শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রাজ্যে এবার সিবিআই থানা তৈরি হওয়া প্রয়োজন

News Sundarban.com :
ডিসেম্বর ২১, ২০২৩
news-image

রাজ্যে এবার সিবিআই থানা তৈরি হওয়া প্রয়োজন। অন্তত তিন থেকে চারটি সিবিআই থানা গঠন করা প্রয়োজন। বৃহস্পতিবার একটি মামলায় এমনটাই মন্তব্য করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

সমবায় সমিতির দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল এদিন। অন্তত ৫০ কোটির দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ওই মামলায়। তদন্তের জন্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই-কে কয়েকজন পুলিশ অফিসার দিয়ে সাহায্য করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। নির্দেশের পর রাজ্য সাহায্য করেনি বলে দাবি করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। কেন সাহায্য করা হল না, তা নিয়ে আগেও বিচারপতি প্রশ্ন করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে। তারপরও মেলেনি সদুত্তর।

আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার কোনও সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে আদালতে। একথা শুনে বৃহস্পতিবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, অন্তত তিন-চারটি সিবিআই থানা গঠনের প্রয়োজন রয়েছে। ইন্সপেক্টর-কনস্টেবল সবাইকে নিয়ে থানা তৈরি করার সময় এসেছে। নতুন নতুন দুর্নীতির অভিযোগ আসছে, রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠছে বলেও মন্তব্য করেছেন বিচারপতি।

সিবিআইকে কিছু সহযোগিতা ও কিছু অফিসার দিয়ে সাহায্যের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। সেটা কেন দেওয়া হল না, তা জানতে চেয়ে মুখ্যসচিবের কাছে হলফনামা তলব করেছিলেন বিচারপতি। বৃহস্পতিবার সেই হলফনামা পেশ করার পর এই মন্তব্য করেন বিচারপতি। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন সাধারণ মানুষ পুলিশের কাছে, আদালতে ঘুরে ঘুরে হয়রান হচ্ছেন। অভিযোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না।

প্রসঙ্গত, আলিপুরদুয়ার মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতিতে ২১ হাজার ১৬৩ জন মোট ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন বলে আবেদনকারী পক্ষের অভিযোগ ছিল হাই কোর্টে। টাকা জমা দেওয়ার সময় সমিতি জানিয়েছিল, ওই টাকা বাজারে ঋণ হিসাবে খাটানো হবে। কিন্তু পরে টাকা ফেরত পাওয়ার সময় হলে বিনিয়োগকারীরা জানতে পারেন, সমিতিই ‘বিলুপ্ত’ হয়ে গিয়েছে। বহু দিন ধরে তদন্ত করার পরেও সিআইডিও খুঁজে বার করতে পারেনি কাদের ওই টাকা ঋণ হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। গ্রেফতার করা হয় সমিতির পাঁচ কর্তাকে। মামলাকারী আদালতে অভিযোগ করেন, ঋণ যদি দেওয়া হত, তাহলে গ্রহীতাদের নাম থাকত। কিন্তু সিআইডি কারও নাম খুঁজে পায়নি। গত অগস্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাই মামলার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন।