সোমবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বাজারে ১৫০ থেকে ২৫০ গ্রাম ইলিশ, প্রবল ক্ষতির আশঙ্কা মৎস্যজীবীদের

News Sundarban.com :
জুন ২২, ২০২৩
news-image

তামান্না খাতুন,  কাকদ্বীপ: গত ১৬ জুন শুক্রবার থেকে গভীর সমুদ্রে ইলিশ ধরার সরকারি নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছে প্রচুর ট্রলার। কিন্তু ইতিমধ্যে সোমবার রাতে ট্রলার করে বিপুল পরিমাণ খোকা ইলিশ এসে পৌঁছেছে নামখানা – কাকদ্বীপ মৎস্য বন্দরে। প্রশাসন ও মৎস্যজীবী সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল কোনোভাবেই ছোট ইলিশ ধরা যাবে না। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য এখন মৎস্য বিভাগের বেশিরভাগ কর্মী ব্যস্ত হয়ে পড়ায় নজরদারিরও অভাব ঘটছে। তার ফলেই পুরোপুরি এই সুযোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এমন কাজ করা হয়েছে বলে বেজায় ক্ষুব্ধ মৎস্যজীবীদের একটা বড় অংশ। পাশাপাশি তারা প্রবল ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।

মৎস্যজীবীদের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে বন্দরে আসা ১০টি ট্রলারে করে খোকা ইলিশ নিয়ে এসেছে মৎস্য বন্দরে। সেই খোকা ইলিশের গড় ওজন ১৫০ গ্রাম থেকে ২৫০ গ্রাম। সব মিলিয়ে মোট ২৬ টন খোকা ইলিশ ধরা হয়েছে বলে তাদের অনুমান। এক শ্রেণির মৎস্যজীবী বাংলাদেশের কাছে গিয়ে ছোট ইলিশ ধরে নিয়ে এসেছে বলে অভিযোগ।

অথচ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ৫০০ গ্রামের নিচে কোন ইলিশ ধরা যাবে না। ধরলে তা সম্পূর্ণ বেআইনি। আর ইলিশ ধরতে গিয়ে মৎস্যজীবীদের ৯০ সেন্টিমিটারের কম ফাঁসযুক্ত জাল ব্যবহার করতে হবে।

ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা, এখন থেকে সমুদ্রে যদি এরকমভাবে খোকা ইলিশ ধরে নেওয়া হয় তাহলে আগামীদিনে আর বড় ইলিশ পাওয়া যাবে না। আর মাছ বড় পাওয়া না গেলে তার দামও পাওয়া যাবে না। ফলে ক্ষতির মুখ পড়তে হবে ব্যবসায়ীদের। খোকা ইলিশ ধরার ঘটনাটি মৎস্য দফতরে জানানো হয়েছে। অবিলম্বে প্রশাসন এই অবৈধ কারবারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক চাইছেন মৎস্যজীবী এবং ব্যবসায়ীরা। বড় ইলিশ না হলে পরের দিকে দাম মিলবে না বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিজন মাইতির অভিযোগ, কোনও নজরদারি ছাড়াই ইলিশ মরশুমের শুরুতেই যেভাবে অসাধু ট্রলার মালিক ও কারবারি ছোট ইলিশ ধরার ব্যবসা ফেঁদে বসেছে তাতে দ্রুত রাজ্যের মৎস্য শিল্পের উপর ভয়ঙ্কর একটা আঘাত আসবে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার এডিএফ (মেরিন) পিয়াল সর্দার সংবাদমাধ্যমে বলেন, “ছোট ইলিশ ধরার প্রবণতা ঠেকাতে আমরা সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছি। আর এই অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।”