শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মঙ্গলবারের বৈঠক থেকে কার্যত ভোটের দামামা বাজিয়ে দিল গেরুয়া শিবির

News Sundarban.com :
নভেম্বর ১৮, ২০২০
news-image
নিউজ সুন্দরবন ডেক্স: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে ঘুঁটি সাজাচ্ছে বিজেপি। বাংলাকে দখল করতে  ৫টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। ভোট প্রস্তুতিতে কোমর বাঁধছে বিজেপি। ৫ টি জোনের দায়িত্বে কেন্দ্রীয় নেতারা।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে হল একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।
২০২১-এ পশ্চিমবঙ্গ দখলে পাকা খেলোয়াড়দেরই মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নিল গেরুয়া শিবির।
অন্যান্য রাজ্যে নির্বাচনে যাঁরা সাফল্য এনে দিয়েছেন সেই ভোট ম্যানেজারদেরই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিলেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব ।
এছাড়া মঙ্গলবারের বৈঠকে হল ডিসেম্বর পর্যন্ত দলের কর্মসূচির পরিকল্পনাও।
সূত্রের খবর, নভেম্বরের শেষে ফের পশ্চিমবঙ্গে আসতে পারেন অমিত শাহ। মঙ্গলবার হেস্টিংসে বিজেপির পার্টি অফিসে বসে বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। তাতে রাজ্যের তাবড় নেতা ছাড়াও হাজির ছিলেন দলের ৩ পর্যবেক্ষক ও কেন্দ্রের একাধিক নেতা। ছিলেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, রাহুল সিনহা, দেবশ্রী চৌধুরী, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অনুপম হাজরা।
কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের থেকে হাজির ছিলেন পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সুনীল দেওধর, অমিত মালব্য, শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ মেনন প্রমুখ।
সেই বৈঠকেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে সংগঠনকে ধারারেখ ভাবে সাজানোর পরিকল্পনা হয়েছে। একই সঙ্গে গোটা রাজ্যকে ৫ ভাগে ভাগ করে সংগঠনের হালচাল জানার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের ৫ দুঁদে ভোট ম্যানেজারকে। এদিনের বৈঠকে উত্তরবঙ্গ, নবদ্বীপ, রাঢ়বঙ্গ, মেদিনীপুর ও কলকাতা, এই ৫টি জোনে ভাগ করা হয়েছে রাজ্যকে।
মেদিনীপুর জোনে রয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি ও ঝাড়াগ্রাম। রাঢ়বঙ্গ জোনে রয়েছে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূম।
কলকাতা জোনে রয়েছে কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও উত্তর ২৪ পরগনার ৩টি মহকুমা।
নবদ্বীপ জোনে রয়েছে মুর্শিদাবাদ, নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনার ১টি মহকুমা। এছাড়া উত্তরবঙ্গ জোনে রয়েছে ৮ জেলা।
প্রতিটি জোনে সংগঠনের হাল খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একজন কেন্দ্রীয় নেতাকে।
 এর মধ্যে সব থেকে উল্লেখযোগ্য নাম সুনীল দেওধরের।
ত্রিপুরার বিজেপির হয়ে ভোট পরিচালনা করেছিলেন তিনি। সেই নির্বাচনে ছোট্ট রাজ্যটি থেকে ২৫ বছর পর উৎখাত হয়েছিল বামেরা।
তাঁকে মেদিনীপুর জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রাঢ়বঙ্গ জোনের দায়িত্ব পেয়েছেন বিজেপির SC মোর্চার সভাপতি বিনোদ সোনকর। কলকাতা জোনের দায়িত্বে হরিয়ানার নেতা দুষ্মন্ত কুমার গৌতম। বিনোদ তাওড়ে পেয়েছেন নবদ্বীপ জোনের দায়িত্ব।
 উত্তরবঙ্গ জোনের দায়িত্বে রয়েছেন হরিশ দ্বিবেদী। বিজেপি সূত্রের খবর, আগামী কাল থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত নিজেদের জোনে গিয়ে সেখানকার নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন জোনের দায়িত্বে থাকা নেতারা। দলের সাংগঠনিক হাল নিয়ে আলোচনা করবেন জেলা সভাপতি, পর্যবেক্ষক ও জেলা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে। দরকারে  আলাদা বৈঠকও করতে পারেন তাঁরা। এর পর রিপোর্ট যাবে দিল্লিতে।
 সূত্রের খবর, সেই রিপোর্টের ওপর নির্ভর করে নভেম্বরের শেষে ফের একবার পশ্চিমবঙ্গে আসতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এছাড়া এদিনের বৈঠকে বিস্তারকদের মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। সব মিলে মঙ্গলবারের বৈঠক থেকে কার্যত ভোটের দামামা বাজিয়ে দিল গেরুয়া শিবির।