শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

যাদবপুরে এন্ট্রান্স পরীক্ষার সিদ্ধান্ত ইসি-র, যাদবপুরে ঘেরাও তুলে নিল পড়ুয়ারা

News Sundarban.com :
জুন ২৮, ২০১৮
news-image

আবার বিতর্কের মুখে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। বারবার বিতর্কের মধ্যে জড়িয়ে পড়ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা, আন্দোলনে নেমে কি পড়ুয়াদের পড়াশোনার মান নিচু হয়ে যাচ্ছেন? তা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন।
দিনক্ষণ ঘোষণার পরও বন্ধ কলা বিভাগের প্রবেশিকা। কলা বিভাগে স্নাতক স্তরে ভর্তির প্রবেশিকা হওয়ার কথা ছিল ৩ থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত। সোমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিল, নির্ধারিত দিনে হচ্ছে না সেই প্রবেশিকা। ভর্তির পরীক্ষা নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। বোর্ডের পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তি না কি প্রবেশিকা? এই নিয়ে সোমবার থেরে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের ৷
এবিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বলেন, প্রবেশিকা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে কোনওমতে ভর্তির ক্ষেত্রে মেধার সঙ্গে আপস করা যাবে না। শিক্ষামন্ত্রী এবিষয়ে কোনও নির্দেশ দেননি বলে দাবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।
কলেজে কলেজে ভর্তি শুরু হয়ে গিয়েছে। সেখানে পাঁচতারা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরীক্ষা হবে কিনা, তারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হল না এখনও। এই টানাপোড়েনের মূল্য কেন পড়ুয়াদের দিতে হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ভর্তি পর্বে দেরি হলে কৃতীরা এখানে আসবে তো?
অবশেষে যাদবপুরে ঘেরাও তুলে নিল পড়ুয়ারা ৷ আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নিল কর্তৃপক্ষ। যাদবপুরে প্রবেশিকার সিদ্ধান্ত ইসি-র। কলা বিভাগের ৬টি বিষয়ে হবে প্রবেশিকা। ভর্তির ক্ষেত্রে বিচার্য হবে উচ্চ মাধ্যমিকের নম্বরও। প্রবেশিকার ফল ও উচ্চ মাধ্যমিকের নম্বর মিলিয়ে চূড়ান্ত তালিকা হবে। ৪৪ ঘণ্টা ধরে অবস্থান বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল পড়ুয়ারা ৷ ঘেরাও করা হয় উপাচার্যকে ৷ অবশেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কলা বিভাগে প্রবেশিকা পরীক্ষার দায়িত্বে থাকবে অ্যাডমিশন কমিটি ৷ বোর্ড ওফ স্টাডিজের কোনও ভূমিকা থাকবে না ৷ দ্বাদশ ও প্রবেশিকা দুই পরীক্ষার ভিত্তিতেই ভর্তি হবে ৷
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমেই ভর্তি নিতে হবে। সোমবার সন্ধে থেকে এই দাবিতেই উপাচার্যকে ঘেরাও করে কলা বিভাগের ছাত্র সংসদ । ঘেরাও করা হয় এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্যদেরও।বাংলা, ইংরেজি, তুলনামূলক সাহিত‍্য, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ইতিহাস এবং দর্শন – কলা বিভাগের এই ছটি বিষয়ে স্নাতক স্তরের প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য ৩ থেকে ৫ জুলাই প্রবেশিকা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, কেন কিছু বিষয়ে নম্বরের ভিত্তিতে, আর কিছু বিষয়ে প্রবেশিকা, এ নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষা দফতরও কার্যত তাদের আপত্তির কথা বুঝিয়ে দেয়। এই প্রেক্ষাপটে, সোমবার, যাদবপুর বিশ্ববিদালয়ের এগজিকিউটিভ কমিটি বৈঠকে বসে। তারা, প্রবেশিকা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এর প্রতিবাদেই উপাচার্যকে ঘেরাও শুরু করে কলা বিভাগের ছাত্র সংসদ। তাদের দাবি, যাদবপুর বিশ্ববাদ্যালয়ে অনেক বছর ধরে কলা বিভাগে প্রবেশিকা হয়ে আসছে ৷ এতে ভর্তি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা থাকে ৷ পড়ুয়াদের মানও বজায় রাখা যায় ৷