বৃহস্পতিবার, ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামে উদ্বোধন হলো মৎস্য চাষের খামার স্কুল

News Sundarban.com :
সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১
news-image

নিজস্ব প্রতিনিধি,ক্যানিং – প্রত্যন্ত সুন্দরবন এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বিপর্যস্ত হয়েছে বারে বার। এমন পরিস্থিতিতে সুন্দরবনের খেটে খাওয়া মানুষ চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়েছ। এই আর্থিক সঙ্কট কাটিয়ে তোলার জন্য এগিয়ে এসেছেন কেন্দ্রীয় মিঠাজল জীব পালন কেন্দ্র ভুবনেশ্বর ও রহড়া। এছাড়াও সহযোগিতা করছেন  শস্য শ্যামলা কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র সোনারপুর।

বুধবার প্রত্যন্ত সুন্দরবনের বাসন্তী ব্লকের ভরতগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের গরানবোস গ্রামের ৯৬ জন কৃষককে নিয়ে মৎস্য চাষের খামার স্কুলের উদ্বোধন করা হয়। এই মৎস্য চাষের খামার স্কুল থেকে কৃষকরা জানতে পারবেন মাছ চাষ সংক্রান্ত ও কৃষিকাজ সংক্রান্ত নানান তথ্য। এছাড়াও  সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার উপায় জানতে পারবেন প্রান্তিক কৃষকরা।এদিনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মিঠাজল জীব পালন কেন্দ্রের বিজ্ঞানী ডঃ শুভেন্দু অধিকারী, বিজ্ঞানী ডঃ বৈদ্যনাথ পাল, বিজ্ঞানী ডঃ আর এন পাল,বিজ্ঞানী ডঃ ফারহানা হক, শস্য শ্যামলা কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিজ্ঞানী ডঃ স্বাগত ঘোষ, ও বাসন্তী ব্লকের  মৎস্য আধিকারিক গৌতম বিশাই।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উদ্যোগী মৎস্য চাষি শিক্ষক তপন মাইতি, ভরতগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিনিধি ভবতোষ মণ্ডল।

প্রত্যন্ত গ্রামের এই মৎস্য খামার স্কুল উদ্বোধন হওয়াতেই ব্যাপকভাবে সাড়া পড়েছে গ্রামেরই মহিলা ও গৃহবধুদের মধ্যে।যারা বাড়ির কাজ সামলে এবার থেকে মাছ চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়িয়েছেন।

এর ফলে আগামী দিনে গ্রামের আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটবে বলে আশা প্রাশ করেছেন বিঞ্জানীরা। উদ্যোগী গৃহবধূরা হলেন মামনি কর্মকার, কৃষ্ণা পড়্যা, যমুনা মণ্ডল, সুপ্রভা  মণ্ডল, আশালতা মণ্ডল, রিনা মিস্ত্রি, সুচিত্রা রপ্তান।মাছ সহ অন্যান্য চাষে উদ্যোগী হয়েছে গ্রামের প্রান্তিক কৃষকরাও। আশার আলো দেখছেন গরানবোস গ্রামের কৃষকরা।