ইয়াস দুর্গত প্রত্যন্ত সুন্দরবনে ত্রাণ দিলেন বিধায়ক
নিজস্ব প্রতিনিধি: গত ২৬ মে সুন্দরবনের উপরে আছড়ে পড়েছিল ইয়াস।পাশাপাশি হয়েছিল প্রবল জলোচ্ছ্বাস।সব হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে সুন্দরবনের দুর্গত মানুষজন আশ্রয় নিয়েছে রাস্তার উপর ও ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে। সরকারী ত্রাণের পাশাপাশি বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার লোকজন ও ত্রাণ নিয়ে হাজির। প্রতিদিনই হাজার হাজার গাড়ি ত্রাণের মালপত্র যাচ্ছে সুন্দরবনের দুর্গতদের কাছে।
একামাত্র সরকারী ত্রাণ ছাড়া কোন স্বেচ্ছাসেবীের তঋরাণ পৌঁছাচ্ছে না প্রত্যন্ত এলাকায়। এমনটাই দাবী দুর্গতদের।তা ছাড়া ও ত্রাণ দেওয়ার নামে মোচ্ছব হচ্ছে ইয়াস দুর্গত এলাকায়।মদ্যপ অবস্থায় সুন্দরবন ঘুরে কাছাকাছি কিছু ত্রাণ বিলি করে ফিরে যাচ্ছে। এছাড়াও অভিযোগ উঠেছে প্রত্যন্ত এলাকা ছাড়া কাছাকাছি দুর্গতরা এতো বেশি পরিমাণ ত্রাণ পাচ্ছে,সে গুলো আবার বিক্রি ও হচ্ছে। আবার অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার লোকজন দুর্গত এলাকার পরিচিতদের সাথে যোগাযোগ করে ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছেন। সেই সমস্ত ত্রান নিজেদের লোকজনদের কে পাইয়ে দিচ্ছেন। এক কথায় প্রত্যন্ত এলাকার ইয়াস দুর্গতরা প্রায় একেবারেই বঞ্চিত।
এমত অবস্থায় ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস নিজ উদ্যোগে ত্রাণ নিয়ে মাঠে নামলেন। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত কচুখালি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ত্রাণ নিয়ে পৌঁছে যায়। সেখানে বুধবার দুপুরে প্রায় ১০০০ দুর্গতদের রান্না করা খাবার তুলেদেন। পাশাপাশি ওই সমস্ত দুর্গতদের হাতে প্রায় ১৫ দিনের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনো খাবার তুলেদেন বিধায়ক নিজেই।
বিধায়ক পরেশরাম দাস জানিয়েছেন “বিপদে মানুষের সাহায্যে এগিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।এমনটা তৃণমূল কংগ্রেস দল করার সময় থেকেই জানতাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের আদর্শ। সেই আদর্শ কে পাথেয় করে দুর্গত মানুষজনদের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি।আগামী দিনেও দুর্গত অসহায় মানুষে সেবায় নিয়োজিত থাকবো। তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সৈনিক হিসাবে এটা আমাদের কর্তব্য।’
এদিন প্রত্যন্ত সুন্দরবনের কচুখালিতে বিধায়কের হাত থেকে ত্রাণ পেয়ে খুশি দুর্গতরা।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাতলা ২ পঞ্চায়েত প্রধান উত্তম দাস,মাতলা ২ অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি অরিত্র বোস,দিঘীরপাড় পঞ্চায়েত উপপ্রধান মুকেশ মন্ডল,তৃণমূল নেতা গোপাল কুন্ডু সহ অন্যান্যরা।