মঙ্গলবার, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

খুনের বদলা চেয়ে চোখের জলে ভেসে ব্যালটে জবাব দিলেন নিহতের পরিবার

News Sundarban.com :
জুলাই ১০, ২০২৩
news-image

সুভাষ চন্দ্র দাশ, বাসন্তী – দুটি চোখে অনবরত অশ্রু ঝরতে। চোখ দুটি মুছতে মুছতে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে কান্নায় ভেঙে পড়লেন বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ গ্রামের বাসিন্দা আনিসুর ওস্তাগার এর পরিবার।

৮ জুলাই শনিবার ভোট চলাকালীন বাসন্তী থানার অন্তর্গত ফুলমালঞ্চ পঞ্চায়েতের ফুলমালঞ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০৩ ও ১১৩ নম্বর বুথের মধ্যে এবং বুথের সামনে মুড়ি মুড়কির মতো বোমা ছুঁড়ছিল দুষ্কৃতীরা। সেই হামলার মুখে পড়ে প্রাণ ভয়ে পালিয়ে যান ভোটাররা। বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় আনিসুর ওস্তাগার(৪২) নামে এক তৃণমূল কর্মীর। পেশায় তিনি টোটো চালক। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কয়েক ঘণ্টা পর আবারও শুরু হয় ভোটপর্ব।

বিভিন্ন অভিযোগ পেয়ে নির্বাচন কমিশন ১০৩ ও ১১৩ নম্বর বুথে পুনরায় নির্বাচন ঘোষণা করেন। সেই সিদ্ধান্তেই সোমবার পুনরায় ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হয়।শুরুতেই ক্যানিং মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দিবাকর দাসের নেতৃত্বে পাঞ্জাব পুলিশ,বিএসএফ ও রাজ্য পুলিশের বিশাল বাহিনী এলাকায় টহল দেয়। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দেওয়া হয় ১০৩ ও ১১৩ নম্বর বুথ চত্বর। সকাল বেলাতেই ভোট দিতে আসেন নিহত আনিসুর ওস্তাগারের পরিবার। আনিসুরের মা আনিশা ওস্তাগারের হাহাকার, সেদিন যদি এত পুলিশ থাকত তবে হয়তো এভাবে হারাতে হত না ছেলেকে। তিনি বলেন, “কোনও পুলিশ ছিল না সেদিন। আমার ছেলেকে দুষ্কৃতীরা বোমা ছুঁড়ে মেরে ফেলল। ভোট দেওয়ার মতো অবস্থায় আমি নেই। বৌমা কারিমাই নিয়ে গেছিল আমাকে।ছেলের খুনিদের যাতে কঠোর শাস্তি হয় সেই জন্য ব্যালটে জবাব দিয়েছি।“

মৃতের বৌদি ১০৩ নম্বর বুথের তৃণমূল প্রার্থী রোকেয়া ওস্তাগারও কাঁদতে কাঁদতে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।তিনিও আনিসুরের খুনিদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।