শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মাধ্যমিকে কৃতি সুন্দরবনের ইজাজ কে চারাগাছ দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন রাজ্য শিক্ষক সংগঠন

News Sundarban.com :
জুলাই ১৭, ২০২০
news-image

সুভাষ চন্দ্র দাশ, ক্যানিং –

দেরীতে হলেও অবশেষে মাধ্যমিকে কৃতি তথা সুন্দরবনের রত্ন কে শুভেচ্ছা জানালেন বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা সারা বাংলা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক অমল নায়েক।শুক্রবার সকালে বাসন্তী ব্লকের খেড়িয়া গ্রামের বাড়িতে হাজীর হয়ে মাধ্যমিকে কৃতি ইজাজ আহমেদ সরদার কে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি তার হাতে তুলে দিলেন চারা গাছ।তিনি বলেন ইজাজ অনেক বড় হতে চায়।পাশাপাশি চারাগাছের মতো বাসন্তী ব্লকের গর্ব ইজাজ আহমেদ যাতে বৃহৎ বৃক্ষের ন্যায় বড় হয়ে শান্তির ছায়া প্রদান করতে পারে তার জন্য ওর পাশে শিক্ষক সংগঠন আজীবন থাকবে।শিক্ষক সংগঠনের পক্ষে এমন শুভেচ্ছা বার্তা পেয়ে আবেগে আপ্লুত ইজাজ সহ তার বাবা সালাউদ্দিন সরদার ও মা শেরীফা।শুক্রবার এমন আনন্দময় মুহূর্তে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন শিক্ষক তথা সমাজসেবী আকবর সেখ।

উল্লেখ্য চারিদিকে ভয়াবহ করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে চলছে ত্রাহিত্রাহি রব। পাশাপাশি আক্রমণ হেনেছে আম্ফান নামক বিধ্বংসী সাইক্লোন ঝড়। তছনছ করে দিয়েছে গোটা সুন্দরবন।এমন সব প্রাকৃতিক মহামারীর পাশাপাশি সুন্দরবনের বাসন্তী ব্লকে রয়েছে রাজনৈতিক হানাহানি।এই বাসন্তী ব্লকেই শান্তি যেন লাখ টাকার স্বপ্ন!আর এমন পরিবেশের মধ্যে নিজের স্বপ্ন কে বাস্তবায়িত করার জন্য বই কে আগলে নিয়ে পালিয়ে গিয়ে কখনও মাসীর বাড়ি কখনও বা পিসির বাড়িতে গিয়ে ভয়ে আতঙ্কের মধ্যে পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছে দরিদ্র চাষী পরিবারের ছেলে ইজাজ আহমেদ সরদার।পড়াশোনায় সাফল্য পাওয়ার জন্য ভবঘুরের মতো পড়াশোনা করতে হয়েছে এই ইজাজ কে। বাসন্তীর খেড়িয়া গ্রামে দরিদ্র চাষী পরিবারে জন্ম। মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ হতেই উত্তপ্ত বাসন্তীর খেড়িয়াতে যেন এক শান্তির পরিবেশ তৈরী হয়েছে। গ্রামের ছেলে মাধ্যমিকে ৬৭৮ নম্বর পেয়ে রাজ্যে ১৫ তম স্থান দখল করায় সকলে যেন হিংসা কে ছুড়ে ফেলে দিয়ে আনন্দে মেতে উঠেছেন গ্রামের মানুষজন।অন্ধকার ,রাজনৈতিক হিংসা মারামারি,প্রতিনিয়ত বোম গুলির আওয়াজ আজ যেন শান্ত। শান্ত গোরব গর্তে পদ্ম ফুল ফোটার জন্য।

বাসন্তী ব্লকে মাধ্যমিকে এমন ইতিহাস হয়েছে কিনা মনে করতে পারছেন না এলাকার বৃদ্ধ বৃদ্ধারা।ফলে কেউ কেউ ইজাজ কে বাসন্তী তথা সুন্দরবনের রত্ন বলে আখ্যা দিয়েছেন।অবশ্য ইজাজ এতো কিছু ভাবাবেগ কে আমল দিতে রাজী নয়। তার কথায় সবে শুরু,আরো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে ।হতে হবে আইএএস।বাসন্তীর মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে শান্তির পরিবেশ তৈরী করতে হবে।তাঁদের মুখে ফোটাতে হবে হাসি।সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে।তবেই জীবন হবে সার্থক।না হলে জীবনটাই হয়ে যাবে বৃথা।”