মঙ্গলবার, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিছানায় কালাচ সাপের কামড়, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি শিশু

News Sundarban.com :
জুলাই ২৩, ২০২৩
news-image

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – বর্ষার শুরু থেকেই প্রায় প্রতিদিনই সাপের উপদ্রব বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে কালাচ সাপের কামড়ে বেশীর ভাগ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। পাশাপাশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।কারণ কালাচ সাপ একমাত্র রাতে বিছানায় কামড় দেয়।অনেক ক্ষেত্রে কামড়ের দাগ থাকে না।ক্ষতস্থানে রক্ত বের হয় না।এছাড়াও জ্বালা কিংবা যন্ত্রনা করে না।

ফলে শিশুদের ক্ষেত্রে কালাচ সাপ কামড় দিলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।সে ক্ষেত্রে উপসর্গ হিসাবে গলা ব্যথা,চোখ ঝাপসা এবং নাভীতে প্রচন্ড ব্যথা কালাচ সাপ কামড়ের লক্ষণ।ফলে কালাচ সাপের উপদ্রব থেকে পরিত্রাণ পেতে বাড়ির চারপাশে ব্লিচিং ছড়াতে হবে এবং রাতে অবশ্যই মশারী টাঙিয়ে ঘুমাতে হবে। তবেই মিলতে পারে পরিত্রাণ।বারুইপুর থানার উত্তর বেলেগাছি ছাপবেড়ে গ্রামের মোল্লা দম্পতি একমাত্র শিশু কন্যা বছর তিন বয়সের সোনিয়া ঘুমিয়েছিল।

শুক্রবার রাত বারোটা নাগাদ বিছানার মধ্যে তার হাতে একটি কালাচ সাপ কামড় দেয়। ছোট্ট সোনিয়া কাঁদতে কাঁদতে সে তার মা আনোয়ারা কে জানায়।একমাত্র মেয়ে কে সাপে কামড় দিয়েছে জানতে পেরে কি করবেন ভেবে উঠতে পারছিলেন না।অবশেষে ওই শিশুর বাবা আরফাত মোল্লা চিকিৎসার জন্য তড়িঘড়ি ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় সোনিয়া কে।সেখানে চিকিৎসকরা অতি তৎপরতার সাথে চিকিৎসা শুরু করেন।আক্রান্ত শিশুকে ৪০ টি সাপে কামড়ানো প্রতিষেধক এভিএস দেওয়া হয়।

শনিবার সকাল থেকেই ওই শিশুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকরা ওই শিশু কে কলকাতার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন।বর্তমানে শিশুটি সঙ্কটমুক্ত অবস্থায় সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শিশুর এক আত্মীয় রেজাউল হক মোল্লা জানিয়েছেন, বর্তমানে কথা বলছে শিশুটি।চিকিৎসকদের চিকিৎসায় প্রায় বিপদমুক্ত বলা যায়।

অন্যদিকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সর্প বিশেষঞ্জ চিকিৎসক ডাঃ সমরেন্দ্র নাথ রায় জানিয়েছেন,শিশুটির বাবা মা বেশকিছু সময় নষ্ট করে হাসপাতালে এনেছিলেন।তবে সঠিক ভাবে চিকিৎসা পরিষেবা পেতেই শিশুটি সুস্থ হওয়ার পথে।

তিনি আরো বলেন,সাপে কামড় দিলে যত তাড়াতাড়ি সময় নষ্ট না কয়ে নিকটবর্তী সরকারী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া জরুরী।কারণ একমাত্র সরকারী হাসপাতালেই সাপে কামড়ানো প্রতিষেধক এভিএস পাওয়া যায়।

অন্যদিকে শনিবার রাতে মোল্লা দম্পতির ঘরের মধ্যে একটি ইঁদুর গর্তে অভিশপ্ত কালাচ সাপটির দেখামেলে। পরিবারের তরফ থেকে সাপুড়ে রাজ্জাক সরদারকে খবর দেওয়া হয়।সাপটি ধরে অন্যত্র ছেড়ে দেয় রাজ্জাক।