সোমবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নদী বাঁধের বেহাল দশা, আতঙ্কে উপকূলের বাসিন্দারা

News Sundarban.com :
সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৩
news-image

নিজস্ব প্রতিনিধি,নামখানা: নদী বাঁধে বেহালদশা, আতঙ্কের মধ্যে উপকূলীয় এলাকার মানুষজনেরা। গত কয়েকদিন উপকূলীয় এলাকায় জুড়ে দফায় দফায় ভারি বৃষ্টি হয়েছে।সকাল থেকে কালো মেঘে আকাশ ঢেকে রয়েছে, তবে বৃষ্টি না হলেও পরিস্থিতি একেবারে থমথমে হয়ে রয়েছে। একদিকে অমাবস্যার ভরা কোটাল অন্যদিকে নিম্নচাপের জেরে নদী ও সমুদ্রে প্রবল ভাবে জল বাড়ার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। জলোচ্ছ্বাসের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সুন্দরবনের বেহাল কাঁচা নদী বাঁধ ও সমুদ্র বাঁধ, নদী বাঁধের পাশে বসবাসকারী মানুষজনেরা এই মুহূর্তে আতঙ্কিত। শুক্রবারের মতো শনিবার ও অমাবস্যার কোটালে জেরে জল বাড়ার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। অন্যদিকে আবহাওয়া খারাপ ও পুবের বাতাস থাকার কারণে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। নামখানা ব্লকের পাতিবুনিয়া, হরিপুর ইশ্বরীপুর, নারায়নপুর, দেবনগর, ফ্রেজারগঞ্জ ও মৌসুনি দ্বীপের বালিআড়া বাগডাঙ্গা, কুসুমতলা, এলাকার নদীবাঁধে বেহাল পরিস্থিতি। প্রতিটি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বারে বারে ক্ষতির মুখে পড়তে হয় এই সমস্ত এলাকার মানুষজনদের। বিগত বছরগুলিতে একাধিকবার নিজের ভিটে মাটি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন এই সমস্ত উপকূলীয় এলাকার মানুষ জনেরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবী পাকাপোক্ত কংক্রিটের নদী বাঁধ প্রয়োজন। না হলে প্রতিটা কোটালে আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয় তাদেরকে।

এ বিষয়ে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি শ্রীমন্ত কুমার মালী বলেন আমরা ইতিমধ্যে নামখানা ও সাগরে বেশ কয়েকটি জায়গায় স্থায়ী নদী বাঁধ তৈরি করেছি খুব শীঘ্রই বাকি নদী বাঁধগুলিতে স্থায়ী নদীবাঁধ তৈরি করা হবে।

প্রতিবছর একটি করে বর্ষাকাল আসে আর আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটান উপকূলীয় এলাকার মানুষগুলি। বর্ষা এলে ই নদী বাঁধ ভাঙ্গে। আবারো অস্থায়ীভাবে নদীবাঁদ গুলি মেরামতি করা হয়। কিন্তু কতদিন চলবে এইভাবে প্রশ্ন উপকূলীয় এলাকার মানুষগুলির। আরো কত মানুষ ভিটে মাটি হারা হলে টনক নড়বে সরকারের প্রশ্ন উপকূলীয় এলাকার মানুষগুলি।