চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়ান্ট জেএন.১ উপপ্রজাতি
চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়ান্ট জেএন.১ উপপ্রজাতির। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, শিশুদের মধ্যে করোনার জেএন.১ উপপ্রজাতির সংক্রমণ ঠেকাতে বিশেষ সতর্কতা মেনে চলা জরুরি। করোনার ভ্যাকসিন এই প্রজাতির সংক্রমণ আদৌ ঠেকাতে পারবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। বাড়ির বড়দের থেকেই বাচ্চাদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তাই বড়দেরই সাবধানে থাকতে হবে। কোনও রকম উপসর্গ বুঝলে সঙ্গে সঙ্গে আইসোলেশনে যেতে হবে। রাস্তায় বেরোলে মাস্ক পরতে হবে, হাঁচি-কাশির সময় নাক-মুখ ঢেকে রাখা জরুরি, এখন অসুস্থ হলে বা উপসর্গ দেখা দিলে আইসোলেশনে থাকতে হবে। টানা জ্বর, শ্বাসকষ্ট হলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার দেখিয়ে নিতে হবে। ৫ থেকে ১৮ বছর বয়স অবধি ফেস-মাস্ক বাধ্যতামূলক। পাঁচ বছরের নীচে শিশুদের মাস্ক পরাতে হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। বাবা-মায়েদের খেয়াল রাখতে হবে।
হু’র তরফে শিশুদের জন্য করোনা সংক্রান্ত বেশ কিছু গাইডলাইন দিয়েছে। বলা হয়েছে, শিশুদের আগে থেকে কোনও জটিল রোগের ইতিহাস থাকলে বা কোমর্বিডিটি থাকলে বেশি সতর্ক হতে হবে। শিশুরা যতটা সম্ভব বাড়িতে থাকলেই ভাল। গণপরিবহন এই সময়ে এড়িয়ে চলাই উচিত। সার্জিক্যাল মাস্কের বদলে বাচ্চাদের নন-মেডিক্যাল তিন স্তরের ফ্যাব্রিক মাস্ক পরালে বেশি ভাল হয়। শিশুদের কোভিড সংক্রমণ হলেও বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকা ভাল। উষ্ণ গরম জলে বাচ্চাদের গার্গল করাতে হবে, দু’বছরের বেশি বয়সি শিশুদের সকাল ও রাতে ব্রাশ করা জরুরি। পাঁচ বছরের ওপরে বাচ্চাদের প্রাণায়াম ও হাল্কা যোগব্যায়াম করালে ভাল। হাত ধোওয়া, পারস্পরিক দূরত্ব মেনে চলার দিকে নজর রাখতে হবে। পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে শিশুদের।