সাকারিয়ার প্রশংসায় পঞ্চমুখ সবাই,৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে গত রাতে যেন রানের বান ডেকেছিল। প্রথমে ব্যাট করে অধিনায়ক লোকেশ রাহুল, ক্রিস গেইল আর দীপক হুদার তাণ্ডবে ২২১ রান তোলে পাঞ্জাব কিংস। পরে অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের পাগলাটে এক সেঞ্চুরির ওপর ভর করে প্রায় ম্যাচটা জিতেই যাচ্ছিল রাজস্থান, শেষমেশ হেরেছে চার রানে। বোলারদের বধ্যভূমিতে এই ম্যাচে আলো ছড়িয়েছেন চেতন সাকারিয়া নামের আনকোরা এক তরুণ। খেলছেন রাজস্থানের হয়েই।
মোস্তাফিজ, ক্রিস মরিস, ঝাই রিচার্ডসন, রাইলি মেরেডিথ, বেন স্টোকসের মতো বোলাররা যেখানে সপাটে পিটুনি খেয়েছেন, ৪ ওভার বল করে সেখানে ৩১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন সাকারিয়া। উদ্বোধনী বোলার হিসেবে তুলে নিয়েছেন পাঞ্জাবের দুই ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়াল, লোকেশ রাহুল ও শেষ দিকে ঝাই রিচার্ডসনের উইকেট। বোলিং-বৈচিত্র্যে চমকে দেন গেইলের মতো পোড় খাওয়া ব্যাটসম্যানকেও। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচ শেষে ধন্যি ধন্যি পড়ে গেছে এই বাঁহাতি পেসারকে নিয়ে। সাকারিয়ার প্রশংসায় পঞ্চমুখ সবাই।
‘অ্যারাউন্ড দ্য উইকেট’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজেদের পরিবারের কাহিনি জানিয়েছেন চেতনের মা, ‘আশা করব, আমরা যেসব কষ্টের মধ্যে দিন কাটিয়েছি, কাউকে যেন কাটাতে না হয়। আমার মেজ ছেলে, চেতনের চেয়ে যে এক বছরের ছোট ছিল, সে মাসখানেক আগে আত্মহত্যা করে। চেতন তখন সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফি খেলছিল। আমরা চেতনকে ওর ভাইয়ের মৃত্যুর খবরটা দিইনি। কারণ, দিলে দেখা যেত, ওর খেলায় সেটার খারাপ প্রভাব পড়ছে।
‘বাবা ছিলেন ট্রাক ড্রাইভার। তিন-তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় তিনবার অস্ত্রোপচার হয়েছে তাঁর। এখন বিছানা থেকে উঠতে পারেন না। উনি এখন আর উপার্জন করতে পারেন না। উনি এখনো ছেলের মৃত্যুর শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি। কিচ্ছু খান না, কোনো কথা বলেন না।’