শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

করোনা সংক্রমণের হার বাঁকুড়া জেলায় ক্রমাগত বেড়েই চলছে

News Sundarban.com :
জুলাই ২১, ২০২০
news-image

মৌসুমী চ্যাটার্জী, বাঁকুড়া:

করোনা সংক্রমণের হার বাঁকুড়া জেলায় ক্রমাগত বেড়েই চলছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর কর্তৃক সোমবার প্রকাশিত কোভিড বুলেটিনের তথ্যানুযায়ী এখনো পর্যন্ত এই জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮৯ জন। তাদের মধ্যে ৩১০ জন হাসপাতাল থেকে সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরেছেন।

অন্য দিকে রাজ্য সরকার যখন ‘গোষ্ঠী সংক্রমণে’র কথা স্বীকার করে সপ্তাহে দু’দিন ‘লক ডাউনে’র কথা ঘোষণা করছেন, ঠিক তখনই এই জেলার সরকারী দপ্তরে কর্মরতদের লালারসের নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। ইতিমধ্যে জেলাশাসকের দপ্তরে কর্মরত ৫০ থেকে ৬০ জন কর্মী-আধিকারিকের লালারস পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এরপর কৃষি দপ্তর, জেলা পরিষদ, স্বাস্থ্য দপ্তর সহ অন্যান্য বিভাগে কর্মরতদের লালারস সংগ্রহ করা হবে। প্রসঙ্গত, বিষ্ণুপুর পৌরসভার স্বাস্থ্য দপ্তরের অস্থায়ী এক কর্মী, সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ইন্টার্ণ চিকিৎসক, নার্স করোনা আক্রান্ত। এমনকি দক্ষিণ বঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার কর্মী আক্রান্ত হওয়ার পরই এখনো পর্যন্ত ঐ সংস্থার বাঁকুড়া ডিপো বন্ধ। বন্ধ এখান থেকে বাস চলাচল। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের সাথে কাজ করেন এমন কর্মী আধিকারিকদের কোভিড টেস্ট জরুরী হয়ে পড়েছে। সংক্রমণ কোন অবস্থাতেই আর কোন অবস্থাতেই ঝুঁকি নিতে রাজী নয় প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর। পরীক্ষার হার বাড়ালে সহজেই সংক্রমিতদের চিহ্নিত করে চিকিৎসার কাজ শুরু করা যাবে।

সোমবার রাতেই বাঁকুড়া শহরের কাটজুড়িডাঙ্গা নতূন করে এক করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। প্রশাসনের তরফে দ্রুততার সঙ্গে তাকে ওন্দা কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলর হীরণ চট্টরাজ বলেন, ঐ এলাকাকে কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাঁশের ব্যরিকেড দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করার পাশাপাশি পুলিশ কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় মানুষের আতঙ্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছেনা। সন্দীপ ব্যানার্জী নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই বয়স্ক ব্যক্তি আছেন। সপ্তাহে দু’দিন লক ডাউন কোন সমাধানের রাস্তা নয়। এই মুহূর্তে সম্পূর্ণ লক ডাউনের পক্ষেই তিনি সওয়াল করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পেশায় চিকিৎসক ডাঃ পার্থ প্রতিম চক্রবর্তী পৌরসভার ভূমিকা যথেষ্ট প্রশংসনীয় দাবী করে বলেন, এই মুহূর্তে জনসচেতনতা ভীষণ জরুরী। করোষা সংক্রমণ ঠেকাতে প্রত্যেকের সরকারী নির্দেশিকা ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা উচিৎ বলে তিনি জানান।