বুধবার, ১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রক্তদান শিবিরের আয়োজন করলো নামখানা ব্লকের শুভদায়িনী সেবা সংঘ

News Sundarban.com :
ডিসেম্বর ৭, ২০২০
news-image

নিউজ সুন্দরবন ডেস্ক: রক্তের অকাল এবং থ্যালাসেমিয়া রোগীদের সাহায্যে এক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করলো সুন্দরবনের নামখানা ব্লকের উত্তর চন্দনপিড়ি শুভদায়িনী সেবা সংঘ। কলকাতার লাইফ কেয়ারের প্রচেষ্টায় এই শিবির অনুষ্ঠিত হয়।

পতাকা উত্তোলন এবং প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে রক্তদান শিবিরের সূচনা করলেন নামখানা ব্লকের বিডিও সান্তনু সিংহ ঠাকুর, উপস্থিত ছিলেন লাইফ কেয়ার এর সদস্য ড.অনিমেষ জানা, উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সেক্রেটারি গৌরাঙ্গ প্রধান, সভাপতি অভিজিৎ মাইতি, অনুষ্ঠানে অন্যান্য বিশিষ্টদের মধ্যে ছিলেন সমাজসেবী তথা প্রাক্তন শিক্ষক সন্তোষ কুমার জানা এবং প্রবীর কয়াল, উপস্থিত ছিলেন  ক্লাবের কোষাধক্ষ্য বিমল তিওয়ারি, গৌতম মাইতি, পলাশ প্রামানিক, শিবশঙ্কর বেরা, উপস্থিত ছিলেন সঞ্জয় মান্না, অক্ষয় মাইতি, সাহেব পাল, সঞ্চিতা মাইতি ও স্থানীয় গ্রামবাসী বৃন্দ। উত্তর চন্দনপিড়ি শুভদায়িনী সেবা সংঘের আয়োজনে ৯১ জন রক্তদাতা স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন।

করোনা তান্ডবে বিগত ২৩ মার্চ থেকে সমগ্র দেশ জুড়ে শুরু হয়েছিল লকডাউন। যা প্রায় আটমাস অতিক্রান্ত। করোনা তান্ডবে এই লকডাউন চলায় বিভিন্ন ভাবে সবথেকে বেশি সমস্যা জর্জরিত হয়েছেন থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগী ও তাঁদের পরিবার পরিজনেরা।

এই প্রসঙ্গে ক্লাবের সভাপতি অভিজিৎ মাইতি বলেন, এই মহামারী করোনাতে সারা বিশ্বজুড়ে যেভাবে রক্তের সংঙ্কট চলেছে এবং চলছে তাতে সাধারণ মানুষের কাছে খুবই অসুবিধাজনক।

এক ফোটা রক্ত একটি জীবন।

এই রক্তদান শিবিরের ব্যবস্থাপনায় আমাদের এই শুভদায়িনী সেবা সংঘের সকল সদস্য ও সদস্যারা সামিল হয়েছি। এর জন্যই সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। এত অল্প সময়ের মধ্যে একটা রক্তদান শিবির আয়োজন করা হয়েছে। ক্লাবের সদস্য এবং আমাদের এই গ্রামবাসীদের উদ্যোগের ফলে এটি সম্ভব হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের এই ক্লাব সর্বদা সমাজসেবক মূলক কাজে অগ্রণী ভূমিকা রাখে। আমরা আগামী দিনে আরো কিছু ভালো কাজ করব যেটা আশারাখি।

উল্লেখ্য ১৯৯৫ সাল থেকে আন্তর্জাতিক রক্তদান দিবস পালন। এবং ২০০০ সালে ‘নিরাপদ রক্ত’-এই থিম নিয়ে পালিত বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের অভিজ্ঞতা নিয়ে ২০০৪ সালে সর্বপ্রথম পালিত হয়েছিল বিশ্ব রক্তদান দিবস। ২০০৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য অধিবেশনের পর থেকেই প্রতিবছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এ দিবস পালনের জন্য তাগিদ দিয়ে আসছে।

প্রতিবছর ৮ কোটি ইউনিট রক্ত স্বেচ্ছায় দান হয়। অথচ এর মধ্যে মাত্র ৩৮ শতাংশ সংগ্রহ হয় উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে, যেখানে বাস করে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৮২ শতাংশ মানুষ। এ ছাড়া এখনো বিশ্বের অনেক দেশে মানুষের রক্তের চাহিদা হলে নির্ভর করতে হয় নিজের পরিবারের সদস্য বা নিজের বন্ধুদের রক্তদানের ওপর।  আর অনেক দেশে পেশাদারি রক্তদাতা অর্থের বিনিময়ে রক্ত দান করে আসছে রোগীদের। অথচ জানা যায়, ‘নিরাপদ রক্ত সরবরাহের’মূল ভিত্তি হল স্বেচ্ছায় ও বিনামূল্যে দান করা রক্ত। কারণ তাদের রক্ত তুলনামূলক ভাবে নিরাপদ এবং এসব রক্তের মধ্য দিয়ে গ্রহীতার মধ্যে জীবনসংশয়ী সংক্রমণ, যেমন এইচআইভি ও হেপাটাইটিস সংক্রমণের আশঙ্কা খুবই কম।

আরও একটি তাৎপর্য রয়েছে। নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী কার্ল ল্যান্ডস্টিনার আবিষ্কার করেছিলেন রক্তের গ্রুপ ‘এ, বি, ও,এবি’।