সোমবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য, বিশ্বভারতীতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে পদযাত্রা

News Sundarban.com :
ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২১
news-image

নিউজ সুন্দরবন ডেস্ক: মাতৃভাষাকে ভালবেসে যে প্রাণ পর্যন্ত দেওয়া যায় তা শিখিয়েছিল ওপার বাংলা। প্রতি বছরের মতো এবারও বিশ্বভারতীতে পাঠরত বাংলাদেশের পড়ুয়ারা মাতৃভাষা দিবস পালন করলেন। সেজে উঠেছে বাংলাদেশ ভবন। তৈরি করা হয়েছে শহিদ বেদি। রাস্তা জুড়ে দেওয়া হয়েছে আলপনা।

রবিবার সকালে শান্তিনিকেতনের পথে শুনতে পাওয়া গেল, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/ আমি কি ভুলিতে পারি’ গানটি। তাঁদের সঙ্গেই পা মেলালেন বিশ্বভারতীর অন্য পড়ুয়ারাও। ২১ ফেব্রুয়ারির সকালে গান গাইতে গাইতে এসে শহিদবেদিতে ফুল ও মালা দেন তাঁরা। ছিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী-সহ বিশ্বভারতীর আধিকারিক, অধ্যাপক, অধ্যাপিকারা৷ বাংলাদেশ ভবনে এসে শেষ হয় বৈতালিক। সেখানে শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।

বিশ্বভারতীর বাংলা বিভাগের এক বাংলাদেশি ছাত্রী বলেন, ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের শহিদ দিবস তথা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন এক বিরাট প্রাপ্তি। শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বের অনেক দেশের পড়ুয়ারা সম্মিলিতভাবে এই দিনটি উদযাপন করলেন।

বাংলা ভাষার জন্য লড়াই করে ২১ ফেব্রুয়ারি রফিক, সালাম, বরকতরা শহিদ হয়েছিলেন। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো বাংলা ভাষা আন্দোলনের প্রতি সম্মান জানিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এর পর থেকেই সারাবিশ্বে শ্রদ্ধার সঙ্গে এই দিনটি উদযাপিত হয়। নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পালিত হয় ‘অমর একুশে’।

প্রত্যেক বছর একুশের রাতে ঢাকার শহিদ মিনারে ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত থাকেন প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি। তবে এবার সে ছবিতে বদল এসেছে। অতিমারিকালে বিধি নিষেধের কারণে সেখানে সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রাষ্ট্রপতি মহম্মদ আবদুল হামিদ। বদলে উপস্থিত ছিলেন তাঁদের সামরিক সচিব। তাঁরাই শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।