, কারা হামলা চালিয়েছে।’ তবে ঘটনায় রাহুল গান্ধীর কোনও ক্ষতি হয়নি।

অন্যদিকে, কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, তৃণমূল সরকার অসহযোগিতা করছে। বাংলা-বিহার সীমানায় এই হামলা কারা চালাল, তার যৌথ তদন্ত হওয়া দরকার বলে মনে করছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত, বিহার হয়ে এদিন দ্বিতীয়বার বাংলায় ঢুকছে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ । এদিন রাহুলের যাত্রা মালদায় ঢোকার পর পরই হামলার অভিযোগ ওঠে। রাহুলের সঙ্গে ছিলেন অধীর চৌধুরী থেকে কে সি বেণুগোপাল, জয়রাম রমেশ।

তোষাখানা মামলায় এবার সস্ত্রীক দোষী সাব্যস্ত প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী

বিপদ আরও বাড়ল পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। তোষাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে পাকিস্তানের বিশেষ আদালত। তোষাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ১৪ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছে ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবিকেও।

আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ইমরান বা তাঁর স্ত্রী, কেউই আগামী ১০ বছরের জন্য কোনও সরকারি পদে বসতে পারবেন না। পাশাপাশি, পাকিস্তানি মুদ্রায় তাঁদের প্রায় ৭৯ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য যে, দেশের গোপন তথ্য পাচারের অভিযোগে মঙ্গলবারই পাকিস্তানের ওই বিশেষ আদালত প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিল। আর এক দিন পরেই বুধবার আবার ইমরানকে আবার ১৪ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনাল আদালত।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অপসারিত হন ইমরান খান। তার পরে ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট তাঁকে কারাদণ্ড দেয় ইসলামাবাদ আদালত। তোষাখানা মামলায় তিন বছরের জেলের সাজা দেওয়া হয়েছিল ইমরানকে। অ্যাটাক ডিসট্রিক্ট জেলে বন্দি ছিলেন তিনি। এর পরে গত বছর ডিসেম্বরেই পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট ইমরানকে জামিন দিয়েছিল। তবে জামিন পেলেও তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অন্য মামলাগুলির জন্য জেলেই ছিলেন ইমরান।

টেট পরীক্ষার্থীদের ধরনায় বসার অনুমতি দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি

২০২২ সালে প্রাথমিক টেট পরীক্ষার্থীদের ধরনায় বসার অনুমতি দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।২০২২ সালে টেটের এখনও সাক্ষাৎকার হয়নি। সেই দাবিতে করুণাময়ীতে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ধরনায় বসতে চেয়ে আবেদন জানান চাকরি প্রার্থীরা। ৪ ফেব্রুয়ারি অবধি ধরনায় বসতে চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা।

২০১৭ সালের পর পাঁচ বছর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের কোনও পরীক্ষা হয়নি রাজ্যে। মাঝে বহু মামলা মোকদ্দমা, নিয়োগ দুর্নীতি ঘিরে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত চলেছে। এরই মধ্যে ২০২২ সালে টেটের ঘোষণা করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেইমতো টেট হয়। কিন্তু এরপর সাক্ষাৎকারের দিনক্ষণ আর ঘোষণা হয়নি।
এরই মধ্যে আবার ২০২৩ সালেরও টেট হয়েছে। ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণদের দাবি, যে পরীক্ষা নিয়ে কোনও আইনি ঝামেলা ছিল না, তারও সাক্ষাৎকার হল না। অথচ নতুন করে আবার পরীক্ষা নেওয়া হয়ে গেল।
সোমবার সেই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চে। সেখানেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়। মামলাকারীরা জানান, বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত তাঁদের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে করুণাময়ী সৌরভ গাঙ্গুলি ক্রিকেট কোচিং ক্যাম্পের পাশে ধরনার অনুমতি দিয়েছেন।