শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্রবল বর্ষণে ভাসছে বাঁকুড়া

News Sundarban.com :
আগস্ট ৬, ২০১৮
news-image

দু’দিন ধরেই প্রবল বর্ষণে ভাসছে রাজ্য। প্রবল বর্ষণের জেরে ফুঁসছে নদী।বিশেষ করে বাংলার পশ্চিমাঞ্চলে তুলনায় অনেক বেশি বর্ষণ হয়েছে। তার জেরে বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বাঁকুড়ায় গন্ধেশ্বরী নদীর বাঁধ ছাপিয়ে জল ঢুকতে শুরু করেছে গ্রামে। যার জেরে প্লাবিত বাঁকুড়ার সতীঘাট, দোলতলা, রবীন্দ্র সরণি-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা সোমবার সকাল থেকেই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বাঁকুড়ায়। এই পরিস্থিতিতে জলবন্দি দুর্গত মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন।অধিক বৃষ্টির জেরে গন্ধেশ্বরী, দ্বারকেশ্বর নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করে। সোমবার থেকেই দুই নদীর জল ঢুকে এলাকা পুরোপুরি প্লাবিত হয়ে যায়। বাঁকুড়ার সতীঘাট, অরবিন্দনগর, কবরডাঙা, পলাশতলা, জুনবেদিয়া পুরোপুরি জলমগ্ন হয়ে পড়ে। জুনবেদিয়ায় জলের তোড়ে ভেসে যায় দুটি পাকা দোতলাবাড়ি। তার মধ্যে একটি বাড়িতে আটকে পড়ে বাসিন্দারা। বাড়ির বাসিন্দাদের উদ্ধার করা হয়। ওই বাড়িতে আটকে পড়া বাসিন্দাদের মধ্যে চারজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দু-জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নাগাড়ে বৃষ্টিতে বানভাসি পরিস্থিতি ছিল আগে থেকেই, তার উপর গন্ধেশ্বরী নদীর সঙ্গে সংযোগকারী খাল দিয়ে জল ঢুকে একের পর এক এলাকা প্লাবিত হয়ে যাচ্ছে। বাঁকুড়া-দুর্গাপুর সড়কও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বন্যার ফলে। এই সড়কের উপর বইছে কোমর সমান জল। শুধু গন্ধেশ্বরীই নয়, দ্বারকেশ্বরী নদীর জলও ঢুকছে এলাকায়। বিভিন্ন কজওয়ে দিয়ে জল ঢুকছে। বাঁকুড়া শহরও জলমগ্ন। তারপর গঙ্গাজলঘাটি, মেজিয়া, তালডাংরা, সিমলাপাল, রাইপুর, সারেঙ্গাও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া সিমলাপালে শিলাবতীর নদীর কজওয়ে দিয়েও জল ঢুকছে বলে জানা গিয়েছে।
উদ্ধারের কাজে বিলম্ব করায় স্থানীয় বাসিন্দারা বিডিওকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। এদিকে শুধু বাঁকুড়াই নয়, বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ঝাড়গ্রামও। ঝাড়গ্রামেরও বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন। ফুঁসছে ডুলুং নদী। এই নদীর জল ঢুকেছে ঝাড়গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকায়। আশঙ্কা করা হচ্ছে, বৃষ্টি চলতে থাকলে আরও ভয়ানক হবে বন্যা পরিস্থিতি। প্রশাসনকে সত্বর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।