রবিবার, ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সুন্দরবনে অসহায় পড়ুয়াদের পাশে স্কুল শিক্ষক

News Sundarban.com :
মে ১৩, ২০২০
news-image

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং –

করোনা ভাইরাসের আক্রমণ আর লকডাউনে জেরে সুন্দরবনের পিছিয়ে পড়া পরিবারের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা আরো পিছিয়ে পড়ছে। অভাব অনটনের মধ্যে সংসার চালানো পরিবারগুলির ছেলেমেয়েরা আগের থেকে অনেকটা এগিয়ে এসেছিলেন পড়াশোনার ক্ষেত্রে। কমেছিল  স্কুলছুটের সংখ্যাও। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে সেই সমস্ত পিছিয়ে পড়া পরিবারের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার ভবিষ্যৎ অথৈ জলে! আগামী দিনে সুন্দরবনে স্কুলছুট ছেলেমেয়ের সংখ্যা বাড়তে পারে। এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যে কাজ হারিয়েছেন বহু পরিবার। সংসারের অভাব অনটনের জন্য  ছেলে-মেয়েরা  আগামী দিনে মা-বাবার সাথে ভিন রাজ্যে কাজে চলে যেতে পারে।কিংবা অল্প বয়সে শ্রমিকের কাজে যুক্ত হতে পারে বলে আশাঙ্কা।সেই ক্ষেত্রে শিশু শ্রমিকের হার ও বেড়ে যাবে। বর্তমানে স্কুল গুলিতে পড়াশোনার পাশাপাশি বন্ধ হয়ে গিয়েছে প্রাইভেট পড়াশোনাও।  বন্ধ হয়ে গিয়েছে  স্কুলের মিড ডে মিল। এই মিড ডে মিলের উপর নির্ভর করে অনেক ছেলেমেয়েরা স্কুলে আসতো। কবে স্কুল খুলবে?কবেই বা আবার পড়াশোনা স্বাভাবিক ভাবে হবে? সে বিষয়ে নিশ্চিত ভাবে এখনো পর্যন্ত কেউ কিছু বলতে পারছেন না। স্কুলের ছেলেমেয়েরা যাতে বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতে পারে সেই চিন্তাভাবনা করে এগিয়ে এলেন  দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার প্রত্যন্ত সুন্দরবনের বাসন্তী ব্লকের নফরগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের  নীলকন্ঠপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। নীলকন্ঠপুর  প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিবেক পাল স্কুলের সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য তুলে দেন অভিভাবকদের হাতে।পাশাপাশি ছেলে মেয়েদের জন্য প্রশ্নপত্র তুলে দেন। যাতে করে বাড়িতে তারা পড়াশোনা করতে পারে।অবিভাবক মহল শিক্ষকদের এমন অনন্য উদ্যোগে খুশি।

শিক্ষক বিবেক পাল জানিয়েছেন যতদিন পর্যন্ত স্কুল না খুলছে,ততদিন প্রতি সপ্তাহে এমন প্রশ্নপত্র ছাত্র ছাত্রীদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।তারা পড়াশোনা করে উত্তর লিখবে। এতে করে একদিকে যেমন তারা পড়াশোনার জগতে থাকবে, তেমনই শিক্ষা থেকে পিছিয়ে পড়বেনা বরং এগিয়ে যাবে।