‘গগনযান’-এর জন্য ৪ নভশ্চরকে বাছাই করা হয়েছে
চন্দ্রযান ৩ এবং ‘গগনযান’-এর কাজ পাশাপাশি চলছে। ২০২১-কেই ‘পাখির চোখ’ করে এগোচ্ছে ইসরো। বুধবার, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর চেয়ারম্যান সংবাদিক বৈঠক করে জানান, ‘গগনযান’-এর জন্য ৪ নভশ্চরকে ইতিমধ্যেই বাছাই করা হয়েছে। জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে রাশিয়ায় গিয়ে প্রশিক্ষণ নেবেন তাঁরা।
মহাকাশে শূন্য অভিকর্ষ আবহে কীভাবে যুজতে হবে, তারই প্রশিক্ষণ ভারতীয় নভশ্চরদের দেবে রুশ মহাকাশ সংস্থা ‘রসকসমস’। জানা যাচ্ছে, বায়ুসেনার ৪ কর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছে এই অভিযানে। আজ শিবন আরও জানান, চন্দ্রযান-৩ মিশনে সিলমোহর দিয়েছে কেন্দ্র। খরচ এবং সময় আরও সাশ্রয় করে আগামী বছরেই ইসরোর যান রওনা দেবে চাঁদে। এই প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে বলে দাবি করেন তিনি। চন্দ্রযান-২ রূপরেখার উপরই তৈরি হতে চলেছে পরবর্তী যান।
প্রায় হাজার কোটি খরচ হয়েছিল চন্দ্রযান-২। তীরে এসে তরী ডুবলেও এই অভিযানকে ব্যর্থ বলতে নারাজ ইসরোর চেয়ারম্যানের। চন্দ্রপৃষ্ঠে সফ্ট ল্যান্ডিং হওয়ার কথা ছিল ল্য়ান্ডারের। শেষ মুহূর্তে বিকল হয়ে যাওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এখনও চন্দ্রযান-২ এর অরবিটার চাঁদের কক্ষপথে পাক দিচ্ছে এবং ধারাবাহিকভাবে তথ্য পাঠিয়ে যাচ্ছে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সর্বপ্রথম অভিযান চালায় চন্দ্রযান-২। এছাড়া কম ব্যয়ে চন্দ্রযান-২ সফল ভাবে মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার বিষয়টিও বিশ্বের দরবারে নজির গড়েছে। নাসা, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি-সহ বিভিন্ন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার কাছে প্রশংসা কুড়িয়েছে চন্দ্রযান-২।
এ দিন শিবন জানান, চন্দ্রযান-২ উপর দারুণ কাজ করতে পেরেছিলাম আমরা। চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণে সফল না হলেও চন্দ্রযান-২ নিজের কাজ করে যাচ্ছে। আগামী ৭ বছর ধরে চাঁদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠাবে এটি।