শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সহ সভাপতির নামে পোস্টার ঘিরে রাজনৈতিক তরজা

News Sundarban.com :
জুলাই ৬, ২০২৩
news-image

নিজস্ব প্রতিনিধি, নামখানা: দলের উচ্চ নেতৃত্বের সাফ কথা, তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে যারা নির্দলের হয়ে দাঁড়াবেন, তাদেরকে দল থেকে বহিস্কার করা হবে। এইরূপ নির্দেশের পরেও নামখানার ছবিটা একটু অন্য রকমের। নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সহসভাপতি ধীরেন পাত্র এবার নারায়নপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৪৬ নং বুথের তৃনমূলের মনোনীত প্রার্থী হয়েছেন। কিন্তু তার ছেলে সিদ্ধার্থ পাত্র নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির ১৯ এ নির্দল প্রার্থী হয়েছেন।

স্বাভাবিকভাবে এই খবর সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা। পাশাপাশি দলেরই একটা অংশ তাদের নাম লিখে, দলের উচ্চ নেতৃত্বের কাছে এর উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। এই বিষয়টিকে উল্লেখ করে নামখানার বিভিন্ন জায়গায় একটি পোস্টারও পড়েছে। এই পোস্টারে উল্লেখ রয়েছে, “প্রচারে নব জোয়ার নামখানা ব্লকে। স্বাভাবিকভাবেই পঞ্চায়েত ভোটের আগে শাসক ও বিরোধী দলের তরজা শুরু হয়েছে। এই বিষয়ে বিজেপি মন্ডল ৫ এর সভাপতি অনুপ সামন্ত জানা, “এই দলটা একটা পারিবারিক দল। ধীরেন বাবু নিজে তৃনমূলের টিকিট নিয়েছেন কিন্তু ছেলের জন্য টিকিটটা সংগ্রহ করতে পারেননি। আর সেই কারনেই তিনি মেজো ছেলেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী করে দাঁড় করিয়েছেন। আগামী দিনে এই দলটির কোনো অস্তিত্ব থাকবে না।”

যদিও এ বিষয়ে নামখানা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ধীরেন দাস বলেন, দলের সব দিকে লক্ষ্য রয়েছে। দল যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে, কারন এই ঘটনা দলের নিয়মবহির্ভূত। তবে যদি সে সম্পূর্ণ পৃথক পরিবার হয়ে থাকে এবং রাজনৈতিকভাবে দলের সঙ্গে কোনো সংযোগ না থাকে, তাহলে আমাদের এখানে বলার কিছু নেই। দলের মূল স্রোতের সঙ্গে আমরা তার যোগাযোগ লক্ষ্য করিনি। বর্তমান সহকারী সভাপতির সঙ্গে তার ছেলের কোনো সম্পর্ক ছিল না । তিনি নারায়নপুর এলাকার প্রার্থী নন, তিনি ফ্রেজারগঞ্জ এলাকায় নির্দল প্রার্থী হয়েছেন। তিনি ভোটের ময়দানে লড়াইয়ের মানসিকতা নিয়ে দাঁড়াননি বলে, আমারা মনে করি। ওই এলাকায় তৃনমূল প্রচুর ভোটে জয়লাভ করবে বলে, আমাদের বিশ্বাস। আর মাত্র কয়েকটা দিন, তারপর পঞ্চায়েত ভোট। এই পঞ্চায়েত ভোটকে ঘিরে ইতিমধ্যেই গ্রাম বাংলায় রাজনীতির পারদ ক্রমশ চড়তে শুরু করেছে।