ভারত চাল রফতানি বন্ধ করায় বিশ্বব্যাপী খাদ্যসঙ্কট তৈরি হতে পারে

চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত। বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, ভারত চাল রফতানি বন্ধ করায় বিশ্বব্যাপী খাদ্যসঙ্কট তৈরি হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে আইএমএফ জানাল, তারা ভারতকে চাল রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে অনুরোধ করবে। আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থার দাবি, ভারতের সিদ্ধান্তে গোটা বিশ্বের মুদ্রাস্ফীতির উপর প্রভাব ফেলবে। যা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন।
প্রসঙ্গত, ভারত বিশ্বের বৃহত্তম চাল রফতানিকারী দেশ। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় স্থানীয় বাজারে লাফিয়ে বেড়েছে দাম। এই অবস্থায় গত ২০ জুলাই বাসমতী ছাড়া অন্যান্য সাদা চাল রফতানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। আন্তর্জাতিক বাজারে সিংহভাগ (৯০ শতাংশ) চাল রফতানি করে থাকে ভারত-সহ এশিয়ার দেশগুলি। ফলে ভারতের এই সিদ্ধান্তে দেশে চালের দাম কমলেও আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম অনেকটাই বেড়ে যাবে। বিশ্ব বাজারে একাই ৪০ শতাংশ চাল রফতানি করে থাকে ভারত। কমবেশি ১০০টি দেশ ভারতের এই খাদ্যশস্য কেনে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ক্রেতা চিন, বেনিন, সেনেগাল, টোগো ইত্যাদি দেশগুলি।ভারতের সিদ্ধান্তের ফলে ৮০ শতাংশ চাল রফতানি আটকে গিয়েছে। এই বিষয়টি নিয়েই চিন্তায় পড়েছে আইএমএফ।
আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থার দাবি, ভারতের সিদ্ধান্তে বাকি বিশ্বে খাদ্যসংকট দেখা দিতে পারে। আইএমএফের শীর্ষ আধিকারিক পিয়েরে-অলিভিয়ের গৌরিঞ্চাস বলেন, “ভারতকে এই সিদ্ধান্ত তুলে নিতে অনুরোধ করব আমরা। নচেত গোটা বিশ্বে এর খারাপ প্রভাব পড়বে।” আর্থিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডার পাশাপাশি, পূর্ব ইউরোপের দেশগুলিতেও মুদ্রাস্ফীতির মারাত্মক প্রভাব পড়বে। এর প্রভাব দেখা যাবে মধ্য প্রাচ্যের সংযুক্ত আরব আমিরশাহী বা সৌদি আরবের মতো দেশেও।
উল্লেখ্য, আমেরিকা, কানাডা থেকে ব্রিটেন, ফ্রান্স। ইতিমধ্যে এক মুঠো গরম ভাতের জন্য হাহাকার পড়ে গিয়েছে। ভারত থেকে চাল রফতানি বন্ধ হওয়ায় বেজায় বিপাকে প্রবাসী ভারতীয়রাও। চাল কিনতে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলির সামনে পড়ছে লম্বা লাইন। ১০-১৫ বস্তা করে চাল মজুত করছেন অনেকে।