মঙ্গলবার, ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বারুইপুর প্রগতি সংঘ এর ৩০ তম বর্ষে এবারের ভাবনা ‘ঘুমোড়ের ঘটা’

News Sundarban.com :
সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২
news-image

ঝোটন রয়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। মহালয়ায় চণ্ডীপাঠের মাধ্যমে মর্ত্যলোকে আমন্ত্রণ জানানো হলো দেবী দুর্গাকে। শরতের আকাশে ভাসছে সাদা মেঘের ভেলা। চারিদিকে তাকালে কাশবনে বাতাসের দোল। শিশির ভেজা শিউলি ও দূর্বাঘাসে বিন্দু বিন্দু শিশিরের স্পর্শ। সবখানেই যেন এখন মায়ের আগমনী সুর বাজছে। মাটির প্রলেপের ওপর রংতুলির ছোঁয়ায় পূর্ণতা পাচ্ছেন মা দুর্গা।

বর্তমানে পুজো মানেই ভাবনাকে নিয়ে থিমের লড়াই। আর সেই থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য দেখে প্রতিমার সাজ। শহরের আনাচে-কানাচে অলিতে গলিতে পুজো কমিটি গুলো বিভিন্ন থিমের লড়াইয়ের মাধ্যমে মানুষকে আকর্ষণ করতে ব্যস্ত। অন্যান্য বছরের মতো বারুইপুরের সুবুদ্ধিপুর অরূপ ভদ্র সরণীর ৩০ তম বর্ষের প্রগতি সংঘ ক্লাবের ভাবনা ‘ঘুমোড়ের ঘটা’। সুরজিৎ দাসের পরিকল্পনা ও ভাবনায় এই ৩০ তম বর্ষে একটা অন্য মাত্রা এনে দেবে। কালাচাঁদ রুদ্র পালের তুলির টানে মৃন্ময়ী মা চিন্ময়ী রূপে মন্ডপে উদিত হবে। পূর্ব মেদিনীপুরের রাজলক্ষ্মী ডেকোরেটার্স ‘ঘুমোড়ের ঘটা’ এবারের এই থিম জন মানুষকে বেশি আকর্ষণ করবে। নদীয়া জেলার দে ইলেকট্রিক তারই আলোকের ঝলকানিতে রাঙিয়ে দেবে বারুইপুর প্রগতি সংঘের পুজো মণ্ডপ থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট এমনকি স্টেশন চত্বরকেও আলোকিত করে রাখবে। এস বি অডিও সাউন্ড এর মিষ্টি সুরেলা যন্ত্রের মুখরিত করবে সমগ্র পুজো মণ্ডপ। সৈকত ঘোষ এর আবহ সংগীতের মাধ্যমে মন প্রাণ ভরিয়ে দেবে আপনার এই পুজোর দিনগুলি। মিলে মিশে এযেন আভিজাত্য ও আধুনিকতার মেলবন্ধন।

‘ঘুমোড়ের ঘটা’ এর শুভ দ্বারোদঘোটন ও চিন্ময়ী মায়ের আবরণ উন্মোচন করবেন বিধানসভার সম্মানীয় অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন আই পি এস সম্মানীয় পুষ্পা, আই পি এস ইন্দ্র বদন ঝাঁ, মহাকুমা শাসক সুমন পোদ্দার, সৌরভ মাজি, সৌমজিৎ রায় শুভাশিস চক্রবর্তী, বাংলা চলচ্চিত্রে উজ্জ্বল তারকা পাওলি দাম, মিমি চক্রবর্তী, জয়ন্ত ভদ্র, শক্তি রায় চৌধুরী, গৌতম কুমার দাস, সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

এই প্রসঙ্গে পুজো কমিটির সভাপতি তথা বারুইপুর পৌরসভার পৌরপিতা তাপস ভদ্র বলেন, প্রায় তিন মাস থেকে আমাদের এই রাজ্যস্থানের ‘ঘুমোড়ের ঘটা’ থিমটি তৈরি হচ্ছে। প্রগতি সংঘের প্রচেষ্টাকে ঠিক সময়ে বাস্তবায়িত করতে দিনরাত কাজ করে চলেছি আমরা। আশা রাখি ঠিক সময় আমরা দর্শকদের কাছে পুজোর মূল বিষয়টি উপস্থাপন করতে পারব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা ও বাঙালির দুর্গাপুজো আজ বিদেশ (ইউনেস্কো) থেকে পুরস্কার পেয়েছে। আমাদের কাছে এটা গৌরবের। একদিকে করোনার দাপাদাপি। তাই কতগুলো প্রটোকল মেনে আমরা এই বছরও পূজোয় নেমেছি। সঙ্গে নিরাপত্তার উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা রাখি এবছর দর্শকের সংখ্যা অনেক গুণ বৃদ্ধি পাবে।