লাদাখে ভারতের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে চার সেনাসদস্য নিহত স্বীকার চীনের
পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় গত বছর ভারতের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সীমান্ত সংঘর্ষে নিজেদের চার সেনাসদস্য নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে চীন। সংঘর্ষের আট মাস পর চীন প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে এ কথা স্বীকার করল। এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
চীনা সেনাবাহিনীর অফিশিয়াল সংবাদপত্র ‘পিএলএ ডেইলি’ আজ শুক্রবার জানায়, যে চার সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন, তাঁদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মানিত করা হয়েছে।
‘পিএলএ ডেইলি’র বরাত দিয়ে চীনের রাষ্ট্রপরিচালিত গণমাধ্যম ‘গ্লোবাল টাইমস’ জানায়, নিহত সেনাসদস্যের মধ্যে কর্মকর্তা ও সৈনিক রয়েছেন।
ঘটনা সম্পর্কে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলা হয়, বিদেশি সেনারা চুক্তি ভেঙে সীমান্ত অতিক্রম করে চীনের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েছিল। বিদেশি সেনাদের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড সংগ্রাম করতে গিয়ে চীনের চার সেনাসদস্য প্রাণ হারান। নিহত ব্যক্তিদের মরণোত্তর পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
২০২০ সালের ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের সেনাবাহিনী ওই সীমান্ত সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষের পর ভারতের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়, এই ঘটনায় তাদের ২০ জন সেনা নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে চীনা পক্ষেও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর বেইজিং হতাহতের কথা স্বীকার করলেও তারা এত দিন সুনির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা উল্লেখ করেনি।
সম্প্রতি ভারতীয় সেনাবাহিনীর উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রধান দাবি করেন, ওই সংঘর্ষে চীনের ৪৫ জন সেনাসদস্য হতাহত হয়েছিলেন। তাঁর উদ্ধৃতি দিয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি খবর প্রকাশ করে রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাস। এরপরই চীন ওই সংঘর্ষের ঘটনায় তাদের পক্ষে হতাহতের সংখ্যা স্বীকার করল।
গত জুন মাসের ওই সংঘর্ষের ঘটনায় চীন ও ভারত পরস্পরকে দোষারোপ করে। এ নিয়ে সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে অনেকটা সময় ধরে উত্তেজনা বিরাজ করে। পরে উভয় দেশ সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে উদ্যোগী হয়। তা সত্ত্বেও গত মাসে বিরোধপূর্ণ সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে আরেক দফায় ছোটখাটো উত্তেজনা দেখা দেয়।
কয়েক মাস ধরে দফায় দফায় আলোচনার পর এক সমঝোতার ভিত্তিতে চলতি মাসে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা সরাতে শুরু করে চীন ও ভারত।